ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/8450/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করা ওয়াজিব। সুতরাং এ সিজদা আদায় না করলে
কবীরা গোনাহ হয়।
তিলাওয়াতে সিজদা আদায় করারর নিয়ম ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
,
এক. হাত না উঠিয়ে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবার বলে সোজা সিজদায়
চলে যেতে হবে।
দুই. সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার পড়ে আল্লাহু আকবার
বলে দাঁড়াতে হবে।
তিন. সিজদা মাত্র একটি হবে।
চার. এতে তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই।
পাঁচ. তিলাওয়াতে সেজদার জন্য হাত উঠাতে বা হাত বাঁধতে হবে না
এবং দুটি সেজদাও করতে হবে না।
ছয়. নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত আছে
যেমন-অজু থাকা, জায়গা পাক, শরীর পাক,
কাপড় পাক এবং কেবলামুখি হওয়া ; ইত্যাদি তিলাওয়াতের
সিজদার জন্যও এসব শর্ত প্রযোজ্য।
,
কখন আদায় করতে হবে?
,
০১. নামাজের মধ্যে হলে ততক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব। আদ্দুরুল মখতার
২ খন্ড ১১০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে-
ﻭَﻟَﻮْ
ﺗَﻼَﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺳَﺠَﺪَﻫَﺎ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻻَ ﺧَﺎﺭِﺟَﻬَﺎ
(অর্থাৎ- যদি নামাজে তেলাওয়াতে সিজদা পাঠ করা হয় তাহলে নামাজেই
সিজদা করতে হবে।নামাজ শেষ করে করলে আদায় হবে না।)
,
নামাজে আদায় করার পদ্ধতি হলো, যদি সূরার শেষাংশে সেজদায়ে
তিলাওয়াত হয়, তাহলে নামাজের মধ্যেই উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত পড়ার পূর্বে আদায়
করতে হবে এবং করাই ওয়াজিব। মধ্যাংশে হলে উক্ত আয়াতের পর তিন আয়াত থেকে একটু বেশীও পড়া
যাবে।
,
০২. নামাজের বাইরে তিলাওয়াতে সেজদা পড়লে তৎক্ষণাৎ আদায় করা ওয়াজিব
নয় বরং যে কোনো সময় আদায় করা যাবে তবে তারাতারি আদায় করে নেওয়া উত্তম। বেশী দেরী করা
যাবে না, কেননা ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে গোনাহগার হবে। এ প্রসঙ্গে
ফাতওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত আছে-
لمافي
الدرالمختار
ﻭَﻫِﻲَ
ﻋَﻠَﻰ اﻟﺘَّﺮَاﺧِﻲ) ﻋَﻠَﻰ اﻟْﻤُﺨْﺘَﺎﺭِ ﻭَﻳُﻜْﺮَﻩُ ﺗَﺄْﺧِﻴﺮُﻫَﺎ ﺗَﻨْﺰِﻳﻬًﺎ،
و
في رد المحتار
تحت
قوله “على المختار ”
اﻹِْﺟْﻤَﺎﻉَ
ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﺗَﺮَاﺧَﻰ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺩَاءً ﻣَﻊَ ﺃَﻥَّ اﻟْﻤُﺮَﺟَّﺢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﻠَﻰ
اﻟْﻔَﻮْﺭِ ﻭَﻳَﺄْﺛَﻢُ ﺑِﺘَﺄْﺧِﻴﺮِﻩِ
(অর্থাৎ-দেরীতে তেলাওয়াতে সিজদা আদায় করলে আদায়-ই হবে, (ক্বাযা হবে না)
যদিও ততক্ষনাৎ আদায় করা উত্তম,এবং বেশী দেরী করা মাকরুহে তানযিহি ও গোনাহ।)
সবাই বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করুন।
প্রভূর দরবারে তাওবার মাধ্যমে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি
চোখের পানি ছেড়ে দোয়া করুন। আরো জানুন- 1329
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
,
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে নামাজ হয়ে গিয়েছে। কোনো সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ।