ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/699
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন!
(১) আবাসিক হিফজখানায় ছাত্রদের খাবারের (ভাত/ইফতারি) জন্য যাকাত দেওয়া যাবে। মুহতামীম বা কর্তৃপক্ষকে বলে দিতে হবে যে, এগুলো যাকাত। তাহলে তিনি শুধুমাত্র গরীব ও যাকাত গ্রহণের উপযুক্তদের জন্য সেই টাকা খরচ করবেন।
(২) মাদ্রাসার লোকজন টাকা নিতে আসলে তাদেরকে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।তবে তাদেরকে যাকাত উল্লেখ করে দিতে হবে। তাহলে তারা যাকাতের নির্দিষ্ট খাতে এই টাকাকে ব্যয় করবে।
(৩) মসজিদের কাজে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না।
(৫) ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক বছর পূর্ন হয়েছে।কিন্তু তখন আপনি যাকাত দেননি।
এখন রমাদ্বনে দিতে চাচ্ছেন। এক বছর পূর্ন হবার পর যেই টাকা নতুন করে আপনার কাছে এসেছে, সেগুলোরও যাকাত দিয়ে দিবেন। এবং ডিসেম্বরের পর যত মাস গত হয়েছে, আগামী বৎসরের যাকাত হিসেব করে ১২ দ্বারা ভাগ করে, এই দুয়েক মাসের যাকাত দিয়ে দিবেন। অর্থাৎ যেহেতু এখন মার্চ মাস তাই তিন দ্বারা একভাগকে পূরণ করে যত আসে, ততটাকা দিয়ে দিবেন। ভবিষ্যতে রমজান টু রমজানে যাকাত দিবেন।
(৬) কারও স্বামী মারা যাবার পর সামান্য ভিটেমাটি আর কিছু জায়গা জমি থাকলে যেগুলো থেকে তেমন ফায়দা হচ্ছে না, এমন ব্যাক্তিকে যাকাত দেওয়া যাবে। যদি তার উপর যাকাত ফরয না থাকে।
(৭) বাসায় বা দোকানে যে সমস্ত ফকির টাকা নিতে আসে, তাদের যাকাত দেওয়া যাবে। তাদের সম্পর্কে আমাদের পার্সোনালি খোজ নেওয়ার সুযোগ না থাকলেও তাদেরকে জিজ্ঞেস করে দিয়ে দেয়াই সতর্কতা। আপনার যাকাত আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না।