আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
দ্বীনের পথে আসার পূর্বে আমি হারাম সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম এবং জিনাও করেছি। এতোই বেদ্বীন ছিলাম যে রোজার মাসেও জিনা করেছি(হারাম শারিরীক সম্পর্ক) আর অনেক বার হস্তমৈথুন করেছি। কিন্তু আমি সিউর না ঠিক কতোটা রোজা আমি হস্তমৈথুনের কারণে ভেঙ্গেছি। কতোটা রোজা জিনা করে ভেঙ্গেছি অথবা কয়টা রমাদান মাস এমন জিনা করেছি সেটাও কনফিউজড যেহেতু এগুলো প্রায় বেশ কিছু বছর আগের কথা৷ ফতোয়া মতে দেখেছিলাম স্ত্রী সহবাসের কারণে ভঙ্গ রোজার জন্য প্রতি রমাদানের জন্য একটি করে কাফফারা দিতে হবে। কিন্তু আমি সিউর না কয়টি রমাদান আমি এমন জঘন্য কাজ করেছি। খুব সম্ভবত ৩ টি অথবা ৪ টি। আর হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অসংখ্য রোজা ভেঙ্গেছি। আমি এখন জানতে চাচ্ছিলাম যে

১. যেহেতু হায়েজের জন্য টানা ৬০ টা রোজা রাখা সম্ভব নয় এবং লোকলজ্জার কারণেও সম্ভব নয়(যদিও আমার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই আলহামদুলিল্লাহ, শুধু একটানা রোজা রাখলে দূর্বল হয়ে পড়ি)। এক্ষেত্রে আমি কি ৬০ টি রোজা না রেখে ৬০ জনের ফিতরা আদায় করলে কাফফারা হবে?

২. হস্তমৈথুনের মাধ্যমে রোজা ভাঙলে কি শুধু কাযা রোজা রাখলেই হবে নাকি কাযা রোজার সাথে কাফফারাও দিতে হবে?  নাকি শুধু কাফফারা দিলেই হবে?
৩.হস্তমৈথুনের মাধ্যমে কয়টি রোজা ভেঙ্গেছি তা যেহেতু সংখ্যাটা জানি না তাহলে যদি কাযা রোজা রাখতে হয়,সেক্ষেত্রে কয়টি কাযা রোজা রাখবো?  আর যদি কাফফারা দিতে হয় তাহলে এই পর্যন্ত যতোগুলো রমাদানের যত রোজা ভেঙ্গেছি সবগুলো মিলিয়ে একটি কাফফারা দিলেই হবে? নাকি প্রতি রমাদানের জন্য আলাদা আলাদা একটি একটি কাফফারা দিতে হবে?

৪. হারাম শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে যেই রোজাগুলো ভেঙেছে সেগুলোর কাফফারা কিভাবে দিবো? কয়েকটা রমাদানেই যেহেতু ভেঙ্গেছে তাই প্রতি রমাদানের জন্য একটি করে যতোগুলো রমাদানে এমন হারাম শারিরীক সম্পর্কের মাধ্যমে রোজা ভেঙ্গেছি ততোগুলো কাফফারা দিবো নাকি সবগুলো মিলিয়ে একটি কাফফারা দিয়ে দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে?

৫. বর্তমান দ্রব্যমূল্য অনুযায়ী একটি ফিতরায় কত টাকা আসবে?
সবশেষে বলবো আমার জন্য খাস করে দু'আ করবেন আল্লাহ যেনো আমাকে মাফ করে দেন এবং আরও বেশি বেশি তাওবা করার সুযোগ দেন।

1 Answer

0 votes
by (619,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তাই আপনাকে ৬০ টি রোযার মাধ্যমেই কাফফারা আদায় করতে হবে।  রোযার সামর্থ্য থাকাবস্থায়  ৬০ জন মিসকিনকে ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলে রোযার কাফফারা আদায় হবে না। রোযার কাফফারা হিসেবে ধারাবাহিক ৬০ টি রোযা আদায়ের ক্ষেত্রে মধ্যখানে হায়েয চলে আসলে কোনো সমস্যা হবে না বরং রোযার কাফফারা আদায় হবে।

(২) হস্তমৈথুনের মাধ্যমে রোজা ভাঙলে শুধু কাযা রোজা রাখলেই হবে। এক্ষেত্রে রোজার কাফফারা আসবে না। 

(৩)হস্তমৈথুনের মাধ্যমে কয়টি রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে, সেটা অনুমান করেই নির্ধারণ করতে হবে।

(৪)হারাম শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে যেই রোজাগুলো ভঙ্গ করা হয়েছে, অতীতের সেই সবগুলো রোযার জন্য একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে।

(৫) বর্তমান দ্রব্যমূল্য অনুযায়ী একটি ফিতরা সমপরিমাণ সর্বনিম্ন ৯৯ টাকা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (619,740 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
হায়েজের পরে গননার ব্যাপারটা আসলে বুঝিনি। উদাহরণ হিসেবে,  আমার ২০টি রোজা রাখার পরই হায়েজ হয়ে গেলো,  তারপর হায়েজ শেষ হওয়ার পর আবার ২১ রোজা থেকে গননা শুরু করবো? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...