আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আমি গত একমাস আগে Ahlia তে বায়োডাটা দেই। তো কয়েকদিন আগে একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে। তো আমি বর্তমানে স্টুডেন্ট। আমার বর্তমানে যে ইনকাম তা দিয়ে আমি নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারি। কিন্তু এই ইনকাম দিয়ে স্ত্রীর খরচ চালানোটা কষ্ট কর ব্যাপার হবে। আমি চিন্তা করছে যে এখন বিয়ে করে মেয়েকে তার বাবার কাছে রাখবো। সর্বোচ্চ ১ বছর সে তার বাবার কাছে থাকবে। ততদিনে আমি আমার ইনকাম সোর্স বাড়িয়ে নিজেকে আরেকটু গুছিয়ে তাকে নিয়ে আসবো। আমি জবের পাশাপাশি ফ্র্যাল্যান্সিং শিখছি ৬ মাসের মধ্যেই শিখে ইনকাম করতে পারবো আশাকরি। আর এখন বিয়ে করলে একটা হালাল সম্পর্কও থাকবে। চরিত্রও হেফাজত হবে। এখন আমার এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক হবে? যদি মেয়ের পরিবার রাজিও থাকে এই প্রস্তাবে তাহলে এখন বিয়ে করারটা ঠিক হবে। উস্তাদ একটা উত্তম পরামর্শ দিন যাতো আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷ দ্রুত উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (62,490 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

https://ifatwa.info/106091/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6334/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

সন্তুষ্টি চিত্তে স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীরা যদি আজীবন বাবার বাসায় থাকে, সেক্ষেত্রেও শরীয়াহ দৃষ্টিকোন হতে সমস্যা নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণই স্বামীর ইচ্ছাধীন বিষয়। তবে স্বামীর অনুমতি ছাড়া বা তার অবাধ্য হয়ে এভাবে থাকা যাবেনা। এটা জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো প্রকারের ভরনপোষণ এর হকদার থাকবেনা।

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/54770/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য ও নিজের ইমান ও আমলের হেফাজতের জন্য আপনি উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাতে কোন সমস্যা নেই। তবে বিবাহের পর মেয়েকে বাবার বাসায় রাখার ক্ষেত্রে মেয়ের পরিবারের সম্মতিক্রমে রাখতে হবে। তাদের উপর প্রেশার ক্রিয়েট করা যাবে না। কেননা, বিবাহের পর স্বামীর কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। এমতাবস্থায় মেয়ে পরিবারের এমন সমর্থন অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম জাযা দান করবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...