আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!
আমার বাবা কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে চাকরি ছেড়ে এসে ব্যবসা শুরু করেছেন,কিন্তু হারাম টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন কেননা অনেক টাকা খুঁজার চেষ্টা করেও টাকা মেনেজ করতে পারেন নি,তাই অবশেষে বাধ্য হয়ে হারাম টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন(মানে আমাদের সদস্যের একজনের হারাম টাকা দিয়ে)।যদিও এখন জিনিসপত্র বিক্রি করে করে দোকানে নতুন জিনিসপত্র আনছেন।

আচ্ছা শায়েখ এই ব্যবসা কি সম্পুর্ণ হারাম?আর এই ব্যবসার টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালালে কি এই হারাম টাকা হিসেবে গণ্য হবে?হারাম দিয়েই যেহেতু শুরু করে ফেলেছেন ব্যবসা!...এই ব্যবসার টাকা দিয়ে কি আমরা একদম গুরুত্বপূর্ণ  প্রয়োজনী খরচ ছাড়া কি অন্য খরচ করতে পারবো না?যেমন প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি?...

একটু দ্রুত জানাবেন ইন শা আল্লাহ!

1 Answer

0 votes
by (588,900 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/25087/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, 
হারাম টাকায় ব্যবসা করাও নাজায়েজ। 
,
তবে কঠিন প্রয়োজন বশত এমনটি হলে উক্ত ব্যবসার লভ্যাংশ ব্যবহারের অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।   তারা বলেছেন যে এটি সেই ব্যবসায় তার পরিশ্রমের বিনিময়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ قَالَ : ابْتَعْتُ غُلَامًا فَاسْتَغْلَلْتُه ثُمَّ ظَهَرْتُ مِنْهُ عَلٰى عَيْبٍ فَخَاصَمْتُ فِيهِ إِلٰى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَضٰى لِىْ بِرَدِّه وَقَضٰى عَلَىَّ بِرَدِّ غَلَّتِه فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ فَأَخْبَرْتُه فَقَالَ : أَرُوْحُ إِلَيْهِ الْعَشِيَّةَ فَأُخْبِرُه أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْنِىْ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَضٰى فِىْ مِثْلِ هٰذَا : أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ فَرَاحَ إِلَيْهِ عُرْوَةُ فَقَضٰى لِىْ أَنْ اٰخُذَ الْخَرَاجَ مِنَ الَّذِىْ قَضٰى بِه عَلَىِّ لَه

মাখলাদ ইবনু খুফাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি দাস কিনেছিলাম এবং তার মাধ্যমে কিছু উপার্জনও করিয়েছিলাম। অতঃপর আমি তার মধ্যে একটি দোষ সম্পর্কে অবগত হলাম এবং শাসনকর্তা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে আমি তার বিষয়ে অভিযোগ করলাম। তিনি বিচার করলেন যে, আমি তাকে ফেরত দিতে পারবো, তবে অবশ্যই তার দ্বারা উপার্জিত সব কিছুই আমাকে ফেরত দিতে হবে। আমি ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর নিকট এ রায় জানালাম। তিনি বললেন, আমি সন্ধ্যাকালেই শাসনকর্তার নিকট যাবো এবং তাঁকে অবহিত করবো। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় ঘটনায় রায় দিয়েছেন যে, উপার্জিত আয় তার তত্ত্বাবধান ব্যয় বলে সাব্যস্ত হবে। ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) সন্ধ্যাকালেই ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে গেলেন। এমতাবস্থায় তিনি বিচার করলেন যে, উক্ত উপার্জিত আয় তিনি পূর্বে (প্রথমে) যাকে দেয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন তার কাছ থেকে আমি যেন তা ফেরত নেই।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ২৮৭৯)

উক্ত সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করে যে লভ্যাংশ অর্জিত হয়েছে বা হবে,তাহা গ্রহন করা জায়েজ নেই,এটিই অনেক ইসলামী স্কলারদের মত।

★তবে ইমাম শাফেয়ী ও মালেক রহঃ এর মতে সে ব্যাক্তি লভ্যাংশ নিজের পরিশ্রমের বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে  (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)। 
তবে তাদের মতেও এহেন ব্যবসার লাভ পরিত্যাগ করাই অধিকতর নিরাপদ ও তাক্বওয়াপূর্ণ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার হারাম টাকায় ব্যবসা করা জায়েজ হবেনা।
সবই হারাম হবে।
সেই লভ্যাংশ এর  টাকা আর বিনিয়োগের টাকা কোনোটাই ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো খরচ নিতে পারবেননা।

আপনাদের সদস্যের যার হারাম টাকা দিয়ে আপনার বাবা ব্যবসা শুরু করেছিলেন, তাকে যদি তিনি নিজের হালাল টাকা হতে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করে দেন, সেক্ষেত্রে আপনার বাবার ব্যবসার মূলধন এবং লভ্যাংশ সব হালাল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়েখ তাহলে এখন আমার কি করনীয়, আমার বয়স অল্প এখনো পড়াশুনা করছি,মাদ্রাসায় পড়ি আলহামদুলিল্লাহ তাহলে আমার পড়াশুনাও ত সব হারাম টাকায় হচ্ছে!ভর্তি, বেতন, বই সব ত এই হারাম টাকা দিয়েই কিনতে হয় আমার!

তাহলে কি আমার এই পড়াশুনাতে বরকত হবে না?

আরেকটা কথাও আমাদের পরিবারের যিনি সুধ খান,তিনি সেই কাগজপত্র গুলো আমাকে দেন গুছিয়ে রাখার জন্য, আমাদের পরিবারে আর কেউ নেই তাই আমাকেই রাখতে হয়(আর উনি অনেক রাগী) যার জন্য আমাকেই রাখতে হয়!

এখন এতে কি আমি সাক্ষী রয়ে যাচ্ছি সুধের?জানাবেন দ্রুত শায়েখ মিন ফ্বাদলিক

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...