আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ্ ওস্তাদ।
(১) নিষিদ্ধ সময়ে নামায পরে ফেললে সেই নামায কি কাজা পড়তে হবে নাকি নামায হয়ে যাবে?

(২) ওযু করার সময় কালিমায় শাহাদাত কখন পড়তে হয়? ওযু শেষ করে নাকি মাথা মাসেহ করার সময়? আর আকাশ এর দিকে তাকিয়ে পড়া কি জরুরি? আর এইটা পড়ার ফযীলত কি কি?

(৩) দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন, মাগরিবের পর ওয়াকিয়াহ, এশার পরে মূলক পড়ার ফযীলত গুলো দলিল সহকারে জানতে চাচ্ছিলাম।

(৪) ঘুমানোর পূর্বে সুরা নাস, ফালাক আর ইখলাস পড়ার ফযীলত কি?

(৫) কোনো আমলের ফযীলত না জানলে ওই বারাকাহ আমি কি পাবো নাকি পাবো না?

(৬) প্রত্যেক নামাজের পরে আয়তাল কুরসী পড়া, তাসবীহ ফাতেমী পড়া, ঘুমানোর আগে তাসবীহ ফাতেমী পড়ার ফযীলত জানতে চাচ্ছিলাম।

(৭) মেয়েদের জুম্মার নামাজ জামাতের পড়ার বিধান কি? জামাতে পড়া ওয়াজিব নাকি বাসায় একা পড়লেও হবে? কোনটা উত্তম? আর জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম কি?

(৮) শুক্রবার সুরা কাহাফ এর প্রথম ১০ আয়াত পড়লে কি পরের জুম্মা পর্যন্ত নুর পাওয়া যাবে যেমন টা পুরো সুরা পড়লে পাওয়ার কথা বর্ণনা করা আছে? সূরা কোনো কারণে পড়তে না পারলে যদি ইউটিউব থেকে শুনি তাহলে কি একই সোয়াব পাবো?

(৯) হেফাজতের আমল করার সময় প্রত্যেকবার সুরা ইখলাস পড়ার আগে কি বিসমিল্লাহ পড়তে হবে নাকি না পড়লেও হবে? সূরা ইখলাস তিনবার পরে যখন সুরা ফালাক পড়ব তখন কি বিসমিল্লাহ পরে নিবো?

(১০) আমার কিছু কাযা নামাজ বাকি আছে। প্রায় ২১০০ এর মত। এগুলা পড়া শুরু করছি আলহামদুলিল্লাহ। এই ক্ষেত্রে কিভাবে নিয়ত করতে পারি? আর রোজার মধ্যে তারাবী পড়া বেশি জরুরি নাকি এই কাজা নামায পড়া? কোনটা পড়লে উত্তম হবে জানালে মুনাসিব হয়।

জাযাকিআল্লাহ খায়ের ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখির।

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
নিষিদ্ধ (৩ টি) সময়ে নফল নামায পড়লে সেটি মাকরুহে তাহরিমির সাথে আদায় হয়ে যাবে।

তবে ফরজ/ওয়াজিব নামাজ পড়লে সেটি আদায় হবেনা। পুনরায় তাহা আদায় করতে হবে।

তবে আসরের নামাজ সেদিন মাগরিবের আগে নিষিদ্ধ ওয়াক্তে আদায় করলে সেটি আদায় হয়ে যাবে।

(০২)
মুসলিম শরীফে আছেঃ
 حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِي فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَىَّ يَقُولُ الَّتِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ " .

মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ইবনু মাইমূন (রহঃ) ..... উকবাহ ইবনু আমির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তার এ কথা শুনতে পেলাম, "যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু' রাকাআত সালাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। উকবাহ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলামঃ বাহ! হাদীসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরো উত্তম। আমি সে দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি 'উমার। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দু'আ পড়বে- "আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয় আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"। তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৪

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ওযু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হয়।

আকাশ এর দিকে তাকিয়ে পড়া জরুরি নয়,এটি আদবের অন্তর্ভুক্ত। 

এর ফযীলত জানতে উপরোক্ত হাদীস দ্রষ্টব্য।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
ফজরের পর সূরা ইয়াসিন সংক্রান্ত জানুনঃ- 
সুরা মুলক এর আমল সম্পর্কে জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/1830/

সূরা ওয়াকিয়ার আমল সম্পর্কে জানুন - https://ifatwa.info/4163/


(০৪)
ঘুমের পূর্বে তিন কুল পড়া মুস্তাহাব। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী আমল। এতে বান্দা যেমন আল্লাহর ওয়াহদানিয়াত অর্থাৎ একত্বের স্বীকারোক্তি  এবং শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা প্রদান করে তেমনি আঁধার রাতের সবধরনের অনিষ্টতা ও ক্ষতি হতে আফিয়াত ও নিরাপত্তার জন্য বান্দা নিজেকে আল্লাহর হাতে সঁপে দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত এ আমল করতেন। আয়েশা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন-

أَنَّ النَّبِيَّ صلى اللهُ عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ، جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا: قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ وَ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ وَ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ، وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে যখন বিছানায় গমন করতেন তখন তিনি সূরা ইখলাস সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দুহাত একত্র করে তাতে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের ওপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার তিনি এরূপ করতেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০১৭

নিজে এ আমল করা এবং শিশুদেরকে তা শিক্ষা দেয়া। শিশুরা এ সূরাসমূহ না জানলে পিতা মাতা নিজে পড়ে হাতে ফুঁক দিয়ে শিশুদের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পারেন। এতে ইনশাআল্লাহ আমলের উপকারিতা তারাও লাভ করবে।

(০৫)
পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(০৬)
★প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত সংক্রান্ত হাদীসঃ-

عن أبي أمامة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «من قرأ آية الكرسي في دبر كل صلاة مكتوبة لم يمنعه من دخول الجنة إلا أن يموت». وفي رواية: «وقل هو الله أحد».  
[صحيح] - [رواه النسائي، والرواية الأخرى أخرجها الطبراني]

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে কোন কিছুই বাঁধা দেবে কেবল মৃত্যু ছাড়া। অপর বর্ণনায় বর্ণিত “এবং কুল হুয়াল্লাহু আহাদ”।  
[সহীহ] - [এটি তাবরানী এবং নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।]

★ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমী আমলের ফজিলত সংক্রান্ত হাদীসঃ-

مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، فَتْلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ، وَقَالَ: تَمَامَ الْمِائَةِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ
যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ্’, এবং তেত্রিশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ এবং চৌত্রিশবার ‘আল্লাহু আকবার’ পড়বে এবং শেষে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাই ইন কদীর’ পড়বে, আল্লাহ পাক তার সমস্ত (ছগীরা) গোনাহ্ মাফ করে দিবেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৭ (আহলে হক মিডিয়া)

নবী(সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করার পর এই দোয়া (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু...) ১বার পাঠ করে মোট ১০০ বার পূর্ণ করবে তার সমস্ত গুনাহ(ছগীরা) মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সুমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।(সহিহ মুসলিম: ১৩৮০)।

★ঘুমানোর পূর্বে তাসবিহে ফাতেমী আমলের ফজিলত সংক্রান্ত হাদীসঃ-

 حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِيْ لَيْلَى قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام شَكَتْ مَا تَلْقَى مِنْ أَثَرِ الرَّحَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَبْيٌ فَانْطَلَقَتْ فَلَمْ تَجِدْهُ فَوَجَدَتْ عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ بِمَجِيءِ فَاطِمَةَ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْتُ لِأَقُومَ فَقَالَ عَلَى مَكَانِكُمَا فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِيْ وَقَالَ أَلَا أُعَلِّمُكُمَا خَيْرًا مِمَّا سَأَلْتُمَانِيْ إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا تُكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلَاثِيْنَ وَتُسَبِّحَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ وَتَحْمَدَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِيْنَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ফাতিমাহ (রাঃ) যাঁতা চালানোর কষ্ট সম্পর্কে একদা অভিযোগ প্রকাশ করলেন। এপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী আসল। ফাতিমাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট তাঁর কথা বলে আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে আসলেন তখন ফাতিমাহ (রাঃ) এর আগমন ও উদ্দেশ্যের ব্যাপারে ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাঁকে জানালেন। (আলী (রাঃ) বলেন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলেন, যখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম। তাঁকে দেখে আমি উঠে বসতে চাইলাম। কিন্তু তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ অবস্থায় থাক এবং তিনি আমাদের মাঝে এমনভাবে বসে পড়লেন যে আমি তাঁর দুই পায়ের শীতলতা আমার বক্ষে অনুভব করলাম। তিনি বললেন, তোমরা যা চেয়েছিলে আমি কি তার চেয়েও উত্তম জিনিস শিক্ষা দিব না? তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশে বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশ বার ‘‘আল্লাহ্ আকবার’’ তেত্রিশবার ‘‘সুবহানাল্লাহ’’ তেত্রিশবার ‘‘আল হামদুলিল্লাহ’’ পড়ে নিবে। এটা খাদিম অপেক্ষা অনেক উত্তম। (বুখারী নং ৩৭০৫)

(০৭)
মহিলাদের উপর জুম'আর নামাজ নেই।

তারা বাসাতে জোহর নামাজ আদায় করবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

ﻃﺎﺭﻕ ﺑﻦ ﺷﻬﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ( ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔُ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺍﺟِﺐٌ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴﻠِﻢٍ ﻓِﻲ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﺃَﺭﺑَﻌَﺔ : ﻋَﺒﺪٌ ﻣَﻤﻠُﻮﻙٌ ، ﺃَﻭ ﺍﻣﺮَﺃَﺓٌ ، ﺃَﻭ ﺻَﺒِﻲٌّ ، ﺃَﻭ ﻣَﺮِﻳﺾٌ

তরজমাঃ-হযরত ত্বারিক ইবনে শিহাব রাঃ থেকে বর্ণিত,নবী কারীম সাঃ বলেনঃ গোলাম,মহিলা,শিশু
এবং অসুস্থব্যক্তি, এই  চারজন ব্যতীত  প্রত্যেক মুসলমানের উপর(মসজিদে এসে) জামাতের সাথে জুমু'আর নামায আদায় করা ওয়াজিব (এবং তা কোরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত।)(আবু-দাউদ,১০৬৭)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৮)
উক্ত ফজিলতের জন্য পুরো সুরা পাঠ করতে হবে।

ইউটিউব থেকে শুনলে সেই ছওয়াব অর্জিত হবেনা।

(০৯)
প্রত্যেকবার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।

মোট কথা হলো সুরা শুরু করলেই বিসমিল্লাহ পড়তে হয়।

(১০)
আপনি এভাবে কাজা নামাজের নিয়ত করবেনঃ-
"আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সেই অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযের এখন কাযা আদায় করছি”

"আমার জিম্মায় যত জোহরের নামায কাযা রয়েছে, সেই অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম জোহরের নামাযের এখন কাযা আদায় করছি”

এভাবে প্রত্যেক নামাজের কাজা আদায় করবেন।

আরো জানুনঃ- 

★রমজান মানে তারাবিহ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 
যাহা বিনা ওযরে ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে।

ওযর বশত নিয়মিত ছেড়ে দিলে বা ওযর বশত ছেড়ে দেয়াকে অভ্যাসে পরিণত করলে গুনাহ হবে।

সুতরাং তারাবিহ ও কাজা উভয় নামাজই জরুরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
...