ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/4116/
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি
যে, শরীয়তের বিধান হলো
চাদরে কিংবা কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার
ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায়
কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )
وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل
مرة
অদৃশ্যমান নাপাক
বস্তু তিন বার ধৌত করত্র হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে। (নুরুল ইযাহ ৫৬)
উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে
এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার
ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে
ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩)
★★এটাই মূলনীতি। হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ
الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ
تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত
কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর
সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
নাপাক কাপড়
পরে গোসল করার ক্ষেত্রে যদি বেশি পরিমাণ পানি কাপড়ের উপর ঢালা হয় এবং কাপড় ভালোভাবে
কচলে ধোয়া হয় যার ফলে কাপড় থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে
এর দ্বারা কাপড়টি পাক হয়ে যাবে। আর দৃশ্যমান কোনো নাপাকি থাকলে ঐ নাপাকি কচলে ধুয়ে
দূর করে নিলে কাপড় পাক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, শরীর বা কাপড়ের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের আগেই
পৃথকভাবে ধুয়ে পাক করে নেওয়া উচিত। (আদ্দুররুল
মুখতার ১/৩৩৩; শরহুল মুনইয়া ১৮৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৮; আননাহরুল ফায়েক ১/১৫০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. যদি আপনার কাপড়ে নাপাকী লাগার প্রবল আশংকা হয় তাহলে আপনার
কাপড় পবিত্র করে বা পরিবর্তন করে ফজরের সালাত আদায় করতে হবে। তবে সন্দেহ থেকে বাঁচার
জন্য কাপড় পরিবর্তন করে সালাত আদায় করাই শ্রেয়। গোসল করার প্রয়োজন নেই যদি শরীরে নাপাকী
না লাগে।
২. যদি আপনি নিশ্চিত
থাকেন যে, উক্ত স্রাব অজুর পরে বের হয়নি তাহলে কোন সমস্যা নেই। তা ধৌত করার পর সালাত
আদায় করা যাবে।