আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন
১/অনেক সময় ঘুরতে গিয়ে নামাজ পড়তে হয় মসজিদে।বোরখা নিকাব পরা থাকে।নিকাব পরে কি নামাজ হবে?হিজাব না থাকলে?কারন বোরখার সাথে ওড়না বা নিকাবের সেটাপ খুলে নামাজ পড়তে গেলে বার বার সেটা খুলে যায়।যেহেতু পিচ্ছিল টাইপ।যদিও মহিলা মসজিদ হয় তাও কি নিকাব পরে নামাজ পরা যাবে?
২/অনলাইনে এমন একটি পেইকে কাজ করি যা মডারেটর জব বলে।ওদের জাস্ট অর্ডার নেই আমি।ল্যাপটে টেবিল সেল দেয়।উনাদের টেবিলগুলায় প্রিন্ট করা থাকে।সেই প্রিন্ট গাছ,পাতা,ফুল যেমন তেমন মটু-পাতলু,স্পাইডারম্যান,পরীর ছবির স্টিকার প্রিন্ট করা থাকে।
আমার কাজহলো লোকে ম্যাসেজ দেয় কালেকশন দেখান,আমি দেখাই।সব দেখাই,যার মাঝে ৪-৫ টা এমন কার্টুনের থাকে।যা মানুষের মতোই।যেমন মটু*পাতলুরা,আর সিন্ড্রেলা বা পরী মেয়েরা।আমার কি ইনকামটা হালাল হবে?
৩/কখনো মায়েরা তাদের বাচ্চাদের জন্য টেবিলগুলা নেয়,নিজেরাই বলে মটুপাতলুর দেন।এতে কি আমার ইনকাম হালাল হবে?
আবার কখনো আমি নিজেই কালেকশন দেখাতে বললে সব কালেকশন দেই এসবসহ(যেহেতু আমি জব করি এদিকে)।এতেও কি আমার ইনকাম হালাল হবে?
জানতে চাচ্ছি মায়েরা নিজে দেখতে চাইলে বা স্বেচ্ছায় দেখালে দুটে জব-ই হালাল হবে?
৪/আমি খাটে নামাজ পড়ি।শীতকাল যেহেতু পাশে লেপ-কম্বল থাকে।তো নামাজে কখনো সেলোয়ার পায়ের গিড়ার উপর উঠে গেলে আবার বসার সময় সেটা লেপ দিয়ে ঢাকা পরে যায়(যেহেতু লেপ পাশে)।মানে পায়ের উপর লেপ পরে এতে কি সতর ঢাকা হবে?যেহেতু পায়জামা গিড়ার উপর উঠা বাট লেপ দিয়ে ঢাকা হয়ে গেলো।
৪/ ফ্রীল্যান্সিং এ কোন কোম্পানিতে জব করলে তারা যদি হরেকরকম হালাল ইনকামের মাঝে হারাম মিউজিক বা নারীর ছবি ইউজ করতে বলে সেই চাকরি কি আমি করতে পারবো?আমি যদি হারাম অংশটুকু দান করে দেই তাহলে কি আমার ফুল জব হালাল হবে?
৫/ এই ফ্রীল্যান্সিং জবের হারাম অংশটা যদি আামার হিন্দু বান্ধুবীকে দিয়ে করাই তাহলে কি হালাল হবে?
৬/ কার্টুন আঁকা জামা,শার্ট,খেলনা ইত্যাদি বিক্রি কি জায়েজ?যেহেতু আমি এসব আঁকি না।কোম্পানি থেকে ক্রয় করি,এগুলা কি কেন জায়েজ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য? বিক্রি করা জায়েজ?