আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
পরিবার এমন পরিবারে বিয়ে দিতে চাচ্ছে সেখানে আমার পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ নিয়ে সংশয় আছে ৷ অর্থ্যাৎ ছেলে নামায পড়ে,  হালাল আয়, পরিপূ র্ণ দ্বীন পালন করতে আগ্রহী, দ্বীনি  বিষয়ে পড়াতে আগ্রহী,  দাড়ি নেই,  রাখতে চাচ্ছে ৷ কিন্তু ছেলের পরিবার দ্বীনদার না ৷ নামায ঠিকমতো সবাই পড়ে না ৷ ছেলের চাকরির জন্য ছেলেকে বাইরে থাকতে হবে, তার স্ত্রীকে ৬-১ বছর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হবে ৷  আইফতোয়ার পরামর্শে  রাজি না হওয়ার কথা বড়বোনকে বললে তিনি আমাকে পরিবারে বলতে বলেন৷ এজন্য  এক পরিচিত পরিবারের সঙ্গে  কথা বলি ৷  তারা তাবলীগে যুক্ত আছেন ৷ তারাও আমাকে পরিবারের কাউকে দিয়ে বোঝাতে বলেছেন ৷ এখনও পরিবারে বলতে পারি নি ৷ পরিবার দ্রুত বিয়ে দিতে চাচ্ছেন এজন্য তারা এক আপুর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন ৷ কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট কয়েকটা শুধু বই পড়তে বললেন ৷ তাফসীর, রিয়াদুস সালেহীন নিয়েও বিরুপমত দিলেন , অনলাইন পড়া অপছন্দ করলেন ( ফেতনা সৃষ্টি হয় এজন্য) , পরিবারে তাঁর বলা বইগুলো দিয়ে  তালিম করে বোঝাতে বললেন,  আর তিনি পাত্র দেখতে চাইলেন ৷ এখন আমার কী করণীয়?
দ্বীনের মাপকাঠি কী হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابُورَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْصَارِيُّ أَخُو فُلَيْحٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে (তোমাদের মেয়েদের) বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৭,তিরমিযী ১০৮৪, ইরওয়াহ ১৮৬৮, সহীহাহ ১০২২।) 
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ

 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৮)
,
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
,
আরো জানুনঃ 
.
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে  
ছেলে নামায পড়ে,  হালাল আয়, পরিপূ র্ণ দ্বীন পালন করতে আগ্রহী, দ্বীনি  বিষয়ে পড়াতে আগ্রহী,  দাড়ি নেই,  রাখতে চাচ্ছে ৷ 
,
সুতরাং তার সাথে বিবাহ বসতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে যেহেতু আপনার পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ নিয়ে সংশয় আছে,আবার ছেলে বাহিরে থাকার কারনে আপনার কিছু বছর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হবে,এটি যেহেতু আপনাত হকের সাথে সাংঘর্ষিক, তাই এতে আপনি সমস্যা মনে করলে সেখানে বিবাহ বসবেননা।
,
অন্যত্রে দ্বীনদার  পাত্র খুজতে পারেন।
,
পরিবারকে এই বিষয়ে বুঝানোর জন্য পরিবারের বড় কাহারো সাহায্য নিতে পারেন।
মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত কিতাবুন নিসা পড়ে তাদেরকে বুঝাতে পারেন।
,
পিতা মাতার বৈধ বিধান তরক করলে গোনাহ হবে।
তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো আদেশ করলে পিতা মাতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
,
,
★দ্বীনদার বলতে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় গুলোই যথেষ্ট।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...