উরফুজা ইবনে আস'আদ রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﻋﺮﻓﺠﺔ ﺑﻦ ﺃﺳﻌﺪ ﺃﻧﻪ ﻗﻄﻊ ﺃﻧﻔﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻜُﻼﺏ، ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﻓﻀﺔ ﻓﺄﻧﺘﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻣﺮﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﺫﻫﺐ
কিলাবের যুদ্ধে উনার নাক কর্তিত হয়ে যায়,তখন তিনি রূপার নাক তৈরী করে লাগিয়ে নেন।কিন্তু উক্ত নাকে দুর্গন্ধ হয়ে যায়,যে জন্য নবীজী সাঃ উনাকে সর্ণের নাক বাধার অনুমিত প্রদান করেন।অতঃপর তিনি সর্ণের নাক বেধে নেন। (সুনানে তিরমিযি-১৭৭০)
‘কুলাব যুদ্ধে সাহাবি আরফাজা বিন আসয়াদ (রা.)-এর নাক কেটে যায়। তিনি রুপার একটি কৃত্রিম নাক বানিয়ে নেন। কিন্তু এতে দুর্গন্ধ দেখা দেয়। পরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদেশে একটি স্বর্ণের নাক বানিয়ে নেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪২২৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওযরবশত কৃত্রিম বা পাথরের চোখ লাগানো আপনার জন্য জায়েজ।
(২-৩)
জরুরতের দরুণ দু'জন দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে যদি ঐ রকম কৃত্রিম বা পাথরের চোখ স্থাপন করা হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত চোখ থাকাবস্থায় ওযু-গোসল হবে।এতে কোনোরকম সমস্যা হবে না।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
নিম্নোক্ত আমল গুলি করতে পারেনঃ-
এ আয়াতটি ৩ বার পড়ে উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গৃলের নখে ফুঁ দিয়ে উভয় চোখের ওপর মাসেহ করে নিতে পারেন।
فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
উচ্চারণ : ফাকাশাফনা আংকা গিত্বাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদিদ। (সুরা ক্বাফ : আয়াত ২২)
অর্থ : তোমার সামনে থেকে পর্দা উন্মোচন করেছি; অতএব আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর।’
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পড়বেন,
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ بَصَرِىْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি।অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।
বুযুর্গানে দ্বীন কিছু আমলের কথা বলেছেন,যদিও এগুলো কুরআন হাদীসে নেই,তবে আবশ্যকীয় মনে না করে,দ্বীনের অংশ মনে না করে আমল গুলি করতে পারেনঃ-
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। তা পাঠ করার নিয়ম হলো- আয়াতুল কুরসি পাঠ করার সময় যখন (وَ لَا يَئُوْدُهُ حِفْظُهُمَا) ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা' এ আয়াতাংশটি পড়বে তখন ডান হাতের পাঁচটি আঙ্গুলের মাথা ডান চোখের ওপরে, বাম হাতের পাঁটটি আঙ্গুলের মাথা বাম চোখের ওপরে রেখে ১১ বার পড়তে হবে। (وَ لَا يَئُوْدُهُ حِفْظُهُمَا) ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ১১ বার পড়া হলে আঙ্গুলগুলো চোখ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
অতঃপর (وَ هُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْم) ওয়া হুয়াল আলিয়ু্যল আজিম' পড়ার মাধ্যমে আয়াতুল কুরসি পড়া শেষ হলে উল্লেখিত উভয় হাতের আঙ্গুলগুলোতে ফুঁ দিয়ে তা উভয় চোখের ওপর মাসেহ করে নেয়া।
আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেয়াসহ যাবতীয় অসুস্থতা থেকে চোখকে মুক্ত রাখবেন।
আল্লাহর গুণ বাচক নাম (يَا شَكُوْرُ) ইয়া শাকুরু ৪১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে; সেই পানি চোখে দিলে ইনশা আল্লাহ চোখকে রোগমুক্ত করবেন।
প্রত্যেক নামাজের পর আল্লাহর গুণ বাচক নাম (يا نُوْرُ) ইয়া নুরু ১১ বার পাঠ করা। তবে তা পড়ার আগে ও পরে দরূদ শরিফ পাঠ করে নেয়া। দরূদ শরিফ পড়ে ১১ বার পড়ার পর ১০ আঙ্গুলে ফুঁ দিয়ে আগের ন্যায় উভয় চোখের ওপর মাসেহ করে নেয়া। আল্লাহর মেহেরবানী এ আমলেও দৃষ্টি শক্তি ভালো হবে।
চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি নিয়মিত ৪টি কাজ করতে বলেছেন। আর তাহলো-- সব সময় কেবলামুখী হয়ে বসার চেষ্টা করা;- নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার সময় উভয় চোখে সুরমা লাগানো;- সবুজ গাছ-গাছালি তথা সবুজ জিনিসের দিকে বেশি বেশি দৃষ্টি দেয়া;- পোশাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছন্ন রাখা।