ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/87848/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছে-
[عن عبد
الواحد بن معاوية بن خديج:] نَهى عنِ الطَّعامِ الحارِ حتّى يبرَدَ.
السيوطي
(ت ٩١١)، الجامع الصغير ٩٣٥٦ •
মার্মার্থ: রাসূল সা.
এমন গরম খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা খেতে নিষেধ করেছেন।
উরওয়া রাহ. বর্ণনা করেন, (খলীফাতুল মুসলিমীন
হযরত আবু বকর রা.-এর বড় কন্যা) আসমা রা. যখন ছারীদ (এক ধরনের খাবার) প্রস্তুত করতেন
তখন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত তা খেতেন না। এবং বলতেন
إِنِّي
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقُولُ: " إِنّهُ
أَعْظَمُ لِلْبَرَكَةِ.
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তা (খাবার ঠা-া করে খাওয়া) অধিক বরকতের কারণ। (মুসনাদে আহমাদ,
হাদীস ২৬৯৫৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫২০৭)
হযরত আবু হুরাইরা রা.
থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, খাবারের ভাপ না যাওয়া পর্যন্ত তা খাওয়া উচিত
নয়। (সুনানে কুবরা, বায়হাকী,
বর্ণনা ১৪৬৩১; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, বর্ণনা ৫৫১৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
“ধোয়া উঠা খাবার খাওয়া
হারাম” এমন কথা কোনো হাদীসে নেই। বরং রাসূল
সা. এমন গরম খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা খেতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং যদি তা ক্ষতিকর
না হয় তাহলে খেতে নিষেধ নেই। তাই সে হিসেবে, চা, কফি, সুপ পরিমাণমত
সহনীয় পর্যায়ের গরম খেতে পারবেন।