আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

শায়েখ আমি একজন মহিলা।বয়স ২২ বছর।আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র ১ বছর ২ মাস।। এর আগে প্রায় ৬-৭ বছর আগে থেকে আমার আর আমার স্বামীর পরিচয়।আমরা একই স্কুলে এবং একই ক্লাসে পড়তাম।আমরা চুরি করে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করি।আমি এখনো আমার বাবার বাসায় থাকি।স্বামী ওর বাসায়,ওনি ব্যাবসা করে পাশাপাশি পড়াশুনাও ।আমি ইসলাম সম্পর্কে এবং প্রেম,বিয়ে,তালাক সম্পর্কে ভালভাবে কিছুই জানতাম না।আমার বিয়ের ব্যপারে আমার বাসায় আমি বলেছি ২ মাস আগে।ওনারা হ্যা বা না কিছুই বলে নি।আমার বাবা বলে পড়ালেখা শেষ হলে তুমি যেটা ভাল বুঝ করিও। আর বলেছে তার মানে এটা নয় যে আমি এখন মেনে নিয়েছি ৪ বছর পর তুমি যেটা ভাল বুঝ।আমি পুরো মানসিক ভাবে ভেন্গে পড়ি যখন শুনি কেনায়া তালাক নামেও একটা তালাক আছে।আমি কোনদিন শুনি নি এই তালাকের ব্যপারে। আমার আশেপাশে যখন দেখেছি ঝগড়া হলেও এসব কেনায়া বাক্য বললেও কিছু হয় না ওরা একিসাথে সংংসার করে। আমি জানতাম স্পষ্টভাবে তালাকের কথা।স্বামীও জানত না।আমার স্বামি খুবই ভাল মানুষ।আমাদের মেসেজে কথা হয়।কলে খুব কমই হয়।শুনেছি কেনায়া বাক্য বললে সেটা যদি তালাকের নিয়তে বলে তাহলে তালাক হয়,আবার শুনেছি তালাকের মজলিসে বা স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর বললে নিয়ত জিগ্যেস করে না বরং তালাক হয়ে যায়। এসব কথা শুনার পর থেকে আমি মানসিক ভাবে ভেন্গে পড়েছি।কারন আমার স্বামি মাঝে মাঝে মমনমালিন্য হলে কেনায়া শব্দ বলত কিন্তুু ওনি শপথ করে বলেছে ওনি তালাকের নিয়তে বলে নি।আসলে আমরা কেউ জানতাম ও না কেনায়া তালাক কি বা কি কি বললে কেনায়া তালাক হয়।আবার মাঝে মাঝে আমি তালাক চাইলে ওনি দিত না।কিন্তুু এরপর কেনায়া শব্দ বলত কিনাও আমার মনে নেই।আসলে আমি এই তালাকের ব্যপারে কিছুদিন আগে  মানে ৩ মাস মত আগে জেনেছি।আর যখন স্বামি কেনায়া শব্দ বলত এর আগে আমি তালাক চেয়েছি কিনাও  মনে নেই।স্বামীর ও মনে থাকে না কোন কথা।আমি ৩ মাস যাবত পাগলের মত হয়ে গেছি।ঘুমাতে পারি না, চমকে চমকে উঠে যায়।আমার পরীক্ষা কিন্তুু আমি পড়তেও পারতেছি না।সারাক্ষণ আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে থাকি।কি করব আমি বুঝতেছি না।কাউকে বুঝাতে পারি না।স্বামীও  আর এসব কথা না বলতে বলেছে।আমার মনে নানা ধরনের চিন্তা আসে কোন যেনা হচ্ছে কিনা বা সারাজীবন যেনা হবে কিনা।কোন কথা লুকাচ্ছি কিনা।আমার স্পষ্ট মনে নেই শায়েখ কিছু।আমি কি করব? আমি চাই স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।কিন্তুু আমি জানি না কি করব।আমি আল্লাহর কাছে শুধু মাফ চাই যেন যেনার শাস্তি না দেই আমাদের।জানি না কোন কেনায়া তালাক হয়েছে কিনাও।আমি পুরো ভেন্গে পড়েছি।আমি কয়েকবার ইস্তেখারাও করেছি ভয়ে।আমি চাই পরিপূর্ণ ইসলাম মানতে।স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে।জানি না শায়েখ আমার  মনে খুব ভয় ঢুকে গেছে।মনে হয় মরলে মাত্র আমার জন্য শুধু জাহান্নাম ছাড়া কিছু নেই।আমি চারপাশের মানুষের  দিকে তাকিয়ে হলেও মনকে বুঝাতে চায়।আমি আল্লাহর কাছে সবসময় নিজের মনের কথা বলি।একমাত্র আল্লাহ জানে কতটা কস্ট আমি পাচ্ছি। সবসময় ওয়াজে শুনি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে আসলে মাফ করে দেয়।কিন্তুু আমার সমস্যা টা এমন আমি কি করব?আমার মনে হয় সারাজীবন এই যন্ত্রনা যাবে না।আমি আল্লাহর কাছে সবসময় চায় জেনার মত কঠিন শাস্তি যেন না দেয়।সহ্য করতে পারব না।আমি পুরো পাগলের মত হয়ে গেছি।স্বামীকেও এই ব্যপারে কিছু বলতে পারব না।মা বাবাকে বললে ওরা বলবে চলে আয় কারন  মা বাবা চায় না ওকে জামাই হিসেবে।কিন্তুু আমি চায় আল্লাহর সন্তুষ্টি। যদি আমাদের সম্পর্ক হালাল হয় বা থাকে আমি চায় ওর সাথে সারাজীবন সংসার করতে।এমনকি ওর যদি খাওয়ার  মত চাল ও না থাকে তবু আমি চায় ওর সাথে সারাজীবন স্ত্রী হিসেবে পাশে থাকতে।কিন্তুু শায়েখ কেনায়া তালাকের কথা শুনার পর থেকে আমি ভয়ে পাগল প্রায়।যখন কোন মৌলবী আর তাদের বউদের দেখি কত সুন্দর পর্দা করে আর কত ভালবাসা ওদের মধ্যে।আমার কান্না চলে আসে এসব দেখলে বা কোথাও পড়লে।আমিও চায় আমার স্বামীর সাথে এইভাবে থাকতে।কিন্তুু আমার  মনে ভয় চলে আসে।আগে এসব কিছু আসত না  মনে।এখন আসে।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ- 

কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত আবশ্যক, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ    

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের মাঝে তালাক হবেনা।
আপনারা শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে বৈধ স্বামী স্ত্রী হিসেবেই রয়েছেন।
সমস্যা নেই। 
নিশ্চিন্তে থাকুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...