আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম।

আমার এক ফুফাতো ভাবী অনেক বেশি বেশি আমাদের বাড়িতে আসে।

সে শাড়ি পরে, সবার সামনে উন্মুক্ত পুকুরে গোসল করে, পর্দা নিয়ে কোন ফিকির নাই।

অনেকভাবে তাকে বুঝাতে চেয়েছি ইশারা, ইঙ্গিতে, সরাসরি যে নন-মাহরামের জন্য আমাদের গুনাহ হচ্ছে।

সে আসলে নিছক গল্প গুজব করতে আসত, আসলে আমাদের সময় নষ্ট হত, গীবত হত।

সে আমার রুমেও যেত মাঝেমধ্যে, পরে একটু অনুমতি নিয়েই আসতো, কিন্তু গ্রামের মানুষতো ভালোভাবে নিয়ম মানতে পারতো না।

পরে একটা অবিশ্বাস্য ঘটনার কারণে এবং ফিতনার আশঙ্কায়, আমি একেবারে সহজভাবে সরল কথায় তাকে বলে দিয়েছি যে সে যেন আমাদের বাড়ি কোন দিন না আসে, এমনকি আমারা মারা গেলেও যেন না আসে।

এতে কি আমি গুনাহগার হয়ে গেছি??

যদি কবিরা গুনাহ হয়ে থাকে, তাহলে কি করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মোল্লা আলী কারী রাহ, লিখেন,
وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّ مَنْ خَافَ مِنْ مُكَالَمَةِ أَحَدٍ وَصِلَتِهِ مَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ دِينَهُ أَوْ يُدْخِلَ مَضَرَّةً فِي دُنْيَاهُ يَجُوزُ لَهُ مُجَانَبَتُهُ وَبُعْدُهُ، وَرَبَّ صَرْمٍ جَمِيلٍ خَيْرٌ مِنْ مُخَالَطَةٍ تُؤْذِيهِ.
উলামাগণ একমত যে, কারো সাথে কথা বললে বা মিলিত হলে যদি তার দ্বীন নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বা তার দুনিয়া তার জন্য কষ্টকর হবে বলে ধারণা হয়, তাহলে এমন মানুষ থেকে দূরে থাকার জায়েয রয়েছে।অনেক সম্পর্ক বর্জন বা দূরত্ব এমন রয়েছে যা মিলিত হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/61503

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো চরিত্র খারাপ বা কেউ বদ মেজাজী হলে কিংবা তার সাথে চলাফেরা করলে, আর্থিক,শারীরিক, মানসিক, দ্বীনি, দুনিয়াবি ইত্যাদি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, তখন ঐ ব্যক্তি থেকে দূরে অবস্থান করা যাবে।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে উপরোক্ত আত্মীয় স্বজন থেকে নিরাপদ দূরে অবস্থান করা যাবে। মৌখিকভাবে তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখাই উচিৎ ও কাম্য।হ্যা, আন্তরিকভাবে দূরে অবস্থান গ্রহণ করা যাবে।

তাকে স্পষ্টভাবে মুখের উপর না করে দেয়াটা উচিৎ হয়নি, বরং আপনার উচিত ছিলো তাকে হেদায়তের দাওয়াত দেওয়া। তার নাসিহা করা। তবে এসবকিছু করার পর যদি আপনারা অপারগ হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে এভাবে বলাতে কোনো সমস্যা হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...