السلام عليكم و رحمة الله و بركاته
আমার এক বান্ধবীর প্রশ্ন:
কেউ কিছু পাওয়ার আশায় ( নিজের জন্য না এদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য ) নিজের প্রিয় একটা জিনিস কুরবানী দিলো আল্লাহ রাস্তায়। এটার বিধান কি? যেমন:
যে এই কাজ টা করছে সে আল্লাহর কাছে একটা সময় খুব বিশেষ একটা দোয়া করতো বিবাহ কেন্দ্রিক। উঠতে বসতে মাঝে মাঝে হালকা ঘুমের ঘোরেও দোয়া করতো। মানে যখন ই মন খারাপ হতো ঐ দোয়া করতো। এই দোয়া করা টাই তার অন্তরে প্রশান্তি আনতো, মন হালকা হতো..
তো একটা সময় দেশে খুব গন্ডগোল লাগে ছাত্রদের কারনে অকারণে মেরে ফেলা হচ্ছিল গুম হচ্ছিল অনেকে.. ঐ জুন জুলাইয়ের সময় টায়।
তখন সে আল্লাহকে বলেছিল আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতি শান্ত করে দেন, তাহলে সে( সবচেয়ে প্রিয় জিনিস )ঐ দোয়া আর করবে না। সেটা সে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী দিলো।
কিন্তু এখন সে পড়ে গেছে খুব বিপদে। যতদিন যাচ্ছে ততই তার মনে হচ্ছে সে আসলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। আর সীমা লঙ্ঘনকারী কে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
এখন সে তওবা তো করে নিয়েছে কিন্তু অন্তর প্রশান্ত হচ্ছে না.. তার জন্য ফতোয়া কি?যেহেতু তওবা করে নিয়েছে এখন কি পুনরায় আগের দোয়া করতে পারবে?
আমার কিছু প্রশ্ন-
১. কিছুদিন আগে আমি একটা অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতে পাই। একটা ঝর্ণা, যেটি খুবই সাধারণ প্রকৃতির। উপর থেকে পানি পড়ছিল এবং সামনে স্রোতধারা ছিল। আমি সেখান থেকে দুই হাত দিয়ে কিছুটা পানি পান করলাম। আশেপাশে কেউ ছিল না, অথচ একটি গায়েবি আওয়াজ শুনতে পাই। বলা হচ্ছিল এটাই জান্নাতের ঝর্ণা। তবুও আমি কেন যেন খুশি হতে পারিনি। পানি পান শেষে আমি সামনে এগোতে থাকি এবং একটি ক্ষেত দেখতে পাই, যেটি বড় বড় ঘাস দ্বারা পূর্ণ ছিল। অদূরে একটি ঘর দেখা যাচ্ছিল, ঘরের সামনে একটি হলদে বাতি। চারিপাশ আলো আঁধারি ছিল, সন্ধ্যার সময় আমরা যেমন দেখি তেমন-ই।আমি ক্ষেতের মাঝে হাঁটছিলাম, আর ভাবছিলাম "এ কেমন জান্নাত? আশেপাশে কেউ নেই! পরিবেশটাও বড্ড অদ্ভূত! " এটা ভাবতে ভাবতে হেঁটে চলেছি, এভাবেই আমার স্বপ্ন ভেঙে যায়।
২. আমি আমালিয়্যাতে রেগুলার হওয়ার জন্য কিছু কোর্সে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু সেখানে টাস্ক বেশি হওয়ায় যথাসময়ে শেষ করতে পারি না। মাঝেমধ্যে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে ফেলি। পরে তাওবা করে নিই এবং আমল গুলো কমপ্লিট করার চেষ্টা করি। তাওবা করার ফলে কি গুনাহ মাফ হবে? মিথ্যার কাফফারা আদায় করতে হয়? কিভাবে করতে হয়?
৩. আমি সহশিক্ষায় আছি এবং জানি, এটা স্পষ্টত হারাম। আমি জোরালোভাবে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার পরিবার মানতে নারাজ। আব্বু অসুস্থ মানুষ, হয়তো টেনশনে বিপদ ও হয়ে যেতে পারে। সেটা চিন্তা করে বর্তমানে পড়া জারি রেখেছি। কিন্তু দুআ ও করছি বের হওয়ার জন্য। পড়াশোনা এবং দুআ, দুটো কাজই যদি একসাথে জারি রাখি, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? এভাবে কি দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
৪. আমি আগে প্রায়শই স্বপ্নে জ্বীন দেখতাম। কখনো বাতাসের আঙ্গিকে আসতো, কখনো প্রানীর আকৃতি, কখনো ছোট বাচ্চাদের আকৃতি। তারা আশেপাশে থাকতো, খাবার ফলমূল দিলে খেয়ে চলে যেতো। ক্ষতি করতো না, স্পর্শ করতো না। এভাবে টানা কয়েকদিন একই স্বপ্ন দেখি। এর অর্থ কি হতে পারে?
৫. আমি ফজরের নামাজে রেগুলার নই। প্রায়ই একটা স্বপ্ন দেখতাম, তাও আবার ফজরের সময়। স্বপ্নে আমি ওজু করে ফজরের সালাতের জন্য দাঁড়াতাম।কিন্তু সালাত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যেতো, ততক্ষণে আর ওয়াক্ত থাকতো না। বিষয় টা এমন হয়ে যাচ্ছিল যে, আমি স্বপ্নে সালাত পড়ছি,অথচ বাস্তবে কাযা হচ্ছে। এর অর্থ কি হতে পারে?