ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺍﻷﺷﻌﺮﻱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﺇﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟﻴﻄَّﻠﻊُ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼﻒِ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥَ ﻓﻴﻐﻔﺮُ ﻟﺠﻤﻴﻊِ ﺧﻠﻘِﻪ ﺇﻟَّﺎ ﻟﻤﺸﺮِﻙ ﺃﻭ ﻣﺸﺎﺣﻦٍ .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, আল্লাহ তা'আলা শা'বানের মধ্যরাত্রিতে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সকল মু'মিন মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।(সুনানে ইবনে মা'জা-১৩৯০)
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها . فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا . فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا من مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر )
হযরত আলী বিন আবু তালীব রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামায পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন-কোন গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। {সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২, }
عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-এক রাতে রাসূল সাঃ কে না পেয়ে খুজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে [মদীনার কবরস্থান] গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন-কি ব্যাপার আয়শা? [তুমি যে তালাশে বের হলে?] তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতে অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়শা রাঃ বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোন বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল সাঃ তখন বললেন-যখন শাবান মাসের ১৫ই রাত আসে অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়, তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-১৫০৯}
عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن
অনুবাদ-হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে]আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪}
★উপরোক্ত শবে বরাতের হাদীস দ্বারা আমরা শবে বরাতে আমল পাই-
১-ইস্তিগফার তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
২-আড়ম্বরপূর্ণ না হলে স্বাভাবিকভাবে হলে কবর যিয়ারত করা।
৩-অনির্ধারিতভাবে নফল ইবাদত করা।
৪-পরদিন রোযা রাখা।
★শবে বরাতে বর্জনীয় কাজ
১-হালুয়া রুটির আয়োজন।
২-আলোকসজ্জা।
৩-আতশবাজি।
৪-দলবদ্ধ ইবাদতকে আবশ্যক মনে করে মসজিদে বা কোথাও একত্র হওয়া। তবে এটাকে এ রাতের বিশেষ আমল মনে না করে এমনিতে একত্র হতে সমস্যা নেই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে২/২৪-২৫ এ বর্ণিত রয়েছে-দুই ঈদের রাত এবং শা'বানের মধ্যরাত এবং রমজানের শেষ দশের রাতে জাগরিত থেকে ইবাদত বন্দেগী করা মুস্তাহাব। এই রজনী সমূহের সমস্ত অংশ বা অধিকাংশ অংশজুড়ে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব।
এই রাত্রি সমূহে পূথক পূথক ভাবে ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে।জামাত বন্দী হয়ে করা যাবে না।নফল ইবাদত করে তথা নামায,কুরআন তেলায়াত,হাদীস আলোচনা,তাসবিহ, দুরুদ ইত্যাদি পড়ে রাত্রি জাগরণ করা মুস্তাহাব।