আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
প্রশ্ন দুটো।

১. আমি প্রস্রাব করতে গিয়ে পায়জামায় খুব সরু একটা সুতার মত সাদা দাগ লেগে থাকতে দেখি। যেটা সাদা স্রাবের দাগ হতে পারে। প্রস্রাবের পরে পরিষ্কার হওয়ার তো পায়ে, যোনিতে পানি লেগে থাকে। তো প্রস্রাব শেষ করে পরিষ্কার হয়েই পায়জামাটা আবার পরে ফেলি৷ নরমালি তো বলা হয় পাঁচটাকার কয়েনের সমান নাপাকি লাগলে কাপড় নাপাক হয়। কিন্তু ভেজা শরীরে দাগওয়ালা পায়জামা পরে ফেলার কারণে কি ওই সুতার মত নাপাকি টা শরীরে লেগে শরীর নাপাক হয়ে গেছে? আমি প্রচুর ওয়াসওয়াসায় ভুগি আর সাদাস্রাব বেড়ে গেছে(মাযুর হওয়ার মত বেশি না)। তাই শরীর আর না ধুয়ে খালি পায়জামা বদলে নামাজ পড়ে ফেলি৷ এই নামাজ কি হয়েছে?

২. নবীজী(সা.) এর নাম বললেই যে দরুদ বলতে হয় এর কোনো নিয়ম আছে? মানে কয়েকবার নাম বলার পরে একবার দরুর পড়লে হয়, নাকী প্রতিবার নাম উচ্চারনের সাথেই একবার করে পড়তে হয়? আর কোনো নাশিদে দেখা যায় শুধু ইয়া মুহাম্মাদ এভাবে বলে। ওগুলোর ক্ষেত্রে নিয়ম কী?

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র সাদাস্রাবের সন্দেহের দরুণ কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না। বরং বাস্তবে নাজসত লেগে থাকলে এবং তা এক দিরহামের চেয়ে বেশী তখন কাপড় বা শরীর নাপাক হবে। যদি এক দিরহাম থেকে কম হয়, এবং পানির সংস্পর্শে আসার কারণে লেপ্টে যায়, তাহলে এতেকরে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে।

(২) কোনো এক মজলিসে প্রথবার নবীজির নাম শোনার সাথে সাথে দুরুদ পাঠ ওয়াজিব । পরবর্তীতে যতবার উচ্ছারিত হবে, ততবার মুস্তাহাব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (3 points)
১ নং উত্তরটা নিয়ে আরেকটা জিজ্ঞাসা ছিল। পয়জামায় লাগা স্রাবটা যদি ১ দিরহাম থেকে কম হয় এবং পানি লাগার পরে লেপ্টে গেছে কীনা বোঝা না গিয়ে স্রাবটা আর দেখাই যাচ্ছেনা পায়জামায় শুধু পানিই লেগে আছে এমন মনে হয়, তাহলে কি নামাজের সময় ওই পায়জামা বদলে নিলেই হবে, নাকী প্রতিবার পানিটা শরীরের যে যে জায়গায় লেগেছে ওটা আলাদা করে ধুতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...