জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিকে কট বা বন্ধক রাখা বলে।
,
বন্ধক রাখা হয় ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তাস্বরূপ। এতে ঋণদাতা নিশ্চিত থাকেন যে ঋণ আদায় না করলেও বন্ধককৃত বস্তু থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে।
পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করো, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
,
বন্ধককৃত বস্তু বন্ধকগ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ।
★বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)
ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(i)
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় পদ্ধতি নাজায়েজ।
এটি জায়েজ পদ্ধতি নয়।
,
বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ
(ii)
বন্ধকী বস্তুর উপর যাকাত ফরয। তাই ঐ ৩ লক্ষ টাকার যাকাত আপনাকে দিতে হবে।
তবে এখনই দেওয়া আবশ্যক নয়। যখন তা ফিরিয়ে আনবেন তখন বিগত বছরগুলোর যাকাত আদায় করলেই চলবে।
এক্ষেত্রে টাকা ফিরে যত বছর লাগবে,হিসাব করে প্রত্যেক বছরের যাকাত দিতে হবে।
আর চাইলে বন্ধক থাকা অবস্থায়ই ঐ টাকার যাকাত বছরে বছরে আদায় করে দিতে পারেন।
(০৩)
বিক্রয় করার পর আপনার যাকাত আদায়ের সময় তার মূল্যের যাকাত আদায় করবেন
(০৪)
মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় করা যায়।
মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা উত্তম না মূল জিনিষ দ্বারা ফিতরা আদায় করা উত্তম? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে দু-রকম সিদ্ধান্ত আমরা দেখতে পাই।
সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তেই পৌছতে সক্ষম হবো যে,মূল্য দ্বারা ফিতরা করলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।হ্যা সময়-সুযোগ থাকলে মূল জিনিষ দ্বারাও দিয়ে দিতে পারবেন।উভয়টিই পারবেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/17199/
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যা নির্ধারণ করা হয় তা দিলে আদায় হবে।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
https://www.ifatwa.info/115526/
★ফিতরা কখন আদায় করতে হবে?
وَإِنْ قَدَّمُوهَا عَلَى يَوْمِ الْفِطْرِ جَازَ،
ঈদের দিন সকাল ফিতরা ওয়াজিব হয়।
ঈদের দিনের পূর্বে ফিতরা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২
ঈদের সালাতের পূর্বে ফিতরা দেয়া মুস্তাহাব।তবে পরে দিলেও আদায় হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-০৯/৬৩৯)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজের পূর্বে সদকাতুল ফিতর দেওয়া মুস্তাহাব, তার আগে দিলেও আদায় হয়ে যাবে।