আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমি বেশ কিছুদিন  ধরে ইস্তেখারা পড়ছিলাম,হয়ত এটারই ফলস্বরূপ স্বপ্নটা দেখেছি   ,নাও হতে পারে,আল্লাহ ভালো জানেন।তো আমি যা দেখেছি,অনেকটা এরকম।

আমি ক্যাডেট কলেজে(এ সম্পর্কে আগেও করেছিলাম,উত্তরও পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ , নিচে paste করে দিচ্ছি ইং শা আল্লাহ)   গিয়েছি আবার।খাকি পরে আছি,তাই অনেক কান্না আসছিল।এমন ড্রেস পরে গা ও ঘিনঘিন করছিল।তখনই কঅলেজের আমার রুমে দুইজন স্যার ঢুকসেন।তাই আমি তারাতাড়ি করে পাশে থাকা ওড়নাটা তাই পরে নিসি।মুখটাও ঢাকার চেষ্টা করছিলাম।এমন দেখে স্যারদের মধ্যে একজন আমাকে অনেক ঝাড়াঝারি করসে,ইভেন এক পর্যায়ে টান দিয়ে ওড়না সরায় ফেলসে,আর সাথে সাথেই আমি চিল্লায় কান্না করা শুরু করসি।স্বপ্নের মাঝে কাঁদতেসিলাম,আর বাস্তবেও!এমনে কান্না করতে দেখে আম্মু বিচলিত হয়ে ঘুম থেকে উঠায়ে আমাকে জিজ্ঞেস করসে এমনে কাঁদতেসি কেন,কি হইসে।আমি তখন আবিষ্কার করলাম যে সত্যিই আমার চোখে পানি ছিল আর এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম।আর ক্যাডেটকলেজেরপার্স্পেক্টিভ অনেকটা   এমনই..

 

আগের প্রশ্নটি....(এটা দিলাম কজ ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত আছে এখানে,)

 

আসসালামুআলাইকুম,আমি ক্যাডেট কলেজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ি,বর্তমানে ৯ম শ্রেনিতে আছি।দ্বীনের বুঝ পেয়েছি বেশিদিন হয়নাই,৩-৪ মাস,আমার family moderate, soঅনেক burden normallyআছেই properlyদ্বীন মানতে।তো গত ৩ মাসে অনেক কাহিনি হয়েছে বাসায়,যেমন একটা মডারেট ফ্যামিলিতে হয় আর কি,জংগী আমার নিকনেমই হয়ে গেছে এখন,আর as a cadet আমার এই change ফামিলি আর রিলেটিভসের জন্য একটা আশ্চর্য বিষয়,তো যাই হোক এগুলি সহ্য করতে করতে এখন গা সওয়া হয়ে গেছে,actually it is very difficult for me now,আর আমার ফ্যামিলি সম্পর্কে এতটুকুই যথেষ্ট যে আমার আব্বু আমাকে নামাজ ছাড়া অন্য যেকোনো ইবাদত করতে নিষেধ করেছেন ।যেভাবেই হোক এই situation এর সাথে এখন মানায় নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। বাট এখন আমি মোটামুটি depressed হয়ে আছি, কারন আবার যদি কলেজে যাওয়া লাগে! আসলে আমি আর চিন্তাও করতে পারি না যে আবার কলেজে যাওয়া লাগবে।আসলে আমি যতদুর জানি কলেজের most of the রুলস ই হারাম। যেমন খাকি টাইপের হারাম ড্রেস পরা লাগবে,আসলে ক্যাডেট কলেজে আমরা মেয়েদেরও শার্ট প্যান্ট পরা লাগে।  গা শিরশির করে মনে হলেই।আরো হারাম কাজ যেমন মিউজিক শোনা লাগে, নাচ গানের মত হারাম কাজেও বাধ্যহয়ে পার্টিসিপেট করা লাগে,নন মাহরামদের সাথে হ্যান্ড শেক করা লাগে,আর সত্যি বলতে কি আরো অনেক হারাম কাজই করা লাগে যা বলতে পারছিনা।আর এ কাজগুলোর সব করতে আমরা বাধ্। এমতাবস্থায় ক্যাডেট কলেজের মত একটা জায়গায় দ্বীনের বুঝপাওয়ার পর যাওয়াটা আমার জন্য অসম্ভব প্রায় ,, কিন্তু আমার     parents directly না করে দিয়েছে যে আমাকে কলেজ থেকে আনবে না,এজন্য ৩সপ্তাহ আম্মু কথাও বলেনি আমার সাথে,আরো অনেক কিছু হয়েছে  কাছে পরামর্শ চাই আমি কি করতে পারি,কেমনে বললে আম্মু আব্বু আমাকে অই কুফরি জায়গা থেকে আনবে,actually at any costআমি রাজি কলেজ থেকে আসতে কিন্তু আমার আম্মু আব্বু কোনোভাবেই রাজি না(আসলে কলেজের অবস্থা খুবই জঘন্য, মানে হারাম কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে,principal sir ক্যাডেট দেখলেইhand shake করে যা স্পষ্টতই হারাম,ডর্মে কুরআন রাখাও banned করেছে উনি)এই জায়গায় আরো ৪টা বছর থাকা  কোনোভাবেই পসিবল না।আমি সত্যিই  দ্বিধায় আছি কি করব বুঝতে পারছি না,মাঝে মাঝে প্রচন্ড হতাশ হয়ে যাই,,

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
উল্লেখিত স্বপ্নের দ্বারা আপনার কোনো সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
,
স্বপ্নে উক্ত পোশাক পরিধান করা,আর এ সংক্রান্ত কাজগুলোর কারনে বাস্তবেই আপনার চোখে পানি আসা আপনার ইমানের আলামত।
আল্লাহর শুকরিয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...