আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১.রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি পূর্ণাঙ্গ দিন(daily routine) কেমন ছিল তা বিস্তারিত ভাবে জানতে চাই।
২.রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক'বার খেতেন এক জায়গায় দেখলাম দু বার, যোহরের আগে এবং মাগরিব/এশার পর পর।
আরেক জায়গায় দেখলাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোহার সালাত আদায়ের পর খেতেন,যোহরের আগেও খেতেন, এশার পরবর্তী সময় ও খুব সম্ভবত।
আসলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

কখন খেতেন এখন কার দিনে কয়টা হবে?

1 Answer

0 votes
by (581,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
সংক্ষেপে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দৈনন্দিন রুটিনঃ-

★সকাল যেভাবে কাটাতেন
রাসুল সা. রাতে তাহাজ্জুদের নামাজের পরে ফজরের নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকতেন মসজিদে। ফজর শেষে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সূর্য  ওঠা পর্যন্ত মসজিদে অপেক্ষা করে চাশতের নামাজ আদায় করতেন।

রাসুল সা. ফজরের পর পরই ঘুমাতেন না। কারণ সেই সময়টাতে আল্লাহ বান্দাদের রিযিক বন্টন করেন। ফজরের পরপর মসজিদে অবস্থানকালীন সাহাবাদের বিভিন্ন সমস্যা শুনতেন। তাদের বিভিন্ন পরামর্শ  দিতেন।

★সূর্যোদয়ের পর
সূর্যোদয়ের পর, তিনি তাঁর বাড়িতে ফিরে আসতেন। দোয়া পড়তেন। ঘরে খাবার থাকলে তা খেতেন অন্যথায়  মসজিদে নববিতে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।

এরপর মদিনার সাধারণ মানুষ আসতেন রাসুল সা. এর সঙ্গে দেখা করতে।  মদিনার মানুষ রাসুল সা. এর কাছে ভীড় জমাতো এ সময়। তিনি তাদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন।

★দুপুর
দুপুরে তিনি মসজিদে গিয়ে যোহর পড়েন। শুক্রবার হলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খুতবা প্রদান করতেন। সাহাবীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতেন।

কেহ কেহ বলেছেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ দুপুরে কিছু সময় কাইলুলা (কিছু সময়) করতেন।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

★বিকেল
রাসুল সা. সাধারণত দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে মসজিদে যেতেন। আসরের পর তিনি বিবিদের কাছে গিয়ে প্রত্যেকের চাহিদা সম্পর্কে  জিজ্ঞেস করতেন। তাদের দিনটি কেমন কেটেছে তা  জিজ্ঞেস করতেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন।

★সন্ধ্যা
রাসুল সা. মাগরিব নামাযের আগে দোয়া কবুল হওয়ার সময় দোয়া করতে মসজিদে উপস্থিত হতেন। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহ তায়ালা এ সময় বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। তাই তিনি সাহাবাদেরও এ সময় দোয়া করতে বলেতেন। পরে মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন।

★রাত্র
রাসুলুল্লাহ সাঃ রাতে সুরা মুলক আর সুরা আলিম মিম সাজদাহ নিয়মিত তিলাওয়াত করতেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هُرَيْمُ بْنُ مِسْعَرٍ، - تِرْمِذِيٌّ - حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ : (الم * تَنْزِيلُ ) وَ ( تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ ) . 

হুরায়ম ইবন মিসআর (রহঃ) ...... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলিফ-লাম-মীম তানযীল এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না। 

সহীহ, সহীহাহ ৫৮৫, আর রওয ২২৭, মিশকাত তাহকিক ছানী ২১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এশার নামাজ পড়িয়ে খুব তাড়াতড়ি বিশ্রামে চলে যেতেন।

★শেষ রাত
মধ্যরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন। অতপর:  জিকির ও  তাহাজ্জুদ আদায়ে ফজর পর্যন্ত অতিবাহিত করতেন।

এমন করেই আমাদের নবি কারিম সা. তার প্রতিটি দিন অতিবাহিত করতেন।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন জানুনঃ-  https://ifatwa.info/5344/

(০২)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
জাযাকাল্লাহ খইরন। 

একটু কনফিউশান তৈরি হয়েছে। আমি সম্ভবত বুঝতে ভুল করছি। 
১ নং এ বলা আছে, সূর্যদয়ের পর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাবার খেতেন। 
২ নং থেকে জানতে পারি যোহরের আগে খেয়ে কিছু সময় কাইলুলা করতেন। 

আসলে সকাল/দুপুরের খাবারের সময় কোনটি? আমি বুঝতে পারছিনা। 
রাতের টা বুঝতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। 
by (581,850 points)
সূর্যোদয়ের পর বলতে সকাল সাড়ে সাতটা আটটা এরকম বলা যেতে পারে।

আর যোহরের আগে বলতে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে ১-০০ এরকম সময় আমরা বলতে পারি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...