ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/24243/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে
বর্ণিত,
عن
ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ
ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম
সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন (জানোয়ারের) ছবি আকবে, কিয়ামতের দিন
তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে, সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান
করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না (অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান
করা হবে) (সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
,
হাদীস শরীফে এসেছে-
ﻭَﻗَﺎﻝَ
: ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা
করলে তিনি উত্তরে বললেনঃ যদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি
আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই। (সহীহ বুখারী- ২২২৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2253
,
https://ifatwa.info/3341/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’র্ত সাপেক্ষে।
,
যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-
১-শারিরীক উপকার নিহিত। যেমন দৌড়, ফুটবল ও
ক্রিকেট ও হতে পারে।
২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন
তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।
,
এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-
১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।
২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা
ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।
,
পাবজি খেলা সহ যাবতীয় ভিডিও গেম এ অনর্থক খেলার মাঝে শামিল।
যেহেতু এর দ্বারা শারিরিক কোন উপকার নেই। অহেতুক সময় নষ্ট করা, তাই এটি
অপছন্দনীয়। কিন্তু বর্তমানের ভিডিও গেমগুলোতে নানা ধরণের হারাম মিউজিক থাকে। যা
সম্পূর্ণই নাজায়েজ। আর এসব মারামারি দৃশ্যগুলো বড়দের সহ বাচ্চাদের মন মগজে খুবই
খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে।
বাচ্চাদের প্রতিহিংসা পরায়ন,
প্রতিশোধী মনোভাবাপন্ন বানিয়ে দেয়।
,
আমাদের ধারণা এসব ভিডিও গেম এবং সিনেমাগুলোর এ্যাকশন
দৃশ্যগুলোর কুপ্রভাবে বড়রা সহ কম বয়সী বাচ্চাদের দ্বারাও বড় বড় অপরাধমূলক কাজ
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই এসব অহেতুক ভিডিও গেম থেকে বিরত রাখাই জরুরী।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وكره
كل لهو لقوله عليه الصلاة والسلام كل لهو المسلم حرام إلا ثلاثة: ملابعة اهله،
وتأديبه لفرسه، مناضلته بقوسه… ألخ
وقال
ابن عابدين- كره كل لهو أى كل لعب وعبث (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة-6/395،
যার সারমর্ম হলো প্রত্যেক অনার্থক খেলা ধুলাই নিষেধ।
,
তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম গ্রন্থে আছেঃ
وأما
ما لم يرد فيه (اى فى اللهو) النص عن الشارع، وفيه فائدة وصلحة للناس، فهو بالنظر
الفقهى على نوعين: الأول ما شهدت التجربة بأن ضرورة أعظم من نفعه، ومفاسده أغلب
على منافعه، وأنه من اشتغل بها ألهاه عن ذكر الله وحده، وعن الصلوات الله
والمساجد، إلتحق بذالك بالمنهى عنه لإشراك العلة، فكان حراما أو مكروها، (تكملة
فتح الملهم-4/434-435)
যার সারমর্ম হলো যেই খেলা খেলার দ্বারা শারীরিক উপকার হয়,এবং ইসলামেএ
বিধান পালন করতে কোনো বাধা সৃষ্টি না করে,তাহলে সেটা জায়েজ। অন্যথায় সেটা জায়েজ নয়।
,
পাবজি গেম খেলা হারাম হওয়ার ব্যাপারে অনেক মুসলিম দেশের
মুফতী সাহেবগন স্পষ্ট আকারে ফতোয়া প্রদান করেছে।
আরো বিস্তারিত জানুন
- https://ifatwa.info/3341/
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
মোবাইলে গেইম খেলা সম্পূর্ণ বেহুদা একটি খেলা, যেজন্য এমন খেলাতে
জড়িত হওয়া কখনো জায়েয হবে না এবং এমন খেলার আইডি ক্রয়-বিক্রয় করাও কখনো জায়েয হবে না।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত তাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে তার কাছ থেকে আইডি নিয়ে নষ্ট করে ফেলবেন
এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে তাওবা করতে হবে।
দুআ করি আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সম্পদের মধ্যে বারাকাহ দান
করেন। আপনাদের হালাল ইনকামের মধ্যে বরকত দান করেন। সৎ ভাবে চলার চেষ্টা করবেন।