ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রা'ফে ইয়াদাইন মুস্তাহাব কি না?
এ সম্পর্কে উলামাদের মতপার্থক্য বর্ণিত রয়েছে।হানাফি ফিকহ মতে রু'কু সিজদাতে যাওয়ার প্রক্ষালে রা'ফে ইয়াদাইন মুস্তাহাব নয়।সুতরাং হানাফি ফিকহ মতে রু'কু সিজদাতে যাওয়ার প্রক্ষালে রা'ফে ইয়াদাইন অতিরিক্ত সওয়াবকে বয়ে নিয়ে আসবে না।
وَلَنَا أَنَّ الْآثَارَ لَمَّا اخْتَلَفَتْ فِي فِعْلِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُتَحَاكَمُ إلَى قَوْلِهِ وَهُوَ الْحَدِيثُ الْمَشْهُورُ: «أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ لَا تُرْفَعُ الْأَيْدِي إلَّا فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ، وَفِي الْعِيدَيْنِ وَالْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ»، وَذَكَرَ أَرْبَعَةً فِي كِتَابِ الْمَنَاسِكِ
হানাফিদের দালিলঃ
যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নামায পড়ার পদ্ধতি-যা আমাদের পর্যন্ত পরস্পরা বর্ণিত হয়েছে, তাতে যখন আমরা বিরোধপূর্ণ দেখতে পাই।তখন আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ঐ মশহুর হাদিস-যাতে রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে নামায পড়ার পদ্ধতি শিখিয়ে ঘোষনা দিয়েছেন-এর দিকে আলোকপাত করব।
তাতে বর্ণিত রয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সাতস্থান ব্যতীত হাতদ্বয় উত্তোলন করা যাবে না।যথাক্রমে-
(১)তাকবীরে তাহরিমা(২)দুই ঈদের তাকবীরে যাওয়ায়িদ(৩)বিতিরের নামাযে দু'অায়ে কুনুতের পূর্বে ইত্যাদি।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
253
তবে অন্যান্য মাযহাবমতে রা'ফে ইয়াদাইন যেহেতু মুস্তাহাব,তাই রা'ফে ইয়াদাইন করলে অবশ্যই অতিরিক্ত সওয়াব পাওয়া যাবে।
(২)
চার রা'কাতি সুন্নতে মু'আক্কাদ নামাযকে দু রা'কাত দু রা'কাত করে পড়া যাবে না।কেননা চার রা'কাতকে এক সালামে পড়া সুন্নতে মু'আক্কাদা ।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/১৫৯)
(৩)
খতনা করানো হলে হায়েজ অবস্থায় তাকে ছোঁয়া নিষিদ্ধ নয়।এরকম কোনো বিধিনিষেধ শরীয়তে নেই।
(৪)
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব তথা যিনি নিজে নিজে সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে শরীয়ত বুঝার ক্ষমতা রাখেন।
অর্থাৎ যিনি নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয়ে যথেষ্ট পারদর্শী থাকবেন।(১) তাফসীর(২)হাদীস ও হাদীসের রাবী(৩)আরবী ভাষা(৪)সালাফে সালেহীনদের বর্ণনাকৃত মাসাঈল ও তাদের মন্তব্য সমূহ।(৫)এবং কুরআন-হাদীস থেকে কিয়াস করে হুকুম বের করার যোগ্যতা।
উপরোক্ত বিষয়ে পারদর্শী কোনো ব্যক্তির জন্য তাকলীদে শাখসীর কোনো প্রয়োজন নেই।উনার কাছে নিজ ইমামের বিপরিত কোনো একটি দিক কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী প্রমাণিত হলে, উনি সেটার উপরই আ'মল করবেন। এমনকি তখন উনার জন্য নিজ ইমামের অনুসরণ বৈধ হবে না।(মাযহাব কি ও কেন দ্রষ্টব্য)
এছাড়া অন্য সবার জন্য নিজ ইমামের প্রত্যেকটি মতামতকে মান্য করা ওয়াজিব।আরো জানতে ভিজিট করুন-
4125