আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-
ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.
তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪
হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪
তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
,
শরীয়তের বিধান হলো মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)
আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়।
ঢেকুর আসার পর তাহা যদি গলার মধ্যেই থাকে,মুখের মধ্যে না আসে,তাহলে সেটি বের করে ফেলে দেওয়ার তেমন শক্তি থাকেনা।
তাই এই ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যায়না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবেনা এবং এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০২)
কোন রুকনে আপনি আল্লাহু আকবর বলেননি বলে সন্দেহ হচ্ছে?
বিষয়টি কমেন্ট বক্সে জানালে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।
জাযাকাল্লাহ।
(০৩)
এটি ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন।
উক্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।
(০৪)
সে হারাম টাকায় তো আর উক্ত মসজিদ নির্মিত হচ্ছে না,সুতরাং সেই মসজিদে নামাজ পড়া জায়েয আছে।
(০৫)
গুনাহ হবেনা।
তবে সেই ময়লা আপনার জুতা থেকে পরলে ফেলে দেয়া নৈতিক দায়িত্ব ও ফজিলতের বিষয়।
(৬-৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে কাউকে বেপর্দা অবস্থা দেখলে, বা গোপনীয় কোনো কিছু দেখলে গুনাহ হবে,হক নষ্ট
(০৮)
যেহেতু বমি মুখের মধ্যে আসেনি,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার উক্ত রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(০৯)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার রোযা ভেঙ্গে যায়নি।
(১০)
যদি তাহা খাওয়ার মতো না হয়,স্বাদ যুক্ত না হয়,সেক্ষেত্রে অপচয় হবেনা।