السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
প্রশ্ন ১: আমার অনেক আগের একটি মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখানে সামান্য কিছু টাকা (প্রায় ২০-২৫ টাকা) ছিল। তবে আমি এখন আর সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি না, এমনকি সেটি এখনও সক্রিয় আছে কি না তাও জানি না।
এখন যাকাত হিসাব করার সময় কি ওই টাকার হিসাব করতে হবে? আমি নিশ্চিত নই যে সেখানে আদৌ কোনো টাকা আছে কি না, এবং আমি জানি যে সেই টাকা আমি আর ফেরত পাব না।
যদি যাকাতের জন্য ওই টাকার হিসাব করতেই হয়, তাহলে কত টাকা ধরে হিসাব করবো, কারণ আমি নিশ্চিত নই সেখানে আসলে কত টাকা ছিল?
---
প্রশ্ন ২: আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছেন, যিনি একটি কিন্ডারগার্টেন পরিচালনা করেন। তিনি ঢাকা শহরে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তবে তার স্কুল নাকি ভালোভাবে চলছে না, ফলে তাদের চলতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ ও কিস্তি নিয়ে কোনোভাবে টিকে আছেন—এক স্থান ঋণ/কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে অন্য জায়গায় কিস্তি পরিশোধ করেন। বর্তমানে তারা বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছেন, এজন্য কিছু টাকার দরকার। এজন্য তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ জোগাড় করছেন।
আসল সমস্যাটি হলো, তার প্রকৃত ঋণের পরিমাণ ও সম্পদের পরিমাণ জানা নেই। তিনি দেশে একটি বাড়ি তৈরি করছেন (যদিও বলছেন এটি ঋণ নিয়ে করছেন), আবার ঢাকায় তাদের বাসায় মোটামুটি সবকিছুই আছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুনতে পাই, তাদের অবস্থা কেবল ঋণের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে।
এখন প্রশ্ন হলো, তাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না? যেহেতু তিনি আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, কিন্তু নিশ্চিত নই তারা যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত কি না। আবার সরাসরি জিজ্ঞাসাও করা সম্ভব নয় যে তাদের প্রকৃত অবস্থা কী।
এদিকে, যাকাত এমন কাউকে দিতে হবে, যিনি প্রকৃতপক্ষে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। যদি তারা উপযুক্ত না হন, তাহলে যাকাত দেওয়া বৈধ হবে না।
এক্ষেত্রে কী করা উচিত?
---
প্রশ্ন ৩: আমি যখন নামাজ পড়ি, অনেক সময় রাকাতের সংখ্যা ভুলে যাই (আল্লাহ মাফ করুন)। তবে আমি আমার নামাজ আরও মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
যাই হোক, যখন ভুলে যাই, তখন যেদিকেই মন বেশি ঝোঁকে (যদি চতুর্থ রাকাত মনে হয়) তাহলে সালাম ফিরিয়ে দিই, আর যদি তৃতীয় রাকাত মনে হয়, তাহলে আরও এক রাকাত পড়ে নেই (আল্লাহ মাফ করুন)।
কিন্তু নামাজ শেষ হওয়ার পর মনে হয়, এই নামাজ হয়তো আল্লাহর ইবাদতের উপযুক্ত হয়নি। তাই আমি আবার নতুন করে ওই নামাজ পড়ি।
এভাবে কি নামাজ পড়া উচিত? মানে রিপিট করা? নাকি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পরের বার আরও ভালোভাবে পড়া উচিত?
---
প্রশ্ন ৪: যদি সূর্যোদয় হয় ৬:৩০-এ, আর কেউ ফরজ ফজরের নামাজ শুরু করে ৬:২৫-এ, কিন্তু শেষ হয় ৬:৩১-এ (অথবা ৬:৩০-এর একটু পরে), তাহলে কি তাকে আবার নামাজ পড়তে হবে?
---
প্রশ্ন ৫: আমি জানি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিছু সময় আছে যখন নামাজ পড়া হারাম (অথবা মাকরুহ)। যেমন, সূর্যোদয়ের পর ১৫-২০ মিনিট, সূর্যাস্তের কিছু আগে, এবং আরও একটি সময় হলো যখন সূর্য ঠিক মাথার ওপর থাকে।
এই শেষ সময়টি কখন? অর্থাৎ, যোহরের নামাজের কতক্ষণ আগে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ?
জাযাকাল্লাহু খাইরান!