ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিমানে সফরের পূর্বে যেভাবে জরুরী জিনিষপত্রের ব্যবস্থা পূর্ব থেকেই করে নিতে হয়, ঠিকতেমনি বিমানে সফরের পূর্বে নামাযের ওয়াক্ত সমূহকে জেনে নিতে হবে। যখন যেই দেশের উপর দিয়ে যেতে হচ্ছে, তখন সেই দেশে কয়টা বাজতেছে, এবং তখন কোন নামাযের ওয়াক্ত হচ্ছে, সেই হিসেবে নামায পড়ে নিতে হবে। হ্যা, যদি সফর পশ্চিম দিকে হয়, এবং কোনো এক নামাযকে পড়ে নেয়ার পর অন্য শহরে গিয়ে আবার সেই নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে সেই নামাযকে পড়া জরুরী হবে না।
নামাযের জন্য কিবলামুখী হওয়া এবং দাড়ানো শর্ত। যদি এ দু'টির কোনো একটি সম্ভব না হয়, তাহলে 'তাশাব্বুহ বিল মুসাল্লিন' তথা নামাযির সাদৃশ্য গ্রহণ করতে হবে। এবং পরবর্তীতে ঐ নামাযকে কা'যা করে নিতে হবে।
لما في الفتاوی الشامية:
"(وفاقد وقتهما) كبلغار، فإن فيها يطلع الفجر قبل غروب الشفق في أربعينية الشتاء(مكلف بهما فيقدر لهما)....ولا يساعده حديث الدجال؛ لأنه وإن وجب أكثر من ثلثمائة ظهر مثلا قبل الزوال ليس كمسألتنا؛ لأن المفقود فيه العلامة لا الزمان، وأما فيها فقد فقد الأمران.
(قوله: حديث الدجال) قال الرملي في شرح المنهاج: ويجري ذلك فيما لو مكثت الشمس عند قوم مدة. اهـ. ح. قال في إمداد الفتاح قلت: وكذلك يقدر لجميع الآجال كالصوم والزكاة والحج والعدة وآجال البيع والسلم والإجارة، وينظر ابتداء اليوم فيقدر كل فصل من الفصول الأربعة بحسب ما يكون كل يوم من الزيادة والنقص كذا في كتب الأئمة الشافعية، ونحن نقول بمثله إذ أصل التقدير مقول به إجماعا في الصلوات.....وفي هذا الحديث أن ليلة طلوعها من مغربها تطول بقدر ثلاث ليال، لكن ذلك لا يعرف إلا بعد مضيها لانبهامها على الناس، فحينئذ قياس ما مر أنه يلزم قضاء الخمس؛ لأن الزائد ليلتان فيقدران عن يوم وليلة وواجبهما الخمس.
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/95826
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেই দেশের উপর দিয়ে যাবেন, সেই দেশে যখন ইফতারের টাইম হবে, তখনই আপনি ইফতার করবেন। এজন্য আপনি পূর্বেই টাইম জেনে নিবেন। সতর্কতামূলক কিছু পরে ইফতার করবেন। সফর অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করারও রুখসত থাকবে।
(২) উপরের বিধান সেহরির বেলায়ও প্রযোজ্য হবে।
(৩) এক্ষেত্রেও উপরের বিধান প্রযোজ্য হবে।
(৪)এক্ষেত্রেও উপরের বিধান প্রযোজ্য হবে।