আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আমার দুলাভাই বিদেশে লোক পাঠায়।আমার মা ২০১৯ এর দিকে ইউরোপ এর জন্য টাকা দেয় বলে ছয় মাস লাগবে কিন্তু বছর এর উপরে চলে যায় ইন্ডিয়া ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় করোনার লকডাউন দেয়। সে প্রথমে আমার মা যে টাকাটা দিছিল সে তার অন্য ব্যাবসায় ইনভেস্ট করে এইজন্য দেরি হয়।তারপর করোনার কারনে আর যেতে পারিনি সে বলে চেষ্টা করতেছি ২০২২ এসে বলে দুবাই বা সৌদি আরবে যেতে আমি রাজি হয়নি। তারপর মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যাবসা দেই তারপর যখন ব্যাবসা লস হচ্ছিল তখন আমি দোকান বিক্রি করতে চাইলে বোন দুলাভাই পুরো ফ্যামিলি আমার বিরুদ্ধে চলে যায় আমার ছোটো ভাই থেকে শুনছি যে এটার পিছনে দুলাভাই আছে কারন উনার কথায় বিদেশ যাইতে রাজি হইনি। তারপর দোকানে  ঠিক মত বসিনাই বেচাকেনা নাই এইজন্য ব্যাবসায় লস খাই। সবাই বলে আমার কারনে সব হইছে যখন বিক্রি করলে লস কম হতো তখন সবাই আমার বিরুদ্ধে ছিলো ।তারপর ফ্যামেলি সিন্ধান্ত নেয় যে বিদেশে পাঠাবে আমি বলছি যে ছোট খাটো দেশে পাঠাতে ইউরোপ না এর কারন তিন বছর ঘুরছি। উনি ইউরোপ পাঠাবে বলে এখন প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে এখন বলে আরও ধৈর্য ধরতে।যে কারও ধৈর্যের বাদ ভেঙে যেতে পারে। এদিকে আমার বউ আমাকে প্রতিদিন কথা শুনায়। আমরা একসাথে আছি আমার বউ ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে মা রাগারাগি করে সেই বউ ১০ টা বাজে উঠলেও কিছু বলেনা। এই নিয়ে আমার বউ আমাকে প্রতিদিন আমার সাথে রাগারাগি করে বলে তোমার ভাইয়ের কামাই আছে বলে তোমার মা তোমার ভাবি কে কিছু বলেনা।আমার বউ বাচ্চা অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে চায় না কিন্তু আমার ভাইয়ের সময় বাবা খুব আগ্রহের সাথে নিজ থেকে  করে আমার বেলা সেটা করে না অনেক বলার পরে করে । কোনো কাজ লাগলে টাকা দেয় আমার মা কিন্তু হাতখরছ দিতে চায় না বউ বাচ্চা আছে কিছু লাগলে। উনি ৩৩ হাজার টাকা বেতন পায় ৩ হাজার টাকা চাইলে দিতে চায় না। ছোটো ভাইকে নিজ ইচ্ছায় দেয়। আমি বলছি ইউরোপ যাইতে চাইনা ছোটো খাটো একটা মুসলিম দেশে পাঠান খালি বলে ধৈর্যধারন করতে  । আরও অনেক আছে। দিনদিন আমি মানুষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। ছোট খাটো কাজও করতে দিবে না মনে হয়  ফ্যামিলির সম্মান যাবে বলে আর ভালো চাকরিও পাবো না ইন্টার পর্যন্ত পরছি।

১।এখন আর ধৈর্যধারন করতে পারতে ছিনা মনের ভিতর আত্মহত্যার মত জগন্য চিন্তা আসে। আমি যদি রাগ হয়ে কোথায় চলে যাই বলতে মেবাইলে ভয়েস মেসেজ দিয়ে রাগারাগি করে যাতে করে তারা অন্য মুসলিম দেশে পাঠায়?

২।ধৈর্য ধরতে পারতেছিনা যেকোনো সময় মানুষিক রোগী হতে পারি  বা যে কোনো সময় অঘটন ঘটাতে পারি।এখন আমার করনীয় কি?
৩।আমার বউ ব্যাবসার জন্য সর্নের চেইন দিছিল বিক্রি করতে কিন্তু করিনি। এখন আমার কাছেই আছে কিন্তু এখন বলে বিক্রি করতে দিবেনা। এখন যদি আমি বিক্রি করি আমার জন্য হালাল হবে কি?
৪।আমি নামাজে ছিলাম তখন মনে হলো মুসলিম জিনকে  বন্ধু বানানোর পদ্ধতি জিন সুরা পরতে হবে। জিনকে বন্ধু না বানানোর ইচ্ছায় মনে মনে জিন সুরা নিয়ে একটা গালি আসে ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছায় জানিনা। তারপর আল্লাহ পাক এর শানে গালি আসে ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছায় জানিনা। এখন কি ইমান চলে যাবে
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250106_184903_161.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/92069/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
রাসূল সাঃ আত্মহত্যা করার ভয়াবহ শাস্তির কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেছেন-

عَنْ أبي هريرة , عَن النبي – صلى الله عليه وسلم – قال : من تردى من جبل , فقتل نفسه , فهو في نار جهنم يتردى فيها خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن تحسى سما , فقتل نفسه , فسمه في يده يتحساه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا , ومن قتل نفسه بحديدة , ثم انقطع علي شيء , يعني خالدا , كانت حديدته في يده يجأ بها في بطنه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৪৪২, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-১৯৬৪}

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আত্মহত্যা এটি কোনো সমাধানের বিষয় নয়।
এর জন্য নিজের দুনিয়াবী জীবন ও  আখেরাতের অনন্তকালর জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেননা।
এর আখেরাতে চিরস্থায়ী জাহান্নামে যেতে হবে।

কেহ যদি দুনিয়ায় যেনা করে,সেও তো তওবা করলে মাফ পাবে।
কিন্তু আত্মহত্যা করলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।
সুতরাং এটি কোনোভাবেই বুদ্ধিমান ব্যাক্তির কাজ হতেই পারেনা।
,
অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এই দুনিয়ার কেহই আমাদের আপন নয়,শুধুমাত্র এক আল্লাহই আমাদের আপন।
মায়ের পেটে থাকা অবস্থাতেও তিনি আমাদের দেখাশোনা করেছেন,কবর জগতেও তিনিই একমাত্র আপন থাকবেন।

তিনি ছাড়া কেহই আমাদের আপন নন।
সুতরাং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায়,তার আদেশ পালনার্থে আত্মহত্যা করবেননা।
,
দুনিয়ার জিন্দেগী দাঁতে দাঁত চেপে হলেও সহ্য করুন,আখেরাতের অনন্তকাল জিন্দেগীর শান্তি কামনায়,,,।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
শরীয়তের কঠিন নির্দেশনার দিকে চিন্তা করে,নিজের সন্তান স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আত্মহত্যার চিন্তা হতে সরে আসুন।

প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি রাগ করে অন্যত্রে কোথাও চলে গিয়ে কোনো ব্যবসা/চাকরি ইত্যাদি করে টাকা রোজগার করলে বা এর দরুন যদি তারা অন্য মুসলিম দেশে পাঠায়,এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
যেকোনো ছোটখাটো চাকরি করতে পারেন। 
বাসায় থেকে যেহেতু তারা আপনাকে দিয়ে ছোটখাটো চাকরি  করতে দিবেনা,সেক্ষেত্রে অন্যত্রে গিয়েও কিছু একটা করতে পারেন।

অথবা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ব্যবসায়ীদের থেকে টিপস নিয়ে যেই ব্যবসায় আপনি লাভ করতে পারবেন,সময় দিতে পারবেন,এমন ব্যবসা করবেন।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখন যদি আপনি বিক্রি করেন,সেক্ষেত্রে উহা আপনার জন্য হালাল হবেনা।

(০৪)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...