ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاجْعَلُوهُ فِي الْمَسَاجِدِ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالدُّفُوفِ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা বিয়ের ঘোষণা দিবে, বিয়ের কাজ মসজিদে সম্পন্ন করবে এবং এতে দফ পিটাবে।(তিরমিযি-১০৮৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বিয়ের প্রস্তাবের কথা গোপন রাখাই হেকমতপূর্ণ।কেননা বিয়ে শাদীতে শেষ পর্যন্ত অনেক হিংসা বিদ্বেষ চলে আসে এবং চুগলখোরি ও পরনিন্দার সীমা থাকে না। আর বিয়ের খবর প্রকাশ করাই সুন্নাহ।
(২) বিয়ে যদি মোটামুটি ফাইনাল আলোচনায় চলে আসে, আর এমতাবস্থায় কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে, বিয়ে ঠিক হয়েছে কি না? তাহলে ক্ষেত্রভেদে জবাবে সঠিক টাই বলে দিবেন। তবে সবাইকে বলা যাবে না।ক্ষেত্রভেদে বলবেন, দেখা যাক কি হয়?
(৩) দ্বীনি কাজ হেকমতের সাথে করতে হয়। কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্য না হলে বরং আল্লাহকে রাজী ও খুশী করার নিডতে সুক্ষ্ম থেকে অতি সুক্ষ্ম পথ অবলম্বন করাকে হেকমত বলে। আর নিয়তে গরমিল থাকলে সেটাকে নিফাকি বলে।