ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জন্ম মৃত্যুর বিয়ে শাদী বন্ধু বান্ধব ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যা লিখিত রয়েছে,তাই হবে।হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।তাকদীর আল্লাহ লিখে রেখেছেন।এবং পরবর্তীতে আল্লাহ তাকদীরকে পরিবর্তনও করে দিতে পারেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/96932
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্ন হল:
(১) মানুষ তার হায়াতের আগে মারা যায় না। হায়াত শেষ না হলে কারো মৃত্যু হতে পারে না। জ্বর মানুষের গুনাহকে কমিয়ে দিতে পারে। এগুলো আল্লাহর অনুগ্রহর উপর নির্ভরশীল।
(২) এখন তার সাথে করা অন্যায় গুলোর জন্য আপনি বেশী বেশী করে তার জন্য ঈসালে সওয়াব করবেন। নফল ইবাদত করে করে তাকে সওয়াব পাঠিয়ে দিবেন।
(৩) এখন তো আর স্বপ্নগুলোর কথা জানানো সম্ভব না।
(৪) মাতা-পিতার জন্য সন্তানের পক্ষ থেকে করা দোয়া করার শ্রেষ্ঠ উপায় হল, তাহাজ্জুদ পড়ে দু'আ করা।তাদের জন্য নফল দান সদকাহ করা। তাদের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। সোওয়াব হাদিয়া দেওয়া উত্তম উপায় হল, ইসালে সওয়াব।তথা নফল ইবাদত করে তাদের নামে পাঠিয়ে দেয়া।
(৫) এভাবে কি দোয়া করা যাবে। বাথরুমে এবং নাপাক অবস্থায় মনে মনে দু'আ করবেন।