আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

আমার এক বান্ধবীর প্রশ্ন:
কেউ কিছু পাওয়ার আশায় ( নিজের জন্য না এদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য ) নিজের প্রিয় একটা জিনিস কুরবানী দিলো আল্লাহ রাস্তায়। এটার বিধান কি? যেমন:

যে এই কাজ টা করছে সে আল্লাহর কাছে একটা সময় খুব বিশেষ একটা দোয়া করতো বিবাহ কেন্দ্রিক। উঠতে বসতে মাঝে মাঝে হালকা ঘুমের ঘোরেও দোয়া করতো। মানে যখন ই মন খারাপ হতো ঐ দোয়া করতো। এই দোয়া করা টাই তার অন্তরে প্রশান্তি আনতো, মন হালকা হতো..
তো একটা সময় দেশে খুব গন্ডগোল লাগে ছাত্রদের কারনে অকারণে মেরে ফেলা হচ্ছিল গুম হচ্ছিল অনেকে.. ঐ জুন জুলাইয়ের সময় টায়।
তখন সে আল্লাহকে বলেছিল আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতি শান্ত করে দেন, তাহলে সে( সবচেয়ে প্রিয় জিনিস )ঐ দোয়া আর করবে না। সেটা সে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী দিলো।

কিন্তু এখন সে পড়ে গেছে খুব বিপদে। যতদিন যাচ্ছে ততই তার মনে হচ্ছে সে আসলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। আর সীমা লঙ্ঘনকারী কে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
এখন সে তওবা তো করে নিয়েছে কিন্তু অন্তর প্রশান্ত হচ্ছে না.. তার জন্য ফতোয়া কি?যেহেতু তওবা করে নিয়েছে এখন কি পুনরায় আগের দোয়া করতে পারবে?

আমার কিছু প্রশ্ন-
১. কিছুদিন আগে আমি একটা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতে পাই। একটা ঝর্ণা, যেটি খুবই সাধারণ প্রকৃতির। উপর থেকে পানি পড়ছিল এবং সামনে স্রোতধারা ছিল। আমি সেখান থেকে দুই হাত দিয়ে কিছুটা পানি পান করলাম। আশেপাশে কেউ ছিল না, অথচ একটি গায়েবি আওয়াজ শুনতে পাই। বলা হচ্ছিল এটাই জান্নাতের ঝর্ণা। তবুও আমি কেন যেন খুশি হতে পারিনি। পানি পান শেষে আমি সামনে এগোতে থাকি এবং একটি ক্ষেত দেখতে পাই, যেটি বড় বড় ঘাস দ্বারা পূর্ণ ছিল। অদূরে একটি ঘর দেখা যাচ্ছিল, ঘরের সামনে একটি হলদে বাতি। চারিপাশ আলো আঁধারি ছিল, সন্ধ্যার সময় আমরা যেমন দেখি তেমন-ই।আমি ক্ষেতের মাঝে হাঁটছিলাম, আর ভাবছিলাম "এ কেমন জান্নাত? আশেপাশে কেউ নেই! পরিবেশটাও বড্ড অদ্ভূত! " এটা ভাবতে ভাবতে হেঁটে চলেছি, এভাবেই আমার স্বপ্ন ভেঙে যায়।
২. আমি আমালিয়্যাতে রেগুলার হওয়ার জন্য কিছু কোর্সে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু সেখানে টাস্ক বেশি হওয়ায় যথাসময়ে শেষ করতে পারি না। মাঝেমধ্যে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে ফেলি। পরে তাওবা করে নিই এবং আমল গুলো কমপ্লিট করার চেষ্টা করি। তাওবা করার ফলে কি গুনাহ মাফ হবে? মিথ্যার কাফফারা আদায় করতে হয়? কিভাবে করতে হয়?

৩. আমি সহশিক্ষায় আছি এবং জানি, এটা স্পষ্টত হারাম। আমি জোরালোভাবে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার পরিবার মানতে নারাজ। আব্বু অসুস্থ মানুষ, হয়তো টেনশনে বিপদ ও হয়ে যেতে পারে। সেটা চিন্তা করে বর্তমানে পড়া জারি রেখেছি। কিন্তু দুআ ও করছি বের হওয়ার জন্য। পড়াশোনা এবং দুআ, দুটো কাজই যদি একসাথে জারি রাখি, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? এভাবে কি দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
৪. আমি আগে প্রায়শই স্বপ্নে জ্বীন দেখতাম। কখনো বাতাসের আঙ্গিকে আসতো, কখনো প্রানীর আকৃতি, কখনো ছোট বাচ্চাদের আকৃতি। তারা আশেপাশে থাকতো, খাবার ফলমূল দিলে খেয়ে চলে যেতো। ক্ষতি করতো না, স্পর্শ করতো না। এভাবে টানা কয়েকদিন একই স্বপ্ন দেখি। এর অর্থ কি হতে পারে?

৫. আমি ফজরের নামাজে রেগুলার নই। প্রায়ই একটা স্বপ্ন দেখতাম, তাও আবার ফজরের সময়। স্বপ্নে আমি ওজু করে ফজরের সালাতের জন্য দাঁড়াতাম।কিন্তু সালাত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যেতো, ততক্ষণে আর ওয়াক্ত থাকতো না। বিষয় টা এমন হয়ে যাচ্ছিল যে, আমি স্বপ্নে সালাত পড়ছি,অথচ বাস্তবে কাযা হচ্ছে। এর অর্থ কি হতে পারে?

1 Answer

0 votes
ago by (605,310 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي ) 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী /বোন!
(১) স্বপ্নটি কল্যাণকর। আপনার ভবিষ্যত জীবনে বারাকাহ আসবে। সুতরাং শরীয়তের সকল বিধিবিধানকে পরিপূর্ণরূটে পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।আমীন।

(২) এখানে বিনা জরুরতে অযথাই মিথ্যা বলা হচ্ছে। তাই এইভাবে মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নাই।

(৩) গোনাহ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করে করে পড়ালেখা করলে তো গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

(৪) আপনি দৈনিক সকাল বিকাল সূরা নাস ও সূরা ফালাক ও নিম্নোক্ত লিংকে বর্ণিত দু'আ পড়বেন।তাহলে জ্বীন কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

আরো দেখুন- http://ifatwa.info/1093

(৫)
স্বপ্নটি ভালো ও উত্তম। একটু চেষ্টা প্রচেষ্টা করলেই নামাযে নিয়মিত হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...