আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (21 points)
১. আমাদের একজন আত্মীয় গরিব, তাকে  যাকাতের টাকা দিতে চাচ্ছি কিন্তু সে এ টাকায় বিবাহের অনুষ্টানে খাওয়াবে।  এটা কি জায়জ আছে? কারণ বিবাহে তো এমন মানুষ ও আসবে যে যাকাতের টাকা খাওয়ার যোগ্য না।
২.  যাকাতের টাকা দিয়ে কি ফুড পেকেট করা যাবে?
৩. যাকাতের টাকা কি এমন পরিবারের এক সদস্য কে দেয়া যাবে যে  পরিবার যাকাত খাওয়ার যোগ্য না। যেমন এক মেয়ে কে আমি টাকা দিলাম গিফট জামা কিনতে কারণ তার নিজস্ব কোনো সম্পতি নেই কিন্তু তার পরিবার যাকাত খাওয়ার যোগ্য না। এটা কি জায়েজ?
৪. আমার মামার অনেক জমি আছে, গরু আছে ৪/৫ টা কিন্তু ক্যাশ টাকা নাই,  সংসার চালাতে কষ্ট  তার ব্যবসা নাই আর কৃষি কাজে তো টাকা আসে না প্রতি মাসে। সে কি জাকাত পাবে?
৫. আমার নানু মামার সংসারে থাকেন উনার হাতখরচ কি  দিতে পারবো যাকাতের টাকা থেকে?

1 Answer

0 votes
by (619,740 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16226

কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু) এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে। তাই কেউ গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত নেসাব পরিমাণ মালের  মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না, তবে সে বিনা জরুরতে যাকাতের মাল খেতে পারবে না তবে প্রয়োজনে খেতে পারবে।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/699


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনাদের ঐ গরীব আত্মীয় যদি যাকাতের টাকা গ্রহণের উপযুক্ত হন, তথার উনার উপর যাকাত ফরয না থাকে, তাহলে তাকে যাকাতের টাকা দিতে পারবেন। 
তিনি এই যাকাত গ্রহণের পর বিবাহের অনুষ্টানে খরচ করতে পারবেন।সেখানে  ধনীরা আসলেও কোনো সমস্যা হবে না 

(২) যাকাতের টাকা দিয়ে ফুড পেকেট করা যাবে।

(৩) যাকাতের টাকা এমন পরিবারের এক সদস্য কে দেয়া যাবে যে,পরিবার যাকাত খাওয়ার যোগ্য না। যেমন এমন কোনো মেয়েকে যাকাত দেয়া হল,যার নিজস্ব কোনো সম্পতি নেই কিন্তু তার পরিবার যাকাত খাওয়ার যোগ্য না। এভাবে যাকাত দেয়া যাবে।

(৪) প্রশ্নের বিবরনমতে আপনার মামাকে যাকাত দিতে পারবেন।

(৫) আমার নানুকে আপনার যাকাত দিতে পারবেন না। হ্যা, অন্যর যাকাত হলে তাকে দেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...