ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/35175/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
জীবন বীমা বা গাড়ী বীমা নাজায়েয ও হারাম। কেননা কোম্পানির পক্ষ
থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কোম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত
টাকা তথা ঋণের বিপরীতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়, সেটা সুদ। আর
সুদ হারাম।
,
দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ।
আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদান জায়েয না বরং হারাম।
তৃতীয়ত,
বীমার টাকা দেরিতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে। আর ঋণের
মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেরিতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়। তাছাড়া বীমা কোম্পানি গ্রাহকের
নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে। সুতরাং এসমস্ত
কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা বা গাড়ী বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয
হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1204
,
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
,
জীবন বীমা বা গাড়ী বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয
হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) সুতরাং যদি সরকার কর্তৃক চাপানো কোনো বীমা না হয়, তাহলে সেই রকম
বীমা কখনো জায়েয হবে না। হ্যাঁ সরকার কর্তৃক
বাধ্যতামূলক হলে তখন এর রুখসত রয়েছে।