আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (84 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১- সূরার কোন আয়াত পড়ার ক্ষেত্রে যেমন আয়াতুল কুরসী বা সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, এগুলো যখন পড়ব তখন কি আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে পড়া শুরু করতে হবে?

নাকি এগুলা না বলেই আয়াত পড়লেই হবে?

২- টাইট পায়জামা (টাইস/প্যান্ট) এসব পড়ে কি নামাজ হবে? শীতের দিনে শীত কমাতে এসব পড়া হয়। এছাড়া আলাদা খিমার পড়ে নামাজ পড়া হয়, যেটা হাটুর নীচ পর্যন্ত।

৩- কেউ যদি পাবলিকলি ভালো কোন মুহুর্তের ব্যাপার ফেসবুকে শেয়ার করে,সাথে আল্লহর নাম উল্লেখ করে।আলহামদুলিল্লাহ বলে। তাহলেও কি মানুষের নজরের ভয় আছে??

৪- নজর থেকে হেফাজতের জন্য সহজ কিছু দোয়া আরবিতে বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (709,840 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1300 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি.......
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।
এবং পড়াই সুন্নাত।
আল্লাম ইবনে নুজাইম রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আয়াতুল কুরসি বা কোনো সূরার মধ্যখান থেকে আউযুবিল্লাহ এবং বিশুদ্ধ মাতানুযাী বিসমিল্লাহ পড়াও সুন্নত।

(২)
ঘরের মধ্যে বা বোরকার নিচে টাইট প্যান্ট পড়া যাবে।তবে গায়রে মাহরামের সামনে এমনকি মাহরামের সামনেও পরিধান করা যাবে না।

(৩) না, নজরের ভয় নেই।

(৪)
https://www.ifatwa.info/12071
হযরত অায়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।(সহীহ মুসলিম-২১৯৫)

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)

বদনজর থেকে বাঁচতে সূরা নাস এবং সূরা ফালাক পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...