আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। কিছুদিন আগেও প্রশ্ন করেছিলাম যে আমার পরিবারে বাবা মায়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয় যেটা আমাকে ছোট বেলা থেকেই হ্যাম্পার্ড করেছে। যেটা এখনো খুব খারাপভাবে চলমান।এই মর্মে পরামর্শ চায়লে আই ফতোয়া থেকে আমাকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে দোয়া করার পরামর্শ দেয়া হয়। আমি চেষ্টা করেছি যথেষ্ট দোয়া করার, সূরা বাকারা পড়ার আরও যা যা করা যায়।

বিষয় হলো বাবা মায়ের মধ্যে ঝগড়া আগে থেকেই দেখে আসতেছি কিন্তু বাবাকে কখনো এতোটা খারাপ ভাবিনি। সেদিন শুনলাম আমার বাবা অন্য কোথাও একটা বিয়ে করেছে। যাইহোক, কিন্তু তিনি বিয়ে করলেও তার যে ইনকাম ছিলো তা দিয়ে কখনোই দুই ফ্যামিলি চালানোর এবিলিটি ছিলোনা। আমার মায়ের বিয়ের আগে কিছু জামানো টাকা ছিলো, আর কিছু নানা দিয়েছিলো। এই গুলোকে ইনভেস্ট এর মাধ্যমে টাকা বাড়িয়ে বাড়িয়ে আর আমার বাবার ইনকাম দিয়েই আমাদের সংসার চলছিলো। আমরা তিন বোন।ভাই নেই। আমিই বড়। মাঝ খানে কিছু সময় বাবার ইনকাম একটু বারে। সেই টাকা দিয়ে গ্রামে ৫ তলা একটা বাড়ি করা হয় মোটোটি অনেক টাকা খরচ করে। এই বাড়ির পিছনে আমার নানার দেয়া কিছু টাকাও আছে।তাই বাড়িটা আমার মায়ের আর বাবার নামে ভাগাভাগি করে করা হয়। যাইহোক, চলছিলো সবই ভালো। মহামারি করোনার পর কিছু ঝামেলায় আমার বাবা চাকরি ছেড়ে দেয়। বাড়ির উপর ২০ লাখ টাকা লোন উঠিয়ে একটা বিজনেস দেয়। কিন্তু বিজনেস ধরে রাখেনা। সেই টাকা নিয়ে অন্য একটা বিয়ে করেছে সেই মহিলাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছে, রেস্ট্রুরেন্টে খেয়েছে etc. এমন কি সংসার চালানোর খরচ নেই,বিজনেস করবে হেনতেন বলে আমার মায়ের সকল জমানো টাকা নেয়, আমার মায়ের সহ আমাদের যে একটু আধটু গোল্ডের জিনিস ছিলো, যেমন আমার ছোট এক জোরা কানের দুল ছিলো, আমার বোনদের এক জোরা করে ছিলো, আর আমার মায়ের কিছু ছিলো এইসব বন্ধক দেয়, দিয়ে টাকা নেয় বলে ঢাকায় এসে বিজনেস করে কিন্তু আসলে তা না। কিছুই করেনি। সব টাকা ঐ মহিলাকে দিয়েছে। গ্রামে আমার মায়ের নামে জমি ছিলো সেটাও বিক্রি করেছে বিভিন্ন অজুহাতে সে টাকাও ঐভাবে নষ্ট করেছে। আর আমাদের খরচ তো কখনো আমার বাবার টাকায় দেয়-ই নি। আমাকে পড়াচ্ছে এটা আমার মা নানা বাড়ি থেকে যে সম্পদ পেয়েছে উত্তরাধীকার সূত্রে সেটা দিয়ে। আর সবসময় আমাদের বলে এসেছে, "আমার ইনকাম দিয়ে তো হয়না তাই তোর মায়ের টা দিয়ে খরচ দিতে বল।" তারপর বাড়ির এই লোন বুঝানোর জন্য যে টাকা দিতে হয় এসব টাকা মা ম্যানেজ করে আমার বাবাকে ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে। কিন্তু কিছুই জমা দেয়নি আমার বাবা।সব টাকা ঐ মহিলাকে নিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। পরে আর আমার মায়ের কাছেও টাকা নেই, বাবার কাছে তো আগে থেকেই টাকা নেই। মাঝখানে বাবা ঐ মহিলার সাথে ফোনে কথা বলতে গিয়ে মায়ের সাথে ধরাও পরেছে, এরপর স্বীকার করেছে এসব কাহিনী। এখন আর টাকা দিতে পারেনা দেখে ঐ মহিলা বাবাকে ভয় দিছে টাকা না দিলে ক্ষতি করবে, মেরে ফেলবে।এই জন্য ভয় পেয়ে এখন আমার মায়ের কাছে এসে বলেছে তালাক করিয়ে দিতে। যাইহোক তালাক করিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমার বাবা এখন আবার আমার মায়ের পিছন পিছন ঘুরতেছে যেনো 20 লাখ টাকার কিস্তিকে ট্রান্সফার করে 30 লাখ করে দেয়। কী যেনো কি প্রসেস আছে আমি এসব বুঝিনা। কিন্তু এখন আমার মা দিবেন না, বলেছে না দিলে আমার মাকে তালাক দিবে। আমার মা বলেছেন তিনি বাড়িটা বিক্রি করে তার অংশের টাকা নিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে চলে যাবেন। কিন্তু এতো বড় একটা বাড়ির গ্রাহক পাওয়া সহজ কথা নয়। আবার গ্রামে। এই হলো হালত এখনকার। আমার বাবার মেয়েদের পিছনে ছোটার এসব কাহিনী ছোট থেকেই শুনতেছি আমি।সবসময় এমন করে।

আমার আসলে প্রচুর ঘৃণা জমে গেছে। দোয়াও করতে ইচ্ছে করেনা আর উনাদের জন্য। কিন্তু বাবা মা যেমনই  হোক ইসলামে তো তাদের প্রায়োরিটি অনেক উস্তায। কি করা উচিত উস্তায এখন আমার? সব শুনে খুব রাগ হয়েছে। বাবার সাথে কথা বলিনি এসব শুনে এখনো। আমি তো তাদের সাথে থাকিনা। মেসে থাকি। বাড়ি যেতে ইচ্ছে করেনা। অনেক দিন থেকে যাইও না। ঈদেও যাওয়ার ইচ্ছে নেই। এইদিকে আমার খরচ দেয়ার মতো টাকাও তাদের কাছে নেই। আমারও কোনো ইনকাম সোর্স নেই। আমার ইচ্ছে করে ফোন দিয়ে বাবার উপর খুব চিল্লাতে কিন্তু আমি যদি এমনটা করি তাহলে তো আল্লাহ অসন্তষ্ট হবেন। তাই কিছুই বলিনা। কিছুই ভালো লাগছেনা উস্তায। বাড়ি থেকে ছোট বোনটা শুধু ফোন করে আমাকে,বলে  যে বাড়িতে প্রতিদিনই মারামারি বা ঝগড়া হয়। এমন কোনো রিলেটিভও নেই যে যারা একটু হেল্প করবে। কেউ নেই। আমি কি করবো উস্তায? মাকে কি সাজেশন দেবো? তিনি আমার কাছে সাজেশন চান।


দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে জেনারেল পড়াশোনার বিষয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেছি। B.SC নার্সিং পড়ি,3rd year running। এখানে কোনো পর্দা করা যায়না। কোনো পর্দার অপশন নেই। ড্রেস কোড আছে ঐটা পরতে হয়। হাত মোজা পা মোজা পরা যায়না। নিকাব পরা যায়না, স্টুডেন্ট অবস্থায় হসপিটালে ডিউটি থাকে তাই নন মাহারামকে সেবা দিতে হয়। নাইট করতে হয়। প্রাইভেট হসপিটালে পড়ি। পর্দার কোনো পরিবেশই নেই। ভেবেছিলাম ছেড়ে দিবো। দ্বীনদার দেখে বিয়ে করবো। পরিবারকে দাওয়া দিচ্ছিলাম আমার বাবা মায়ের টুকটাক ঝগড়ার মধ্যেই। বলছিলাম বুঝিয়ে যে আর পড়তে চাইনা, দ্বীনদার ছেলে দেখে যেনো বিয়ে দিয়ে দেয়। ছেলেও দেখছিলো তারা কিন্তু ছেলে নামাজ পড়ে কিনা এই ন্যূনতম খোঁজটাও নিতেন না, শুধু সেলারী দেখতেন, আর আমাকে বলতেন বিয়ের পর যেনো আমি ইসলামিক বানিয়ে নিই ছেলেকে। কি আর বলবো ! এসব নিয়ে বাড়িতে আমার দ্বন্দ চলছিলো। আমি অর্ধেক দ্বীনে বায়োডাটা দিয়েছিলাম কিন্তু ডিউটি আর ক্লাস অবস্থায় নিকাব,হাত মোজা পা মোজা পরিনা দেখে আমার বায়োডাটা এপ্রুভ করেনি। আহলিয়াতে বায়োডাটা দিয়েছিলাম। সেরকম কোনো রেসপন্স আসেনি। এভাবেই চলছিলো। জেনারেল পড়াশোনায় আর মন বসছিলোনা। ঠিক মতো কলেজে না গেলে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দিবেনা জেনেও কলেজে যাইনা ঠিকঠাক। মনটা থাকতে চায়না আর এই পরিবেশে। আমার জীবনে এসব চলতে চলতেই এখন বাবার বিষয়টা সামনে আসে। এখন আমার বিয়ে করতেও ভয় লাগছে, যত বায়োডাটা লিস্টে রেখেছিলাম সব ডিলিট করে দিছি। কি করবো আমি বুঝতছিনা। জেনারেলেও থাকতে ইচ্ছে করছেনা, আবার এখন পরিবেশ পরিস্থিতি খুব জটিল। আবার ভাবছি আমার ফ্যামিলি হিস্ট্রি শুনলে কোনো দ্বীনদার ছেলেও আমাকে বিয়ে করতে চায়বেনা। আবার ভয়ও করছে বিয়েটাকে। অনেক বিবাহিত বোনরাও বলে সবসময় ম্যারেড লাইফ ভালো হয়না।

কি করি উস্তায? কি করতে পারি? একটু মাশোওয়ারা করুন। বাবা মায়ের বিষয়টা নিয়েই বা কি করি, জেনারেল পড়াশোনা ছাড়াটা কতটা যৌক্তিক ! পরিবারের এসব ঋণ... আমি করবো এখন?

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/39894/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
পর্দা রক্ষা করা ফরজ। 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

★অসুস্থ্য মানুষদের সেবা করাও সওয়াবের কাজ। যেহেতু মহিলাদের  জন্য মহিলা ডাক্তারের প্রয়োজন। 
তাই মহিলাদের জন্য পর্দার বিধান পুরোপুরি ভাবে পালনের শর্তে ডাক্তারী শিক্ষা অর্জন করা,ডাক্তারী করা জায়েজ আছে।  
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/২৫৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইসলামি স্কলারগন  মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।

সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।

তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী কিছু বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটি)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে,
قد تجد الطبيبة حرجا وصعوبات في تغطية وجهها عن غير المحارم أثناء عملها، فهل هذا يعتبر من الضرورة لكشفه؟
মহিলা ডাক্তার তার কর্মস্থলে ডিউটি করার সময় পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখতে সমস্যা ও কষ্ট হয়। সুতরাং চেহারা খোলা রাখার জন্য এটাকে জরুরত হিসেবে গণ্য করা যাবে কিনা?

তাঁরা উত্তর দিয়েছেন,
يحرم على المرأة كشف وجهها لغير محارمها، وليس هناك ضرورة لكشف الوجه في العمل
নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা হারাম। আর ডিউটি করার সময় প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চেহারা খুলে রাখার জরুরত বিদ্যমান নেই। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১৭/২৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নারীদের নার্স হওয়া জায়েজ আছে।
তবে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।    
শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  
সহকর্মীদের সাথে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলবে,অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে হেফাজতে থাকবে।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য যদি বেপর্দা হতে হয়,শরীয়াহ বিরোধী কাজ করতে হয়,সেক্ষেত্রে বেপর্দা হওয়া এবং শরীয়াহ বিরোধী কাজ করার গুনাহ তো অবশ্যই হবে।

তদুপরি উলামায়ে কেরামগন বিশেষ জরুরতের স্বার্থে কিছু মুসলিমদেরকে ডাক্তার হওয়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করেছেন,যাতে সমাজে পুরুষরা পুরুষের চিকিৎসা দিতে পারে, নারীরা নারীদের চিকিৎসা দিতে পারে, তদুপরি শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে শরীয়াহ বিরোধী কাজ হয়ে গেলে সেই কাজ করার গুনাহ তো অবশ্যই হবে।

তবে কোনো ভাবেই গুনাহ হতে বাঁচা সম্ভব না হলে মেডিক্যাল শিক্ষার পাশাপাশি ইস্তেগফার পাঠ করে যাওয়ারও পরামর্শ উলামায়ে কেরামগন দিয়ে থাকেন।

★সুতরাং আপনি সহ শিক্ষার শর্তাবলি মেনে হসপিটালে পড়তে পারেন।

সহ শিক্ষার বিধান জানুনঃ- 

আরো জানুনঃ 

উপরোক্ত শর্তগুলি পূর্ণ রুপে মেনে পুরো শরীর,চেহারা,হাতা পা ঢেকে পর্দা করে মহিলাদের জন্য মেডিকেলে লেখাপড়া করা,ইন্টার্নশিপ করা জায়েজ হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উম্মাহ এর খিদমাহ এর স্বার্থে,পর্দানশীন নারী রোগী দের পর্দা রক্ষার্থে সার্জারিতে দ্বীনদার মহিলা ডাক্তারদের ক্যারিয়ার করা জায়েজই শুধু নয়,বরং এটি
বর্তমান সময়ে অতিব প্রয়োজন।

তবে সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে,গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে থেকে বিরত থাকতে হবে।   

শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  
পুরুষদের সেবা করা যাবেনা।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত শর্তাবলী যেহেতু আপনি মেনে চলতে পারতেছেন না পাশাপাশি আপনি ডিউটির সময় নেকাব  আটকে রাখতে পারতেছেন না, আপনি বেপর্দা ভাবে চলতেছেন, সুতরাং আপনার জন্য এভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া জায়েজ হবে না।
এভাবে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এক্ষেত্রে এটি যে হারাম সেটা মেনে নিয়েই চলতে হবে।

★ আপনার মায়ের প্রতি পরামর্শ তিনি আপনার বাবাকে আর কোন টাকা দেবেন না।

টাকা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সেক্ষেত্রে পারিবারিক মুরব্বি এবং এলাকার মুরব্বিদের মাধ্যমে মিটিং করে আপনার বাবাকে  ভালোভাবে তারা বুঝানোর ব্যবস্থা করবেন। এতে কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনার মা চাইলে আইনি সহায়তাও নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...