বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(এক)
গোনাহ ও সীমালঙ্ঘন মূলক কাজে সহযোগিতা করা হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَعَاوَنُوا۟ عَلَى ٱلْإِثْمِ وَٱلْعُدْوَٰنِ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন, সুদ গ্রহীতার উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর এবং বলেছেন এরা সকলেই সমান।(সহীহ মুসলিম-৩৯৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেসব আত্মীয়রা সুদে টাকা ধার করেছে (লোন করেছে), এবং বর্তমানে প্রত্যেক মাসে মাসে সুদসহ ধারের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে যাচ্ছে, তাদের বাসায় দাওয়াতে যাওয়া যাবে যদিও তারা সুদ দাতা। কেননা তারা সুদ দাতা, তাদের নিকট তো সুদের প্রাপ্ত কোনো মুনাফা নেই। তবে যদি তাদের নিকট অন্যান্য হারাম কোনো প্রকারের মাল থাকে, তাহলে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে না।
(১) এখন তাদের বিয়ের দাওয়াত বা এমনি যেকোনো দাওয়াতে যেয়ে খাওয়া যাবে।
(২) তাদের দেওয়া উপহার নেওয়াও যাবে।
(৩) নিজের আপন বোনের স্বামী সুদদাতা হলে, নিজের বোনের বাসায় খাওয়া যাবে এবং তাদের দেওয়া যেকোনো উপহারও নেওয়া যাবে।
(৪) নিজের বাবা সুদদাতা হলে, বাবার বাসায়ও যাওয়া যাবে এবং খাওয়া যাবে।