আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ


হুজুর একটি উত্তম পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ,, সত্যি বুঝতে পারছি না এখন আমার কি করা উচিত।
১। আমি বিয়ের জন্য Ahlia, OrdhekDeen-এর মতো কয়েকটি ওয়েবসাইটে বায়োডাটা দিয়েছিলাম (আম্মু আব্বুর সম্মতিতেই)। তবে সমস্যা হলো, আব্বু একদমই অনলাইনে পাত্র দেখায় বিশ্বাস করেন না। অনেক ভালো প্রস্তাব আসলেও তিনি গ্রহণ করেন না, বরং বারবার বলছেন যেন বায়োডাটা ডিলিট করে দেই। শেষ পর্যন্ত রাগে-দুঃখে বায়োডাটা হাইড করে রেখেছি।
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এখন যদি অফলাইনে কোনো প্রস্তাব আসে, সেটাও গ্রহণ করবো না—ভালো হলেও না করে দেবো! কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও দৃঢ় হতে পারছি না। কারণ, জীবনে যতবার আম্মু-আব্বুর মতের বাইরে কোনো কাজ করেছি, কখনো সফল হইনি—সবসময় বিপদে পড়েছি। অন্যদিকে, যেকোনো কাজে আম্মুর পরামর্শ নিয়ে এগুলেই সব সহজ হয়ে যায়।
এদিকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখি, অনেকেই পরামর্শ দেন যে অনলাইনে পাত্র/পাত্রী খোঁজা নিরাপদ নয়। ফেসবুক গ্রুপ ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার গল্প শুনেছি। অনেকেই নাকি সঠিক তথ্য দেন না, মিথ্যা বলে।

কিন্তু একই সঙ্গে দেখি, অনেকেই আবার অনলাইনে বিয়ে করে সুখী হয়েছেন এবং ইতিবাচক রিভিউও দেখি।
এখন সত্যি বুঝতে পারছি না—আমার জন্য কোনটি উত্তম হবে?
অনুগ্রহ করে একটি উত্তম পরামর্শ দিবেন?
পরিবারকে কীভাবে বোঝানো যায়? অনলাইনে চেষ্টা করা উচিত, নাকি একদম বন্ধ করে দেওয়া ভালো?  আমি অফলাইনে মা-বাবার প্রস্তাবে ভরসা করতে পারছি না।
২। বিয়ের কিছু আমল বলে দিন হুজুর, আমার পরিবার বিয়ে নিয়ে এতো সিরিয়াস না। এদিকে বয়স বেড়ে যাচ্ছে।
৩। মা-বাবার প্রতি ঘৃণা, রাগ দিন দিন শুধু বাড়ছেই, কিন্তু আমি এগুলো বাড়াতে চাই না। এগুলো থেকে কিভাবে বের হব।
by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

হুজুর একটি উত্তম পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ,, সত্যি বুঝতে পারছি না এখন আমার কি করা উচিত। 

১। আমি বিয়ের জন্য Ahlia, OrdhekDeen-এর মতো কয়েকটি ওয়েবসাইটে বায়োডাটা দিয়েছিলাম (আম্মু আব্বুর সম্মতিতেই)। তবে সমস্যা হলো, আব্বু একদমই অনলাইনে পাত্র দেখায় বিশ্বাস করেন না। অনেক ভালো প্রস্তাব আসলেও তিনি গ্রহণ করেন না, বরং বারবার বলছেন যেন বায়োডাটা ডিলিট করে দেই। শেষ পর্যন্ত রাগে-দুঃখে বায়োডাটা হাইড করে রেখেছি।  

সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এখন যদি অফলাইনে কোনো প্রস্তাব আসে, সেটাও গ্রহণ করবো না, ভালো হলেও না করে দেবো! কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও দৃঢ় হতে পারছি না। কারণ, জীবনে যতবার আম্মু-আব্বুর মতের বাইরে কোনো কাজ করেছি, কখনো সফল হইনি, সবসময় বিপদে পড়েছি। অন্যদিকে, যেকোনো কাজে আম্মুর পরামর্শ নিয়ে এগুলেই সব সহজ হয়ে যায়। 

এদিকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখি, অনেকেই পরামর্শ দেন যে অনলাইনে পাত্র/পাত্রী খোঁজা নিরাপদ নয়। ফেসবুক গ্রুপ ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার গল্প শুনেছি। অনেকেই নাকি সঠিক তথ্য দেন না, মিথ্যা বলে।
কিন্তু একই সঙ্গে দেখি, অনেকেই আবার অনলাইনে বিয়ে করে সুখী হয়েছেন এবং ইতিবাচক রিভিউও দেখি।  

এখন সত্যি বুঝতে পারছি না—আমার জন্য কোনটি উত্তম হবে? 
অনুগ্রহ করে একটি উত্তম পরামর্শ দিবেন? 
পরিবারকে কীভাবে বোঝানো যায়? অনলাইনে চেষ্টা করা উচিত, নাকি একদম বন্ধ করে দেওয়া ভালো? 

২। বিয়ের কিছু আমল বলে দিন হুজুর, আমার পরিবার বিয়ে নিয়ে এতো সিরিয়াস না। এদিকে বয়স বেড়ে যাচ্ছে। 

৩। মা-বাবার প্রতি ঘৃণা, রাগ দিন দিন শুধু বাড়ছেই, কিন্তু আমি এগুলো বাড়াতে চাই না। এগুলো থেকে কিভাবে বের হব।

1 Answer

0 votes
by (619,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)

আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لَا يَحِلُّ سَفَرٌ فِيهِ خَطَرٌ إلَّا بِإِذْنِهِمَا. وَمَا لَا خَطَرَ فِيهِ يَحِلُّ بِلَا إذْنٍ وَمِنْهُ السَّفَرُ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ
যে সফরে ক্ষতির আশংকা থাকবে সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।আর যে সফরে ক্ষতির সম্ভাবনা নাই,সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ।এর মধ্যে একটি হলো,ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা।অর্থাৎ ইলম অর্জনের জন্য সফর করা মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত ও বৈধ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অফলাইনে হোক বা অনলাইনে সর্বদা মাতাপিতার পরামর্শেই সামনে অগ্রসর হবেন। মনে রাখবেন, একমাত্র মাতাপিতাই আপনাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসেন।

(২) তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন। অবশ্যই আল্লাহ পূর্ণ করবেন।

(৩) যখনই মনে এসব চিন্তা আসবে, সাথে সাথে আউযু বিল্লাহ পড়ে নিয়ে অুজ করে দু রাকাত নামায পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...