জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সিজদায়ে শোকর,সিজদায়ে তেলাওয়াত, নামাজ, সকল বিধান একই।
অর্থাৎ অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন জায়েজ নেই।
কেহ যদি এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া সেজদা করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)
আরো জানুনঃ
,
দাড়িয়ে হাত উঠানো ব্যতিত আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যাবে,কমপক্ষে তিনবার سبحان ربي الأعلى বলবে।
তারপর আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যাবে।
বসে গেলেও কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে দাড়ানো অবস্থা থেকে সেজদায় যাওয়া,সেজদাহ শেষে আবার দাড়ানো উত্তম।
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144008201624 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
(০২)
হাদীস শরীফে তাকে শয়তান বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই একজন ফিরিশতা এবং একজন শয়তান জুড়ে দেয়া আছে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনার সাথেও? তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ, তবে আল্লাহ আমাকে তার উপর সহযোগিতা করেছেন, ফলে সে আত্মসমৰ্পন করেছে, বা আমি নিরাপদ হয়ে গেছি, সে আমাকে ভাল কাজ ছাড়া আর কোন কিছুর নির্দেশ দেয় না। [মুসলিমঃ ২৮১৪]।
,