আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমরা ক্লাসে পড়েছি, ত্বলিবে ইলমের গিযা হালাল হতে হবে। হারাম কিছু থাকলে ইলম হাসিল হয় না, বা ইলম থেকে মাহরুম হয়।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব কাছের আত্মীয়রা সুদে টাকা ধার করেছে (লোন করেছে), এবং বর্তমানে প্রত্যেক মাসে মাসে সুদসহ ধারের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে যাচ্ছে, তাদের বাসায় কি দাওয়াতে যাওয়া যাবে? তারা নিজেরা সুদ না খেলেও, তারা সুদ দাতা। অর্থাৎ সুদের সাথে যুক্ত।
★এখন তাদের বিয়ের দাওয়াত বা এমনি যেকোনো দাওয়াতে যেয়ে কি খাওয়া যাবে?
★তাদের দেওয়া কোনো উপহার নেওয়া যাবে?

★নিজের আপন বোনের স্বামী সুদদাতা হলে, নিজের বোনের বাসায় কি খাওয়া ও তাদের দেওয়া কোনো উপহার নেওয়া যাবে?

★নিজের বাবা সুদদাতা হলে, এক্ষেত্রে কি বিয়ের পরে বাবার বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে? যেহেতু বাবার বাসায় গেলে সেখানেই খেতে হবে। বাবা-মা ভালোবেসে প্রায়ই কিছু না কিছু উপহার দিতে চান। তারা যেহেতু সুদদাতা, তাদের দেওয়া উপহার কি নেওয়া যাবে? বিয়ের পরে আম্মুর দেওয়া গৃহস্থালি উপহার, যেমন: ফ্রাইং প্যান, কড়াই, হাড়ি-পাতিল ব্যবহার করা যাবে?

★ যদি উপরোক্ত সবগুলো বিষয়ই নিষেধ থাকে, এক্ষেত্রে তাদের সাথে কিভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে আচরণ করতে হবে?
যেহেতু, বাবা-মা, আপন বোন, মামা-খালা সবাই খুব কাছের আত্মীয়। তাদের খাবার না খেলে, বা উপহার না নিলে তারা খুব কষ্ট পাবে। এক্ষেত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়গুলো কিভাবে হ্যান্ডেল করা যায়, এক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান কি, অনুগ্রহ করে জানাবেন।

জাযাকুমুল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (625,110 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(এক)
গোনাহ ও সীমালঙ্ঘন মূলক কাজে সহযোগিতা করা হারাম। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَلَا تَعَاوَنُوا۟ عَلَى ٱلْإِثْمِ وَٱلْعُدْوَٰنِ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন, সুদ গ্রহীতার উপর, সুদদাতার উপর, এর লেখকের উপর ও উহার সাক্ষীদ্বয়ের উপর এবং বলেছেন এরা সকলেই সমান।(সহীহ মুসলিম-৩৯৪৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেসব আত্মীয়রা সুদে টাকা ধার করেছে (লোন করেছে), এবং বর্তমানে প্রত্যেক মাসে মাসে সুদসহ ধারের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে যাচ্ছে, তাদের বাসায় দাওয়াতে যাওয়া যাবে যদিও তারা সুদ দাতা। কেননা তারা সুদ দাতা, তাদের নিকট তো সুদের প্রাপ্ত কোনো মুনাফা নেই। তবে যদি তাদের নিকট অন্যান্য হারাম কোনো প্রকারের মাল থাকে, তাহলে তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে না।

(১) এখন তাদের বিয়ের দাওয়াত বা এমনি যেকোনো দাওয়াতে যেয়ে খাওয়া যাবে।
(২) তাদের দেওয়া উপহার নেওয়াও যাবে।
(৩) নিজের আপন বোনের স্বামী সুদদাতা হলে, নিজের বোনের বাসায় খাওয়া যাবে এবং তাদের দেওয়া যেকোনো উপহারও নেওয়া যাবে।
(৪) নিজের বাবা সুদদাতা হলে, বাবার বাসায়ও যাওয়া যাবে এবং খাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...