আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন
১/অনেক সময় ঘুরতে গিয়ে নামাজ পড়তে হয় মসজিদে।বোরখা নিকাব পরা থাকে।নিকাব পরে কি নামাজ হবে?হিজাব না থাকলে?কারন বোরখার সাথে ওড়না বা নিকাবের সেটাপ খুলে নামাজ পড়তে গেলে বার বার সেটা খুলে যায়।যেহেতু পিচ্ছিল টাইপ।যদিও মহিলা মসজিদ হয় তাও কি নিকাব পরে নামাজ পরা যাবে?
২/অনলাইনে এমন একটি পেইকে কাজ করি যা মডারেটর জব বলে।ওদের জাস্ট অর্ডার নেই আমি।ল্যাপটে টেবিল সেল দেয়।উনাদের টেবিলগুলায় প্রিন্ট করা থাকে।সেই প্রিন্ট গাছ,পাতা,ফুল যেমন তেমন মটু-পাতলু,স্পাইডারম্যান,পরীর ছবির স্টিকার প্রিন্ট করা থাকে।
আমার কাজহলো লোকে ম্যাসেজ দেয় কালেকশন দেখান,আমি দেখাই।সব দেখাই,যার মাঝে ৪-৫ টা এমন কার্টুনের থাকে।যা মানুষের মতোই।যেমন মটু*পাতলুরা,আর সিন্ড্রেলা বা পরী মেয়েরা।আমার কি ইনকামটা হালাল হবে?
৩/কখনো মায়েরা তাদের বাচ্চাদের জন্য টেবিলগুলা নেয়,নিজেরাই বলে মটুপাতলুর দেন।এতে কি আমার ইনকাম হালাল হবে?
আবার কখনো আমি নিজেই কালেকশন দেখাতে বললে সব কালেকশন দেই এসবসহ(যেহেতু আমি জব করি এদিকে)।এতেও কি আমার ইনকাম হালাল হবে?
জানতে চাচ্ছি মায়েরা নিজে দেখতে চাইলে বা স্বেচ্ছায় দেখালে দুটে জব-ই হালাল হবে?
৪/আমি খাটে নামাজ পড়ি।শীতকাল যেহেতু পাশে লেপ-কম্বল থাকে।তো নামাজে কখনো সেলোয়ার পায়ের গিড়ার উপর উঠে গেলে আবার বসার সময় সেটা লেপ দিয়ে ঢাকা পরে যায়(যেহেতু লেপ পাশে)।মানে পায়ের উপর লেপ পরে এতে কি সতর ঢাকা হবে?যেহেতু পায়জামা গিড়ার উপর উঠা বাট লেপ দিয়ে ঢাকা হয়ে গেলো।
৪/ ফ্রীল্যান্সিং এ কোন কোম্পানিতে জব করলে তারা যদি হরেকরকম হালাল ইনকামের মাঝে হারাম মিউজিক বা নারীর ছবি ইউজ করতে বলে সেই চাকরি কি আমি করতে পারবো?আমি যদি হারাম অংশটুকু দান করে দেই তাহলে কি আমার ফুল জব হালাল হবে?
৫/ এই ফ্রীল্যান্সিং জবের হারাম অংশটা যদি আামার হিন্দু বান্ধুবীকে দিয়ে করাই তাহলে কি হালাল হবে?
৬/ কার্টুন আঁকা জামা,শার্ট,খেলনা ইত্যাদি বিক্রি কি জায়েজ?যেহেতু আমি এসব আঁকি না।কোম্পানি থেকে ক্রয় করি,এগুলা কি কেন জায়েজ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য? বিক্রি করা জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/93468/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
নামাজে সতর ঢাকা ফরজ।

সুরা আ'রাফের ৩১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَکُمۡ عِنۡدَ کُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ۚ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۳۱﴾
হে আদম সন্তান! প্রত্যেক সলাতের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না, অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، وَأَبُو النُّعْمَانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ " .

হযরত আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ প্রাপ্তবয়স্কা নারীর সালাত ওড়না পরা ব্যতীত কবূল করেন না।
তিরমিযী ৩৭৭, আবূ দাঊদ ৩৪১-৪২, আহমাদ ২৪৬৪১, ২৫৩০৫, ২৫৬৯৪; ইবনু মাজাহ ৬৫৪।

★শরীয়তের বিধান হলো, নামাজে নারীর চেহারা ব্যতীত পূর্ণ শরীর সতর । যদি পর-পুরুষ তাকে না দেখে তবে হাত ও পা খোলা রাখার ব্যাপারে মত রয়েছে। কিন্তু পর-পুরুষের দেখার সম্ভাবনা থাকলে নামাজের বাইরের মতো নামাজের মধ্যেও চেহারা, হাত ও পা ঢাকা ওয়াজিব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
এক্ষেত্রে নেকাব পড়ে নামাজ পড়া যাবে।

(২-৩)
এক্ষেত্রে আপনার উপার্জন হালাল।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ-

(০৪)
এক্ষেত্রে আংশিক ইনকাম হারাম হবে।
তাই এধরণের জব শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।

(০৫)
উক্ত জব হালাল হবেনা।

(০৬)
এগুলোর বিক্রি মাকরুহ।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...