আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in সাওম (Fasting) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

১.যদি পায়খানার গন্ধ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে নাকে ও মুখে চলে যায় ও ঢেকুর আসে তবে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং এতে কি গুনাহ হবে?

(১২ ই রমজান ২০২৫)
২.নামাজে আল্লাহু আকবার বলেছি কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হলে করণীয় কি?
৩.মনে মনে তালাক ও  মুখে বলেছি কিনা তা নিয়ে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন।(সম্পাদনা করব)
৪.মসজিদে যদি কেউ সওয়াবের নিয়ত সহ বা নিয়ত ছাড়া হারাম টাকা দান করলে সেই মসজিদে নামাজ পড়া কি জায়েয?
৫.মসজিদে জুতার বাক্সে জুতা থেকে ময়লা পরলে তা ঐ ময়লা যদি না ফালাই তবে কি গুনাহ হবে?
৬.কারো ঘরে আমি জানালার দিকে যদি উঁকি মারি কিন্তু আমার উদ্দেশ্য তার ঘরে উঁকি দেওয়া না অন্য কোনো কারণে আরকি জানালার দিকে উঁকি মারলাম আর ঘরের ভিতরের দিক নজরে আসল এতে কি গুনাহ হবে এবং তার হক নষ্ট হবে?
৭.কারো ঘরে উঁকি মারা,আড়িপাতাআ,কারো ব্যাপারে কুধারণা করা এগুলা করলে কি হক নষ্ট হবে?
৮.রোজা অবস্থায় যদি অনিচ্ছায় বমি গলা পর্যন্ত আসে কিন্তু তা ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলা হয় তবে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?
(১৩ ই রমজান ২০২৫)
৯.একটা ঘ্রাণ আসছিল (সম্ভবত আতরের ঘ্রাণ হয়ত অন্য কারো থেকে আসছিল) আমি তা টেনে নিলে তা আমার নাকে কড়াভাবে চলে গেলো আর মুখেও চলে গেছে আর কিছুক্ষণ পর ঢেকুর আসে। ঢেকুর ঐ ঘ্রাণ নেওয়ার কারণে হয়েছে কি না নিশ্চিত না। রোজা কি ভেঙ্গে গেছে?(১৪ রমজান ২০২৫)

১০.তরমুজ খাওয়ার পর খোসায় কিছু লাল অংশের মত যে থাকে তা যদি না খাই তবে কি এতে অপচয়ের গুণাহ?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/15882/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
,    
শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকৃতভাবে  গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়। 

ঢেকুর আসার পর তাহা যদি গলার মধ্যেই থাকে,মুখের মধ্যে না আসে,তাহলে সেটি বের করে ফেলে দেওয়ার তেমন শক্তি থাকেনা।
তাই এই ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যায়না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাবেনা এবং এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০২)
কোন রুকনে আপনি আল্লাহু আকবর বলেননি বলে সন্দেহ হচ্ছে?
বিষয়টি কমেন্ট বক্সে জানালে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো। 
জাযাকাল্লাহ। 

(০৩)
এটি ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন।
উক্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।

(০৪)
সে হারাম টাকায় তো আর উক্ত মসজিদ নির্মিত হচ্ছে না,সুতরাং সেই মসজিদে নামাজ পড়া জায়েয আছে।

(০৫)
গুনাহ হবেনা।
তবে সেই ময়লা আপনার জুতা থেকে পরলে ফেলে দেয়া নৈতিক দায়িত্ব ও ফজিলতের বিষয়। 

(৬-৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে কাউকে বেপর্দা অবস্থা দেখলে, বা গোপনীয় কোনো কিছু দেখলে গুনাহ হবে,হক নষ্ট

(০৮)
যেহেতু বমি মুখের মধ্যে আসেনি,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার উক্ত রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০৯)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার রোযা ভেঙ্গে যায়নি।

(১০)
যদি তাহা খাওয়ার মতো না হয়,স্বাদ যুক্ত না হয়,সেক্ষেত্রে অপচয় হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 168 views
...