আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

আমার ৬ মাস ধরে হায়েজ বন্ধ ছিলো। ২ মাস ধরে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাচ্ছি এই সমস্যার জন্য। কালকে ১ম রোজার দিন দুপুরে কেমন মেটে কালার স্রাব যায়।হায়েজ শুরু হওয়ার আগে যেমন হয় তেমন। তবুও জোহরের নামাজ টা পড়ে নেই।কনফিশন দেখে।বিকালে রক্ত যায় কিছুটা পরে ধরে নেয় হায়েজ হয়ে গেছে। রোজা ভেঙে দেয়।এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আর ব্লিডিং হয়নি।কিন্তু মেটে কালার স্রাব দেখা যায় এখন পর্যন্ত । এই অবস্থায় না পারছি নামাজ পড়তে না। পারছি রোযা রাখতে। কি করা উচিত বলুন মেহেরবানি করে।রমাদান এর মতো এই সময় পেয়েও কি ঝামেলাই পড়লাম।

1 Answer

0 votes
by (594,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এটি হায়েজ।
আপনি নামাজ রোযা বন্ধ রাখবেন।
রোযা গুলি পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবেন।

তবে যদি এই স্রাব পূর্ণ ৩ দিন হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায়,১০ দিনের মধ্যে এক বারের জন্যেও না আসে,বরং শুধুমাত্র সাদা স্রাব আসে,বা কোনো স্রাবই না আসে,সেক্ষেত্রে এটিকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে।

নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
৩ দিন পুরোপুরি হয় নি সাদা স্রাব দেখা দিয়েছি।এখন কি ১০ দিন এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে? নাকি নামাজ রোযা,কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবো।রমজান এর মতো একটা মাস পেয়েও এলোমেলো সময় যাচ্ছে।মেহেরবানি করে জানাবেন।{ ইবাদত তো করতে পাচ্ছি না ইয়া মালিক সহায় হোন}
ago by (594,870 points)
অপেক্ষা না করে আপনি নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত শুরু করে দিন।

১০ দিনের মধ্যে হায়েজ আর না আসলে সেক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আপনি নামাজ রোযা অন্যান্য ইবাদত অব্যাহত রাখবেন।

১০ দিনের মধ্যে আবারো হায়েজ আসলে এই কয়দিন পুরোটা হায়েজ হিসেবে ধরবেন।

এমতাবস্থায় হায়েজের দিন গুলোতে অনিচ্ছাকৃত নামাজ ইবাদত হওয়ায় আল্লাহ আপনাকে পাকড়াও করবেননা,বরং আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...