বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হযরত সা'দ রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «دَعْوَةُ ذِي النُّونِ إِذْ دَعَا رَبَّهُ وَهُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ {لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، سُبْحَانَكَ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: ٨٧] لَمْ يَدْعُ بِهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ فِي شَيْءٍ إِلَّا اسْتُجِيبَ لَهُ» " رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَالتِّرْمِذِيُّ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মাছ ওয়ালার দু'আ যখন তিনি মাছের পেঠে থাকাবস্থায় দু'আ করেছিলেন,
লা-ইলাহা, ইল্লা আনতা,সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায-যালিমীন।(সূরা আম্বিয়া-৮৭)
মুসলমান যে উদ্দেশ্যেই উক্ত দু'আ পড়বে, আল্লাহ তাকে অবশ্যই সফলকাম করবেন।(তার দু'আ কবুল করবেন) (মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৯২)
দেখুন উক্ত হাদীসে দু'আ ইউনুসের কথা বলা হয়েছে।কিন্তু তাতে সংখ্যা আলোচনা আসেনি।
বরং সেই দু'আ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
যেমন আব্দুর রাহমান মুবারকপুরী রাহ লিখেন,
وَحَدِيثُ سَعْدٍ هَذَا أَخْرَجَهُ أَيْضًا النَّسَائِيُّ وَالْحَاكِمُ وَقَالَ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَزَادَ فِي طَرِيقٍ عِنْدَهُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ كَانَتْ لِيُونُسَ خَاصَّةً أَمْ لِلْمُؤْمِنِينَ عَامَّةً فَقَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا تَسْمَعُ إِلَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ونجيناه من الغم وكذلك ننجي المؤمنين كذا في الترغيب
ইসাম হাকিম রাহ, এর এক সনদে (ত্বরিকায়) একটু অতিরিক্ত অংশ বর্ণিত রয়েছে,সেটুকু হল-
'এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ! এই দু'আ কি হযরত ইউনুস আঃ এর জন্য খাস নাকি সকল মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য হবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি কি আল্লাহ তা'আলার বাণী শুননি?
আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'আমি ইউনুসকে চিন্তা-পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করলাম।এবং এভাবেই আমি মু'মিনদেরকে মুক্তি দিবো।তুহফাতুল আহওয়াযী-৯/৩৩৬(শামেলা)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কোনো বিশেষ সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত হবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন,সেগোলো জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমরা বেশী করে পড়তে চাই।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা আমরা জানিনা।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যাকে বেশীর মানদন্ড ধরে নিলাম।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করবো।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।
সম্মিলিত ভাবে পড়া সম্পর্কে বলা যায় যে,
এটা কে সুন্নত মনে করা যাবে না।তবে যদি কোথাও সম্মিলিতভাবে পড়া হয়,তাহলে যেন এমনভাবে পড়া হয় যে,একজনের আওয়াজ অন্যজনের কানে না পৌছায়।বরং দূরত্ব বজায় রেখে পড়া হয়।