আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
১. প্রায় সকল বিজ্ঞানী নাস্তিক বা বিধর্মী।  তাহলে আমরা যে বিজ্ঞান ব্যবহার করি বা এর অনেক বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি এতে কি গুনাহ হয়? না কোন সমস্যা নেই সব জানা যাবে।

২. কোন নির্দিষ্ট বিষয় যা বিজ্ঞান কর্তৃক প্রমাণিত আর সমাজেও সঠিক বলে পরিচিত এমনকি স্বাভাবিকভাবে ইসলামেরও এতে সমস্যা নেই। সে বিষয় যদি সত্যিকার অর্থে ভুল হয় তাহলে কি সবার গুনাহ হবে?
৩. বই বিক্রি করা যাবে কিনা? সেটা পুরনো হওয়ায় অন্য দোকানে কম দামে বিক্রি করতে হয়।

৪. অন্যের ধার করা বই থেকে পড়ে তা মুখস্থ করে বা লেখে রেখে পরে ব্যবহার করা জায়েজ কিনা?

৫. কারো কোন একটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ যা আল্লাহ আছে কি নেই তা প্রমান করতে চায় ( সেটা প্রমাণ করা নয় বরং একটা ধারণা দিতে চায়) কিন্তু তার অন্য কোন প্রমান বিজ্ঞান এর সত্যিকার উন্নতি ঘটায় তাহলে ২য় মতবাদ গ্রহন করা যাবে কি? গুনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (713,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়?(হা-মীম সেজদা-৫২)

বিজ্ঞান সম্পর্কে চিন্তা করা দোষের কিছু নয়।বিজ্ঞানের সেই থিউরীই সঠিক যা কুরআনের মুওয়াফিক হবে। বিজ্ঞানিদের অধিকাংশ যদিও নাস্তিক হয়,তারপরও সর্ব স্বীকৃত বিজ্ঞানকে গ্রহণ করা যাবে।এবং এ নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

(২)
কোন নির্দিষ্ট বিষয় যা বিজ্ঞান কর্তৃক প্রমাণিত আর সমাজেও সঠিক বলে পরিচিত এমনকি স্বাভাবিকভাবে ইসলামেরও এতে সমস্যা নেই। সে বিষয় যদি সত্যিকার অর্থে ভুল হয়,তাহলে ঐ বিষয়কে মানা যাবে না।গ্রহণ করা যাবে না। অসত্য জানার পরও সত্যকে বাদ দিয়ে অসত্যকে গ্রহণ করা জায়েয হবে না।এজন্য গোনাহ হবে।

(৩)
বই পুরনো হওয়ায় দোকানে কম দামে বিক্রি করা যাবে।

(৪)
অন্যের ধার করা বই থেকে পড়ে তা মুখস্থ করা যাবে বা লিখে রাখাও যাবে। জায়েয রয়েছে।

(৫)
কারো কোন একটা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ যা আল্লাহ আছে কি নেই ? তা প্রমান করতে চায় ( সেটা প্রমাণ করা নয় বরং একটা ধারণা দিতে চায়) কিন্তু তার অন্য কোন প্রমান যদি বিজ্ঞান এর সত্যিকার উন্নতি ঘটায়, তাহলে সহায়ক হিসেবে তার উক্ত থিউরীকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যে, তাকে আদর্শ মানা যাবে না, তবে তার উক্ত মতবাদকে মানা যেতে পারে। এভাবে তার উক্ত মতবাদ কে উপস্থাপন করা যেতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...