আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
299 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
  1. আল্লাহ এমন অনেক কিছু তৈরি করেন যা তোমরা জানো না -  এটা দ্বারা আল্লাহ তাহলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন ? 
  2. গতবার দাজ্জালের সাথে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর  সাহাবী তামীমে দারী (রাঃ)   দেখা করেছিলেন সেখানে আপনি দুইটা হাদিস উল্লেখ করেছিলেন একটা তে লেখা ছিল জাসসাসা নামে একজন অতি লম্বা চুলওয়ালা নারীর কথা  আবার অন্য আরেক হাদীসে উল্লেখ করেছেন যে লম্বা চুল ওয়ালা একটা প্রাণীর কথা যার সামনেও পেছনের অংশ বোঝা যাচ্ছিল না   আসলেই দুইহাত ইস এরমধ্যে কোনটা আসলে সঠিকভাবে মেনে নেব যে জাসসাসা  একটা প্রাণী নাকি নারী ?
  3.  কোরআনের 61 নম্বর সূরার 6 নম্বর আয়াতের  আহমেদ বলতে  কাকে বোঝানো হচ্ছে ?
  4. কোরআনকে অনেকে বলে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান,  আবার আল্লাহর কালাম বলা হয়ে থাকে,  তার সাথে জীবন চলার মাপকাঠিও বলা হয়ে থাকে  আসলে কোরআনকে সঠিকভাবে কি বলা হয় ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনি সম্ভবত নিম্নোক্ত আয়াতের কথা বলছেন।এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের কথা বলতেছেন যে,সেখানে  এমন অনেক জিনিষ তৈরী করেছেন,যা কেউ জানে না।
আল্লাহ তা’আলার বাণী
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
কেউ জানে না তার জন্যে কৃতকর্মের কি কি নয়ন-প্রীতিকর প্রতিদান লুক্কায়িত আছে।(সূরা সেজদাহ-১৭)

(২)
সুনানে আবু দাউদে এসেছে,অনুবাদ: হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স (রাঃ) তামীমে দারীর (রাঃ) ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তামীমে দারী (রাঃ) বলেছেন, সেই দ্বীপে প্রবেশ করলে আমি সেখানে একটি নারীর সাক্ষাৎ পেলাম যার মাথার চুল এত যে, তা জমিনে হিচড়িয়ে চলে।তামীম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি ‘জাসসাসা’ (অর্থাৎ অন্বেষণকারিণী)। অতঃপর সে বলল তুমি প্রসাদের দিকে যাও। সুতরাং আমি সেখানে আসলাম সেখানে লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যে, শক্তভঅবে লোহার শিকলে বাঁধা- আসমান জমিনের মাঝখানে লাফালাফি করছে।আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুই কে? সে বলল আমি দাজ্জাল। (সুনানে আবূ দাঊদ, হাদিস নং ৪৩২৫)হাদীসে জাসাসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-11076

উক্ত হাদিসে বর্ণিত জাসসাসা দ্বারা উদ্দেশ্য কি? এ সম্পর্কে দু রকম মতামত পাওয়া যায়,

«شرح النووي على مسلم» (18/ 78):
«وَجَاءَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهَا دَابَّةُ الْأَرْضِ الْمَذْكُورَةُ فِي الْقُرْآنِ قَوْلُهُ»
আব্দুর রহমান ইবনে আমর ইবনে আস রাযি থেকে বর্ণিত, জাসসাসা দ্বারা উদ্দেশ্যে হল, ঐ প্রাণী যাকে কুরআনে দাব্বাতুল আরদ বলা হয়েছে।(শরহে মুসলিম, ইমাম নববী-১৮/৭৮)

«سنن أبي داود ت محيي الدين عبد الحميد» (4/ 120):
«قُلْتُ لِأَبِي سَلَمَةَ: وَمَا الْجَسَّاسَةُ؟ قَالَ: امْرَأَةٌ تَجُرُّ شَعْرَ جِلْدِهَا وَرَأْسِهَا، قَالَتْ»
ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ রাহ. বলেন,আমি আবু সালামাহ রাহ. কে জিজ্ঞাস করলাম, জাসসাসা কি? তিনি জবাবে বলেন, একজন মহিলা,যে তার মাথা ও শরীরেরে চুল জমিনে হিচড়িয়ে চলে।(সুনানে আবি-দাউদ-৪৩২৮)

(৩)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُم مُّصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءهُم بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُّبِينٌ
স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।(৬১/৬)
এখানে আহমদ দ্বারা উদ্দেশ্য রাসূলুল্লাহ সাঃ

(৪)
কোরআনকে বলে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানও বলা যাবে,  আবার আল্লাহর কালামও বলা যাবে, জীবন চলার মাপকাঠিও  বলা যাবে। কুরআন সম্পর্কে সবকিছুই বলা যাবে।তবে কুরআন হেদায়ত দানকারী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...