বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
(ক) ভেজা হাত দিয়ে ডলা দিলেই হবে।
(খ)
হাতের কনুই ধোয়ার ক্ষেত্রে পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক নয়।
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক বায়ূ নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও বায়ূ নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়,তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(২) আপনি মা'যুর। তাই প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন। উযু করার পরে সাদা স্রাব আসলে সেটাকে ধৌত করে তারপর নামাজে বসলে, অযু তে বা নামাজে কোনো সমস্যা হবে না এমন টা করা যাবে।
(৩) শরীরে নাপাকি লেগেছে কি না যেহেতু নিশ্চিত না, তাই নাসায হবে।হ্যা সতর্কতামূলক নামাযকে আবার পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।