আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায

১. রোযারত অবস্থায় কিছু ব্যাপার নিয়ে ডিস্টার্ব ছিলাম কুলি করতে গিয়ে সন্দেহ হলো পানি কি গলায় চলে গেলো কিনা। পরে আরেকবার চেক করতে গিয়ে কিছুটা ভালোমত কুলি করলাম তৎক্ষণাৎ সেন্স কাজ করলে পানি ফেলে দিসি। আমি কিছুটা নফসের ধোঁকায় পড়ে যাই সেই মুহুর্তে একটা অহেতুক।বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে কিছুটা গা ছাড়া ভাব হয়ে কুলিটা করি, প্রতিদিন যতটা সতর্ক থাকি ততটা সতর্ক ছিলাম না।

আমি শিউর না কুলি করা অবস্থায় পানি গলা অবধি গেছে কিনা

তবে পানি ফেলে দেয়ার পর  ঢোক গিলতে গিয়ে শীতল অনুভব হয়(খুব সম্ভবত এটা রোজাভঙ্গকারী না)

এখন আমি কি কাযা করতে হবে না কাফফারা? আমি কি কোনো কবিরা গুনাহ করে ফেললাম?


তবে আমার প্রায়শই কুলি করতে গেলে ভয় লাগে, অনেক সময় ভয় এড়াতে ফরযগুলো পালন করি শুধু ওযুতে


২. টিউশন করতে যাচ্ছি না বলে প্রাইভেটে যাচ্ছি বললে কি মিথ্যা হবে?


৩. প্রায়শই আমার নামাজে খুব অল্প সময়ের জন্য যখন সেলোয়ার বা কোনো কিছুর স্পর্শ হয় উত্তেজিত ফিল করি। প্রায় প্রতিদিনই যাতে বিন্দুমাত্র আমার ইচ্ছা জড়িত নেই, বরঞ্চ আমি ডিসগাস ফিল করি। এক্ষেত্রে আমার আবার সবসময় সাদাস্রাব যায়। সাদাস্রাব না মযি বুঝতে না পারলে কি করব? কোনটা ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/22513/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

ওজুতে মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা ও ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো সুন্নত । তবে রোজাদারের জন্য নয়। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا "

লাকীত ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে ওজু সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেনঃ পূর্ণরূপে উযূ করবে, আর তুমি যদি রোযাদার না হও তাহলে উত্তমরূপে নাকে পানি পৌছাবে।

,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

وَالْمُبَالَغَةُ فِيهِمَا سُنَّةٌ أَيْضًا. كَذَا فِي الْكَافِي وَشَرْحِ الطَّحَاوِيِّ إلَّا أَنْ يَكُونَ صَائِمًا. كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة

ভালভাবে গড়গড়া করে কুলি করা, ও ভালভাবে নাকে পানি পৌঁছানো সুন্নত।তবে রোযাদারদের জন্য সুন্নত নয়। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৮)

সুতরাং যদি কোন রোজাদারের  রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় গড়গড়া কুলি করতে গিয়ে পেটে পানি চলে যায় তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। এটা নফল রোজার ক্ষেত্রেও।

,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تمضمض أو استنشق فدخل الماء  جوفه إن كان ذاكرا لصومه فسد صومه وعليه القضاء

কেউ যদি গড়গড়া কুলি অথবা নাকে পানি দিতে গিয়ে পানি পেটের ভিতরে চলে যাই এবং সে রোজাদার তার এ কথা স্মরণ থাকে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তার উপরে কাযা করা ওয়াজিব হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/২৬৫

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনি নিশ্চত না যে, আপনার গলার ভিতরে পানি চলে গিয়েছে। তাই শুধু সন্দেহের কারণে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার রোজা ভাঙ্গবে না ইনশাআল্লাহ। তাই কাফফারা ও কাযা কোনোটাই আসবে না।

বি:দ্র:রোজা রাখা অবস্থায় গড়গড়া কুলি না করা চাই (যদিও তা নফল রোজা হোক) । কারণ অনেক ক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত গড়গড়া কুলি করতে গিয়ে পেটে পানি চলে যায়।

,

২. এভাবে বলা ঠিক হবে না। আপনিই সত্যটাই বলার চেষ্টা করবেন।

৩. সাদাস্রাব বা মযি যেটাই বের হোক তা নাপাক এবং এগুলো বের হলে অযু ভেঙ্গে যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...