আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (58 points)
আসসালামু আলাইকুম। ওস্তাদ উত্তরটা দ্রুত দিলে ভালো হয়।

এক মেয়ে সে খাস পর্দা করে। আলহামদুলিল্লাহ! এবং মেয়েটা মাজলুম। সে একমাত্র মেয়ে তাই তার দাদার বাড়ির মানুষেরা তার সম্পত্তির লোভ করে তার বাবাকে জাদু করে তাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।এখন তার বাবা তাদেরকে খুব অত্যাচার করে।এবং তার বিয়ে নিয়েও ঝামেলা।তার বাবার পরিবার এক ভন্ড মুফতির পাল্লায় পড়েছে যে ভয়ংকর জাদু করে মানুষকে।সেই মুফতি যে ছেলেকে নিয়ে আসবে বেদ্বীন তাকেই বিয়ে করতে হবে।এছাড়াও ছেলের চরিত্র খারাপ সেদিকেও তার ভ্রুক্ষেপ করেনা।ওই মেয়েদ তার গ্রামের বাড়ির ওইদিকে বিয়ে করাটাই সর্বনাশ।

তো, এবার আসি আরেকটা মূল কথায়। ওই মেয়ে ব্যবসা করত।তো, এক দ্বীনদার ছেলে ওই মেয়েটার পেজে নক দিয়ে মেয়েটার প্রডাক্টের দাম জানতে।এবং পাইকারিতে তার পণ্য নিতে চায়। মেয়েটা তার মায়ের সাথে কথা বলে প্রডাক্ট দিতে রাজি হয়।এবং ছেলেটাও ব্যবসা করত সে সুবাদে মেয়েটাও ছেলেটার প্রডাক্ট পাইকারিতে নিয়ে বিক্রি করত। তাদের মধ্যে জরুরি কথা ছাড়া কথা হতো না। যেমন- এই পণ্য আমার লাগবে পাঠান।ওকে পাঠাচ্ছি শেষ কথা।দুজনেই যেনাকে ভয় পেতো তাই আরও সচেতন ছিলো। তো, ছেলেটাও একজন দ্বীনদার মেয়ে খুজতেছিলো।তাই একদিন মেয়েটাকে ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব দেয়।মেয়েটা প্রথমে রাজি না হলেও পরে অনেক কিছু ভেবেই মেয়েটার মায়ের সাথে কথা বলে রাজি হয় কারন ছেলেটা দ্বীনদার আর ভালো। আর তার পরিবারেও সমস্যা।সে সব সমস্যা মেনে নিয়েছিলো।দ্বীনদার ছেলে সহজে পাওয়া যায়না।আর ছেলেটার বড় বোন ও মেয়েটাকে পছন্দ করত।তো, মেয়েটা বলে আমার ফ্যামিলির সাথে আপনার ফ্যামিলির কথা বলায় দেন ওরা যা বলবে তা। তো, ছেলেটার মা মেয়ের মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তারা জানায় তারা মেয়ের বাড়িতে মেয়েকে দেখতে আসবে। মানে বিয়ের দিকটা এমন পর্যায় চলে গিয়েছিলো যে, তাদের বিয়ে হবেই।ছেলের বাড়ির সবাই আর মেয়ের মায়েরও পছন্দ আছে। ছেলেরা দেখতে আসতে চাইছে শুধু ফরমালিট মেইনটেইন এর জন্য।বাকি বিয়ে এখানেই দিবে। তাই মেয়েটা আর ছেলেটা তেমন একটা কথা না বললেও তাদের মায়া হয়ে যায়। আর হ্যা,, দ্বীনদার মেয়ে/ছেলে যেহেতু পাওয়া যায়না যেমন খুজে তাই তারাও চাচ্ছিলো বিয়েটা হোক।সে কারনে মাঝে কিছুদিন তার কথা বলেছিলো বিয়ে নিয়েই।আল্লাহ মাফ করুন হয়তবা তাদের ভুল হয়ে গিয়েছে।কিন্তু এখন তাদের দুজনেরই অনেক মায়া হয়ে গেছে একজনের উপরে আরেকজনের।এমন হয়েছে যে অন্য কাউকে বিয়ে করলে মন বসবেনা/ স্বামি-স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবেনা। মেয়েটার একটা ছবি ছেলের বোনের কাছে ছিল।এই ছবি ছেলের মামা দেখেছে।তারা এত পর্দা বুঝেনা।ছেলের মামা দেখেছে তাই ছেলে অনেক রাগ হয়ে গেছিলো।কারন মেয়েটার পর্দা ভংগ হলো।এটা নিয়ে ছেলেটা অনেক রাগারাগি করে তার মামাদের বাসা থেকে বের হয়ে আসে আর যায়না। পরে ছেলেটা মাফ চেয়েছে কিন্তু তার মামারা বলেছে তোমাকে মাফ করলাম কিন্তু ওই মেয়েকে আর মেনে নিবোনা আমরা। তখন ছেলেটা অনেক অনুরোধ করে ওই মেয়েটাকে বিয়ে করার জন্য।তখন ছেলের পরিবার পরে পরহেজগার মেয়ে কি বাংলাদেশে শুধু একটাই? তোমরা কি প্রেম করো? যদি প্রেম না করো তাহলে অন্য মেয়েকে বিয়ে কর এটা হবেনা।ছেলেটাকে তার মা এ নিয়ে অনেক মেরেছে।এবং ছেলেটার বিয়ে একটা মেয়ের সাথে ঠিক করেছে।ডেট ফিক্সড হয়নি। মেয়েটা পর্দা তেমন করেনা।ছেলেটা ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজিনা।আর তার কথা সে অন্য একটা মেয়েকে পছন্দ  করে সে ওই মেয়েকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করলে হক আদায় করতে পারবেনা। মেয়েটারও সেম অবস্থা।রিলেশন করেনি তাও এমন মায়া হয়ে গিয়েছে।তারা বুঝতেছে তাদের হয়ত ভুল হয়ে গেছে কিন্তু এখন এই মায়া বা যা পরিস্থিতি হয়েছে বিয়ে ছাড়া সমাধান নেই।এখন কি উপায়.?

ছেলে-মেয়ে যদি পালিয়ে বিয়ে করে এক্ষেত্রে কি এটা ঠিক হবে?

তারা চাচ্ছে একাকি বিয়ে করে নিতে এবং বিয়ে করে যে যার বাসায় থাকবে আর পরিবারকে কিছু বলবেনা।পরিবারকে ফ্যামিলি গত ভাবে বিয়ে করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করবে আর ছেলের যে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেটা ভেংগে দিবে।যদি একান্তই ছেলের পরিবার রাজি না হয় অবস্থা খুব খারাপ হয় তখন বলবে তারা বিয়ে করেছে।এর আগে বলবেনা।পারিবারিক ভাবে সবাইকে রাজি করিয়েই বিয়ে করবে। এটা কি ঠিক হবে?

এছাড়া উপায় ও নেই। তাদের পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে একজন একজনকে অনেক পছন্দ করে ফেলেছে তারা নিজেও বুঝেনি।এখন অন্য কারো সাথে বিয়ে হলে মানিয়ে নিতে পারবেনা বা হক সঠিকভাবে আদায় করতে পারবেনা যেটা জান্নাতে যাবার জন্য অনেক বড় বাধা।এখন সমাধান কি.? বিয়ে করা উচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরিবারের অগোচরে বিয়ে করা কখনো কোনো যুবক যুবতির জন্য কাম্য হতে পারে না। এমনকি পর্যায়ক্রমে সেটা গোপন যিনাহের দারপ্রান্তে চলে যায়। তবে প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু উভয়ের পরিবার বেদ্বীন কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে, তাই তারা চাইলে প্রকাশ্যে বিয়ে করে নিতে পারে । এতে পরিবার কষ্ট পেলেও কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...