আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)
আসসালামু আলাইকুম
১.ক)অযু তে মুখমন্ডল ধোয়ার ক্ষেত্রে চুলের সাইড দিয়েও ভিজাতে হয় সেক্ষেত্রে ভেজা হাত দিয়ে যদি ডলা দিলেই হবে নাকি হাতে পানি নিয়ে প্রবাহিত করতে হবে??? পানি প্রবাহিত করতে গিয়ে অনেক পানি নস্ট করি তাও মনে হয় যে ভেজা হলো কিনা।

খ)দুই হাতের কনুই ধোয়ার ক্ষেত্রেও কি পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক নাকি হাতে পানি নিয়ে সারা হাত ডলা দিলেই হবে???

২.মাসে সপ্তাহ খানেক সারাক্ষণ সাদা স্রাব হয় এক্ষেত্রে আমি যদি উযু করার পরে সাদা স্রাব ধুয়ে তারপর নামাজে বসি তাহলে কি অযু তে বা নামাজে কোনো সমস্যা হবে?? এমন টা করা যাবে???

৩.ফজরের নামাজ পড়ার পড়ে বাচ্চার কাপড় চেঞ্জ করতে গিয়ে দেখি ডায়াপার লিক করে প্রসাব বাহিরে চলে এসেছে,এতে বেড শীট ভিজেছে।আমি যে জায়গায় শুই অই জায়গা ভেজা।এখন কথা হচ্ছে এই প্রসাব লিক আমার ফজরের আগে হয়েছে নাকি পরে হয়েছে সিওর জানি না।অই প্রসাব আমার গায়ে লেগেছিল কিনা আমি পাক নাকি নাপাক গায়ে নামাজ আদায় করেছি সেটা তো বুঝার উপায় নেই।আমার নামাজের কাপড় আলাদা সেই আলাদা নামাজের কাপড়ে নামাজ পড়েছি।প্রশ্ন হচ্ছে আমার ফজর কি হয়েছে নাকি আবার পড়তে হবে?? আর আমার সেই আলাদা নামাজের কাপড় কি নাপাক হয়েছে??  এটা জানা জরুরি কেননা অই নামাজের কাপড়ে বাকি নামাজ গুলো ও পড়া হয়ে থাকে।উস্তায খুব টেনশনে আছি জানাবেন ইং শা আল্লহ।

1 Answer

0 votes
by (612,750 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
(ক) ভেজা হাত দিয়ে ডলা দিলেই হবে।

(খ) 
হাতের কনুই ধোয়ার ক্ষেত্রে পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক নয়।

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক বায়ূ নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও বায়ূ নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।

মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1897


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(২) আপনি মা'যুর। তাই প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন। উযু করার পরে সাদা স্রাব আসলে সেটাকে ধৌত করে তারপর নামাজে বসলে, অযু তে বা নামাজে কোনো সমস্যা হবে না  এমন টা করা যাবে।

(৩) শরীরে নাপাকি লেগেছে কি না যেহেতু নিশ্চিত না, তাই নাসায হবে।হ্যা সতর্কতামূলক নামাযকে আবার পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (49 points)
২ নং এ উযুর আগেই সাদা স্রাব যেটা এসেছে সেটা যদি উযু করার পরে ধুয়ে তারপর নামাজে বসি সেক্ষেত্রে নামাজ হবে কিনা??  উযু হবে কিনা??
৩ নং এ নাসায মানে কি??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...