আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

অনলাইন থেকে কিছু বইয়ের সাথে কুরআনের মুসহাফ আনিয়েছিলাম। কুরিয়ার থেকে অন্যান্য পার্সেল যেভাবে আনে সেভাবেই এনেছে।এক্ষেত্রে কি কুরআনের আদব রক্ষা হয়েছে?আর আমি মুসহাফগুলো অন্য একজনের কাছে কুরিয়ারে পাঠাব।কুরিয়ারে তো আর জানে না এর ভেতর মুসহাফ রয়েছে।তারা অন্যান্য পার্সেলের মতোই পাঠাবে।এক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে?আদব রক্ষার্থে কী করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের অসম্মানী হয়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা।
সেটি আদবের খেলাফ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।

(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻨﻬﻰ ﺃﻥ ﻳﺴﺎﻓﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺽ ﺍﻟﻌﺪﻭ؛ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻟﻪ ﺍﻟﻌﺪﻭ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।যাতেকরে শত্রুরা কুরআনকে নিয়ে গিয়ে কোনোপ্রকার অসম্মান না করতে পারে।(মুয়াত্তা মালিক-৫/২,মুসনাদু আহমাদ-২/৬,৬৩, সুনানু নাসাঈ-৮৫,সুনানু ইবনি মা'জাহ২৮৮০)

কুরআন যেই লাগেজে রাখা হবে,সেই লাগেজের উপর দিয়ে কেউ যেনো অতিক্রম না করে,সেই লাগেজের সাথে যেনো পা না লাগে।

https://ifatwa.info/1905/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
কুরআনে কারীম কে লাগেজের মধ্যবর্তী স্থানে এমনভাবে রাখবেন,যাতে করে কুরআনের উপর কোনো প্রকার স্পট না পড়ে।লাগেজের আশপাশে অন্যান্য জিনিষ রেখে ঠিক মধ্যখানে কুরআনকে রেখে দিবেন।এতেকরে কুরআনে কারীমকে অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।লাগেজের মধ্যে কুরআন প্যাকিং থাকাবস্থায় যদি উক্ত লাগেজ বিমানের নিচেও থাকে বা ছুড়াছুড়ি করা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কুরআনের কোনো অসম্মান হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উল্লেখিত শুরুতে কুরআনের আদব রক্ষা হয়নি এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হয়েছে

বৈধ পন্থায় তথা কুরআনের সম্মান বজায় থাকে,এমন পদ্ধতিতে কুরিয়ার সার্ভিস দ্বারা কুরআন পাঠানো জায়েজ আছে।  

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কুরআন পাঠানোর ক্ষেত্রে আগেই তাদেরকে বিষয়টি বলে দিতে হবে,যে তারা যেনো কুরআনের সম্মান বজায় রেখে পাঠায় এবং প্যাকেটের উপর কুরআনুল কারীম উল্লেখ করে দেয়। যাতে উঠানো নামানোর ক্ষেত্রে সাবধান ও সম্মানের সাথে করে। 

যদি তারা এভাবে কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে না পারে,সেক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কুরআন পাঠাবেননা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...