আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। কিছুদিন আগে আমার ডিভোর্স হয়েছে, বর্তমানে আমি ইদ্দত পালন করছি। আমার ১ বছরের ছেলে সন্তান আছে। কিছু প্রশ্ন জানার আছে, যথাযথ উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ।
১) আমি আমার সন্তানকে আমার কাছে রাখতে চাই। অনেক প্রশ্নের উত্তরে দেখলাম ছেলে বাচ্চা ৭ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকবে যদি বিয়ে না হয় অন্য জায়গায়। আমি যদি কখনোই আর বিয়ে না করি তবে কী আমার সন্তানকে আজীবন আমার কাছে রাখতে পারবো?
২) কতদিন পর্যন্ত আমার সন্তানের ভরনপোষণ নিতে পারবো তার বাবার কাছে থেকে?
৩) আমার সন্তানের বাবা একজন ডাক্তার। কিন্তু সে দ্বীনদার নয়, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতও ঠিকমতো আদায় করেনা। তার দ্বিতীয় স্ত্রী আছে। সে বলে বাচ্চাটাকে যেনো তাদের কাছে দিয়ে দেই,তারা তাকে অনেক যত্নে রাখবে। আমি জানি তাদের কাছে থাকলে আমার সন্তান অনেক বিলাসিতার জীবন পাবে।কিন্তু তার আখিরাত গোছানো হবেনা। আমি মা হয়ে কী করে সহ্য করবো যে আমার সন্তান বিপথে চলে যাবে।  আমি যদি বাচ্চাটাকে তাদের কাছে দিয়ে দেই, আর সে যদি দ্বীনদার না হয়ে দুনিয়াদার হয়ে যায় তবে কী কাল কিয়ামতের দিনে আল্লাহর কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে?
৪) যদি তারা জোর করে আমার সন্তানকে আমার কাছে থেকে নিয়ে নেয় তবে কী তা আমার প্রতি জুলুম করা হবে না?  একজন মায়ের কাছে থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে নিলে আল্লাহ কী তাদের পাকড়াও করবে না?
৫) যদি আমার সন্তানের বাবার কাছে থেকে অনুরোধ করে, তাকে রাজী করিয়ে আমার সন্তানকে আজীবন আমার কাছে রাখার পারমিশন নিতে পারি, আর সে যদি পারমিশন দেয় যে বাচ্চাটিকে নিয়ে আমি অন্যএ বিবাহ করতে পারবো তবে কী তা জায়েজ হবে?  আমি কোনো অবস্হাতেই আমার সন্তানকে ছাড়া থাকতে পারবোনা।
৬)ইদ্দত শেষ হলে বাচ্চাকে নিয়ে অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হবো, আমাকে কাজ করতে হবে তাই।এখন বাচ্চার বাবা, দাদা অডিও, ভিডিও কলে কথা বলবে। আমার সন্তান তো একা কথা বলতে পারবেনা, সেক্ষেত্রে আমি কীভাবে আমার কন্ঠের হেফাজত করবো?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাকের পূর্বে হোক বা পরে হোক নাবালক সন্তানাদির লালন-পালনের দায়িত্ব হল স্ত্রীর তথা উক্ত সন্তানাদির মা। এসম্পর্কে অন্যতম ফাতাওয়া গ্রন্থ ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.......
ِ أَحَقُّ النَّاسِ بِحَضَانَةِ الصَّغِيرِ حَالَ قِيَامِ النِّكَاحِ أَوْ بَعْدَ الْفُرْقَةِ الْأُمُّ
অর্থাৎ-নাবালক সন্তানাদির লালন-পালনের অগ্রাধিকার ভিত্ততে হক্বদার মা,চায় (উক্ত সন্তানাদির পিতার সাথে)বর্তমানে বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকুক অথবা না থাকুক।

তবে নিম্নোক্ত কারনসমূহের ধরুণ মা তার অগ্রাধিকার হারাবে,অর্থাৎ তার  লালন-পালনের আর অধিকার থাকবে না।
إلَّا أَنْ تَكُونَ مُرْتَدَّةً أَوْ فَاجِرَةً غَيْرَ مَأْمُونَةٍ كَذَا فِي الْكَافِي. سَوَاءٌ لَحِقَتْ الْمُرْتَدَّةُ بِدَارِ الْحَرْبِ أَمْ لَا، فَإِنْ تَابَتْ فَهِيَ أَحَقُّ بِهِ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ. وَكَذَا لَوْ كَانَتْ سَارِقَةً أَوْ مُغَنِّيَةً أَوْ نَائِحَةً فَلَا حَقَّ لَهَا هَكَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ.
মা যদি মুরতাদ হয়ে যায়,
অথবা চরিত্রহীনা ব্যভিচারিণী  গোনাহগার হয়,
অথবা চুর-ডাকাত হয়
অথবা গায়িকা হয়
অথবা বিভিন্ন গোনাহের কাজে ভাড়াটে পেশাজীবী হয়
(তাহলে এমতাবস্থায় তার লালন পালনের অধিকার থাকবে না)।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/৫৪১
(দারুল ফিকর (বাইরুত) মাকতাবা থেকে ৬ খন্ডে ১৩১০হিজরীতে প্রকাশিত)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1874


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। প্রশ্নের সব উত্তর দেননি, এখনো উত্তরগুলো জানা প্রয়োজন। দয়া করে প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর পয়েন্ট আকারে দিবেন ইনশাআল্লাহ। জাজাকাল্লাহ খইর। 
by
উস্তায উত্তরগুলো জানা ভীষণ জরুরী। দয়া করে দ্রুত উত্তর দিয়ে সাহায্য করুন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...