আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাবা আমার খালা মনির কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোট 40+ হাজার টাকা ধার করেছে! সম্প্রীতি আমার খালাতো বোন একটি ট্যাব কিনবে এই জন্য আব্বু চাচ্ছিল EMI এ কিনে দিতে তাহলে আব্বুর ঋণ কিছুটা পরিশোধ হতো হতো! যদিও এই বিষয়ে আমার খালামনি টাকা-পয়সা চাইনি সে তার ব্যক্তি উদ্যোগেই কিনতে চাচ্ছিল কিন্তু যেহেতু আব্বুর ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাই আব্বু চাচ্ছিল তার ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্যাব টা কিনে দেয়ার জন্য!
ট্যাবটির রেগুলার মূল্য 22850 টাকা তবে নগদ কিনলে ১০% ছাড়ে 20565 টাকায় কেনা যাবে!
আর Credit Card দিয়ে 0% EMI এ 6 মাসে নিতে চাইলে ৫% ডিসকাউন্টে 21707.5 টাকাই কেনা যাবে!
আর Credit Card দিয়ে 0% EMI এ 12 মাসে নিতে চাইলে কোন ডিসকাউন্ট দিবে না 22850 অর্থাৎ রেগুলার মূল্য দিয়ে কিনতে হবে! 
আমি ফতোয়া পড়ে জানতে পেরেছি উপরোক্ত ক্ষেত্রে সুদ হচ্ছে না! 
Product Link: https://eplaza.waltonbd.com/index.php?route=product/product&product_id=6874
এখন বিষয় হল,
আব্বু টাকাটা 6/12 মাসে দিতে চাচ্ছে এক্ষেত্রে নগদ মূল্য থেকে অতিরিক্ত যতটুকু মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে সেক্ষেত্রে আব্বু চাচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যটুকু ঋণের টাকা থেকে কর্তন করবে না অর্থাৎ ঋণ হিসেবে পরিশোধ করবে না ওইটা আব্বু নিজে দিবে যেহেতু সে সময় নিয়ে টাকা পরিশোধ করার কারণে মূল্য বেশি পড়ছে অথচ  নগদ কিনলে আমার খালামণির বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হতো না অর্থাৎ ডিসকাউন্টে প্রাইসে কিনতে পারতো! 

কিস্তিতে কেনার কারণে অতিরিক্ত যে মূল্যটা লাগছে সেটা আব্বু যদি নিজে দেয় অর্থাৎ ঋণ থেকে কর্তন না করে সেক্ষেত্রে তা সুদ হবে কিনা? নাকি হাদিয়া হিসেবে গণ্য হবে!
যদিও আমার খালামণি কিস্তিতে কেনার ফলে যা টাকা লাগছে ততটুকু টাকায় ঋণের পরিশোধ মূল্য হিসেবে গ্রহণ করতে চাচ্ছে কিন্তু আব্বু চাচ্ছে নগদ মূল্য থেকে অতিরিক্ত যতটুকু লাগছে সেটা আব্বু নিজ পকেট থেকে দিয়ে দিবে এবং পরবর্তীতে বাকি টাকা পরিশোধ করবেন!
 

1 Answer

0 votes
by (608,280 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/325

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্য প্রদাণ পূর্বক মাল ক্রয় করা জায়েয। আপনার বাবা অতিরিক্ত মূল্যে কিস্তিতে মাল ক্রয় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
edited by
মুহতারাম,
আমি বুঝতে পেরেছি যে কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্য দেওয়া জায়েয।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো,
ধরুন আপনি আমাকে ১০ টাকা ধার দিয়েছেন যখন পারবো দিতে বলে। বেশি কিছু দিন হয়ে গেছে আমি পরিশোধ করতে পারি নাই এবং আপনিও চাচ্ছেন না কারণ আপনারও প্রয়োজন হচ্ছে না। একদিন আপনার একটা পণ্য কেনা প্রয়োজন আমি সেটা কিনতে চাচ্ছেন।আমি তা জেনে বললাম আপনার টাকা তো আমার পরিশোধ করা হচ্ছে না আমি তাহলে আপনার পণ্যটা কিনে দেয় EMI তে তাহলে আপনার পণ্য ও কেনা হবে আর আমি একটু সময় নিয়ে টাকাটাও পরিশোধ করতে পারবো।
এখন দোকানে গিয়ে দেখলেন,
পণ্যের নগদ মূল্য ৪ টাকা।আর ১২ মাসের কিস্তিতে নিলে ৫ টাকা। আমি ৫ টাকা দিয়ে ১২ মাসের কিস্তিতে পণ্যটা কিনে আপনাকে দিলাম। 
এখন আমি দেখলাম যেহেতু আপনি নগদ কিনলে ১ টাকা কমে ৪ টাকায় কিনতে পারতেন আর আমি কিস্তিতে কেনা ১ টাকা বেশি ৫ টাকা দাম পরছে।

তাই আমার বললাম,
আপনার কাছে যে ১০ টাকা ঋণ আছে আমার।আমি এই পণ্য কেনার মাধ্যমে তার ৪ টাকা (যেহেতু পণ্যের নগদ মূল্য ৪ টাকা) শোধ করলাম আর ৬ টাকা পরে দিব।
আর কিস্তির জন্যে যে ১ টাকা অতিরিক্ত লাগছে পণ্যটা কেনার জন্যে ওটা আমি আমার তরফ থেকে দিয়ে দিব। ১০ টাকার যে আপনি আমার কাছে পান ওখান থেকে কাটবো না।

এখন, এই যে ১ টাকা আমি আমার তরফ থেকে দিয়ে দিচ্ছি এটা কি সুদ হচ্ছে নাকি হাদিয়া?
যদি সুদ হয় তাহলে কথা হলো আমি যে একপ্রকার তার অতিরিক্ত খরচ করিয়ে ফেললাম কিস্তিতে কিনে আমার সুবিধা হবার জন্যে। সে তো নগদে কিনলে ১ টাকা কমেই কিনতে পারতো। তো এটা তার উপর অবিচার হলো নাহ? যদি আমি তার ৫ টাকায় মূল ঋণ পরিশোধ হিসেবে ধরি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...