আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
556 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামুআলাইকুম ।

১১ তারিখে দুপুরের পর থেকে হায়েজ শুরু হয়ে ১৫তারিখে শেষ হয় এর ১০ দিন পর আবার ২৫তারিখ থেকে রক্ত আসতে থাকে তখন ইস্তিহাজা ধরে নামাজ পড়তে থাাকি। এভাবে ১৫দিন পরেও (৩০ তারিখে )রক্ত থাকায় হায়েজ ধরে নামাজ বন্ধ করি কিন্তু একদিন পরই রক্ত বন্ধ হয়ে যায় আর ২য় দিন যোহরের পূর্বে একটু হলদেটে স্রাব দেখি আর এর পরে সাদাস্রাব।এখন আমার করনীয়

 কি?কখন নামাজ পড়ব?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
পূর্বের ফতোয়াতে বলা হয়েছিলোঃ      
""এক হায়েয থেকে অারেক হায়েয পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৫ দিনের ব্যবধান থাকতে পারে।অর্থাৎ একবার হায়েয শুরু হয়ে শেষ হওয়ার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর দ্বিতীয় হায়েয শুরু হবে।

যেহেতু আপনার ১১ তারিখ হায়েয শুরু হয়ে ১৫ তারিখে দুপুরের পর থেকে আর হয় নি।এর ১০দিন পরে ২৫ তারিখ থেকে আবার রক্ত বের হতে থাকে,এটা ইস্তেহাযা।তবে ধারাবাহিত এ রক্তস্রাব চলতে থাকলে,৩০ তারিখ থেকে আবার হায়েয গণ্য হবে।কেননা ১৫ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় হল,১৫ দিন।আর এক হায়েযের ১৫ দিন পরেই মূলত আরেক হায়েযের সময় আসে।
,

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৩০ তারিখ থেকে নিয়ে আপনি হায়েজ ধরবেন।
এখন যদি ৩০ তারিখ থেকে নিয়ে পূর্ণ তিন দিন শেষ হওয়ার আগেই হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,বা স্পষ্ট সাদা স্রাব আসে,তাহলে সেটি আর হায়েজ নয়।
ইস্তেহাজা।
তাই এ কদিনের নামাজ (৩০ তারিখ থেকে) আদায় করতে হবে।
যদি নামাজ আদায় না করা হয়,তাহলে তার কাজা আদায় করতে হবে।
,
আর যদি ৩০ তারিখ থেকে তিন দিন পূর্ণ হয় বা অতিক্রম করে,তাহলে সেটি যেহেতু হায়েজ,তাই নামাজ আদায় করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 193 views
0 votes
1 answer 159 views
...