আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
690 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ , আমার ভাই এর বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ভাই তিন বছর ধরে ঘরে বসা।মোটামুটি 2 বছর ধরে সে একদম বাসা থেকে বের হয় না। পড়ালেখা একদম বাদ দিয়ে দিসে। বাসার খাবার ভাত, তরকারি খায় না খালি বাহিরের মিষ্টি , চিপস, কোক, বিস্কিট খায়। তার মধ্যে অর্ধেক খাবার খায় বাকি অর্ধেক ফেলায় দেয়।2 বছর যাবৎ কোনও ভাত খায় নি। শুধু কাচ্চি বিরিয়ানী খায় অনেক প্রিয়। নিজের কাপড়ের অবস্থা ঠিক থাকে না, বাসায় ছোটো প্যান্ট পড়ে থাকে। চুল গুলো মেয়েদের মতো লম্বা। মানুষিক ভারসাম্য বা শারীরিক অবস্থা দুটোই ঠিক আছে। নরমালি ভালোভাবেই কথা বলে, যুক্তিবাদী আছে। আযান শুনলে কানে হাত দিয়ে রাখে। অন্ধকার ঘরে থাকতে পছন্দ করে এবং থাকে। বাসার সবার সাথে খারাপ রূঢ় আচরণ করে। এক ওয়াক্ত নামায ও পড়ে না ২ বছর ধরে। আগে ও ৫ ওয়্যাক্ত নামায পড়তো আবার এক্সট্রা অনেক নফল নামায পড়তো। এক চিল্লা দিয়ে আসছে , তাবলীগ করতো। এক চিল্লা থেকে আসার ৩ বছরের মধ্যে আসতে আসতে ওর এরোকম অবস্থা হলো। এমতাবস্থায় আমরা খুবই চিন্তিত ওকে নিয়ে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- 1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন- 1816 (এলাজে কুরআনী-০৩)
অথবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।আল্লাহর কাছে সালাতুল হাজত পড়ে দু’আ করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...