আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ্। উস্তাদ জী আমি একটা হাদিস পড়েছি যে "তোমারা সৎ কাজের আদেশ করো এবং মন্দ কাজে নিষেধ করো। নাহলে তোমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে তোমাদের দুষ্টু দের আর তোমাদের উৎকৃষ্টরা তোমাদের জন্যে দোয়া করবেন কিন্তু তাদের দোয়া কবুল হবে না।" উস্তাদ আমি ভার্সিটি তে পড়ি। এইখানে অধিকাংশ মানুষই ইসলাম বিমুখ। আমার রুমমেট আছেন দুইটা সিনিয়র আপু। তারাও এমন। তাদের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে আমার সম্পর্ক ভালো না। আমি যদি তাদের ইসলামের দাওয়াত দেই তাহলে আমি উল্টা বিপদে পড়ব তাদের এইগুলা বলার জন্য যেহেতু আমি তাদের জুনিয়র। এই অবস্থায় তাদের গুনাহ এর ভাগীদার হবো আমি? আমার জন্য কেও দুয়া করলে সেইটা কবুল হবে না? আমার কি করা উচিত এই বিষয়ে জানালে মুনাসিব হয়।

1 Answer

0 votes
by (64,500 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، - وَهَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ - قَالَ أَوَّلُ مَنْ بَدَأَ بِالْخُطْبَةِ يَوْمَ الْعِيدِ قَبْلَ الصَّلاَةِ مَرْوَانُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ الصَّلاَةُ قَبْلَ الْخُطْبَةِ . فَقَالَ قَدْ تُرِكَ مَا هُنَالِكَ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ " .

আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... তারিক ইবনু শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঈদের সালাতের পুর্বে মারওয়ান ইবনু হাকাম সর্বপ্রথম খুতবা প্রদান আরম্ভ করেন। তখন এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, খুতবার আগে হবে সালাত (নামায/নামাজ)। মারওয়ান বললেন, এ নিয়ম রহিত করা হয়েছে। এতে আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, ’এ ব্যাক্তি তো কর্তব্য পালন করেছে’। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না থাকে, তাহলে মুখের দ্বারা, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে ঘৃণা করবে), আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৩

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

আপনি উক্ত হাদীসের উপর আমল করার চেষ্টা করবেন। আপনার জান-মালের ক্ষতির আশংকা করলে তাদেরকে সরাসরি দাওয়াত দিবেন না। আর এর দ্বারা আপনি গোনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। তবে কৌশলে তাদেরকে দাওয়াত দিতে পারেন। তাদের হেদায়াতের জন্য দুআ করবেন। তাদেরকে ইসলামিক সুন্দর সুন্দর বই হাদিয়া দিতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...